চ্যাপেলের ভুল স্বীকার
প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে হার। শুরুর এই ধাক্কা সামলে উঠলেও শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারেনি ভারত। প্রবল প্রতাপশালী কোচ হিসেবে ভারতে আসা গ্রেগ চ্যাপেলের বিদায়ও হয়েছিল একেবারেই বাজে। এত দিন পর ‘গুরু গ্রেগ’ নাকে খত দিচ্ছেন। অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি স্বীকার করে নিলেন, গত বিশ্বকাপে শচীন টেন্ডুলকারকে ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেননি তিনি।
তাঁর চাপের কারণেই টেন্ডুলকারকে ওপেনিংয়ের জায়গা ছেড়ে মিডল-অর্ডারে নেমে যেতে হয়। টেন্ডুলকারের ওজর-আপত্তিও ধোপে টেকেনি চ্যাপেলের কাছে। এত দিন পর চ্যাপেলের উপলব্ধি, সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।
টেন্ডুলকারকে নিয়ে লেখা ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্যের বই সাচ-এ চ্যাপেলের স্বীকারোক্তি, ‘প্রথমেই ব্যাখ্যা করে নিতে চাই, দলের প্রতি টেন্ডুলকারের আত্মনিবেদনের ব্যাপারে আমার কখনোই কোনো সংশয় ছিল না। ওর সঙ্গে আমি শুধু একটা ব্যাপারেই কথা বলেছিলাম, বিশ্বকাপে আমাদের কাজটা কী হবে তা নিয়ে। সম্পর্কের অবনতির কথা যদি বলেন, সম্ভবত সেটা তখনই হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটিং-অর্ডার নিয়ে আমাদের দ্বিমত ছিল।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনের কারণে মিডল-অর্ডারে ‘পাওয়ার হিটার’ চাইছিলেন চ্যাপেল। বীরেন্দর শেবাগের ব্যাপারেও ভেবেছিলেন। কিন্তু শেবাগ মিডল-অর্ডারে নামতে রাজি হননি। তখন টেন্ডুলকারকে প্রস্তাব দেন চ্যাপেল। টেন্ডুলকার নিমরাজি হন।
সিদ্ধান্তটি শুধু একা নেননি, ওই সময়ের অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়েরও এতে সায় ছিল বলে জানিয়েছেন চ্যাপেল, ‘দ্রাবিড়ও মনে করেছে, মাঝখানের ওভারগুলোতেই ম্যাচের ফল নির্ধারিত হবে। তাই ওই পজিশনে শচীন কিংবা শেবাগকেই দরকার ছিল।’
এখনো যদি ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকতেন, টেন্ডুলকারকে এই প্রস্তাবই দিতেন। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার টেন্ডুলকারের ওপরই ছেড়ে দিতেন বলে জানিয়েছেন চ্যাপেল, ‘ওই অভিজ্ঞতা আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছে। এখনো একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে আমি ওকে আমার ভাবনা জানিয়ে ব্যাখ্যা দিতাম। কিন্তু ও যদি এ ব্যাপারে সামান্য অস্বস্তি জানাত, আমি আর ওকে চাপ দিতাম না।’
বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর এক সাক্ষাত্কারে টেন্ডুলকার জানিয়েছিলেন, চ্যাপেল দলের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু চ্যাপেল জানালেন, ওই সাক্ষাত্কারের পর টেন্ডুলকারের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেছিলেন। ভারতের কোচ থাকার সময় আরেকটি উপলব্ধি হয়েছিল তাঁর। প্রতিটি মুহূর্তে টেন্ডুলকার যে কোটি কোটি সমর্থকের প্রত্যাশার চাপ বয়ে বেড়ান। এখনো তাই টেন্ডুলকারকে স্যালুটই করেন চ্যাপেল। ক্রিকেটের প্রতি টেন্ডুলকারের যে আত্মনিবেদন, সেটা আর কারও মধ্যেও দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ‘ক্রিকেট ওর জীবনের এত বড় একটা অংশজুড়ে আছে, মাঝেমধ্যে ভেবে চমকে উঠি, ক্রিকেট ছাড়লে ওর কী হবে’—চ্যাপেলের আবেগময় মন্তব্য।
তাঁর চাপের কারণেই টেন্ডুলকারকে ওপেনিংয়ের জায়গা ছেড়ে মিডল-অর্ডারে নেমে যেতে হয়। টেন্ডুলকারের ওজর-আপত্তিও ধোপে টেকেনি চ্যাপেলের কাছে। এত দিন পর চ্যাপেলের উপলব্ধি, সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল।
টেন্ডুলকারকে নিয়ে লেখা ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্যের বই সাচ-এ চ্যাপেলের স্বীকারোক্তি, ‘প্রথমেই ব্যাখ্যা করে নিতে চাই, দলের প্রতি টেন্ডুলকারের আত্মনিবেদনের ব্যাপারে আমার কখনোই কোনো সংশয় ছিল না। ওর সঙ্গে আমি শুধু একটা ব্যাপারেই কথা বলেছিলাম, বিশ্বকাপে আমাদের কাজটা কী হবে তা নিয়ে। সম্পর্কের অবনতির কথা যদি বলেন, সম্ভবত সেটা তখনই হয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটিং-অর্ডার নিয়ে আমাদের দ্বিমত ছিল।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনের কারণে মিডল-অর্ডারে ‘পাওয়ার হিটার’ চাইছিলেন চ্যাপেল। বীরেন্দর শেবাগের ব্যাপারেও ভেবেছিলেন। কিন্তু শেবাগ মিডল-অর্ডারে নামতে রাজি হননি। তখন টেন্ডুলকারকে প্রস্তাব দেন চ্যাপেল। টেন্ডুলকার নিমরাজি হন।
সিদ্ধান্তটি শুধু একা নেননি, ওই সময়ের অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়েরও এতে সায় ছিল বলে জানিয়েছেন চ্যাপেল, ‘দ্রাবিড়ও মনে করেছে, মাঝখানের ওভারগুলোতেই ম্যাচের ফল নির্ধারিত হবে। তাই ওই পজিশনে শচীন কিংবা শেবাগকেই দরকার ছিল।’
এখনো যদি ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকতেন, টেন্ডুলকারকে এই প্রস্তাবই দিতেন। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার টেন্ডুলকারের ওপরই ছেড়ে দিতেন বলে জানিয়েছেন চ্যাপেল, ‘ওই অভিজ্ঞতা আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছে। এখনো একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে আমি ওকে আমার ভাবনা জানিয়ে ব্যাখ্যা দিতাম। কিন্তু ও যদি এ ব্যাপারে সামান্য অস্বস্তি জানাত, আমি আর ওকে চাপ দিতাম না।’
বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর এক সাক্ষাত্কারে টেন্ডুলকার জানিয়েছিলেন, চ্যাপেল দলের প্রতি তাঁর আত্মনিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু চ্যাপেল জানালেন, ওই সাক্ষাত্কারের পর টেন্ডুলকারের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেছিলেন। ভারতের কোচ থাকার সময় আরেকটি উপলব্ধি হয়েছিল তাঁর। প্রতিটি মুহূর্তে টেন্ডুলকার যে কোটি কোটি সমর্থকের প্রত্যাশার চাপ বয়ে বেড়ান। এখনো তাই টেন্ডুলকারকে স্যালুটই করেন চ্যাপেল। ক্রিকেটের প্রতি টেন্ডুলকারের যে আত্মনিবেদন, সেটা আর কারও মধ্যেও দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। ‘ক্রিকেট ওর জীবনের এত বড় একটা অংশজুড়ে আছে, মাঝেমধ্যে ভেবে চমকে উঠি, ক্রিকেট ছাড়লে ওর কী হবে’—চ্যাপেলের আবেগময় মন্তব্য।
No comments