বেলের পর সাকিব
তৃপ্তি আর অতৃপ্তি কি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল সাকিব আল হাসানের! তৃপ্তি—টেস্টে সপ্তমবারের মতো ৫ উইকেট পেলেন বলে। আর অতৃপ্তি—এই ৫ উইকেট যদি লর্ডসে পেতেন! অনার্স বোর্ডে তো তাহলে তাঁর নামটাও উঠত!
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ইংল্যান্ডের জন্য স্পিনের ফাঁদ পাতার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ দলের। প্রথম ইনিংসে পরিকল্পনাটা সফলই বলতে হবে। ইংল্যান্ড ৪১৯ রানে অলআউট, ৭ উইকেট স্পিনারদের। ২ উইকেট নিয়ে সাকিবের যোগ্য সঙ্গী আরেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। বলও বেশি করেছেন স্পিনাররাই। দুই পেসার শাহাদাত ও শফিউল করেছেন ২১ ওভার করে, সেখানে সাকিব একাই ৩৭.৩ ওভার। রাজ্জাক আর মাহমুদউল্লাহ মিলে আরও ৪২।
বাংলাদেশের স্পিনের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সফলতম ব্যাটসম্যান ইয়ান বেল, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে যাঁর ব্যাটিং মনে করিয়ে দিয়েছে পাঁচ বছর আগের একটা ঘটনা। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে বেলের মন্তব্য ছিল, ‘দলটা কাউন্টি দলের মতো।’ অভিষেক টেস্টেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭০ রানের ইনিংস খেলার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে পর পর দুই টেস্টে অপরাজিত ৬৫ আর অপরাজিত ১৬২—বেলের পা নিশ্চিতভাবেই তখন মাটিতে ছিল না। বেল উড়ছিলেন আকাশে।
সেদিন বেলের কথা শুনে মন খারাপ হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশ দলের। কিন্তু পাঁচ বছর পরও যে তাঁকে জবাব দিতে পারল না বাংলাদেশ! ইংল্যান্ড দলে জায়গা ধরে রাখার লড়াই যাঁদের নিত্য, বেলের নাম সে তালিকায় থাকলেও বাংলাদেশ মানেই তাঁর অন্য রকম হয়ে ওঠা। বাংলাদেশের বিপক্ষে কাল পর্যন্ত সাড়ে পাঁচটা টেস্ট খেলেই ১৫৮.২৫ গড়ে ৬৩৩ রান। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ২টি।
বোলারদের সৌজন্যে প্রথম দিনটা মোটামুটি ভালো কাটানোর পর কাল দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডকে ৩৫০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রিয়রকে নিয়ে গড়ে তোলা বেলের প্রতিরোধের দেয়াল টপকাতে টপকাতে অনেক দেরি করে ফেলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলাররা ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে কতটুকু কী করতে পারবে, সেটা আসলে এখনো ঠিক করে দেয় প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং। বোলাররা যত ভালো বলই করুক, প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা ভুল না করলে সফল হওয়া কঠিন। শফিউল ইসলাম এর জ্বলন্ত উদাহরণ হতে পারেন। আগের দিন দুই উইকেট নিলেন, কালও বাউন্সার-মুভমেন্টে বেল-প্রিয়রকে কম বিব্রত করেননি। গায়ে-টায়েও বল লাগালেন কয়েকবার। কিন্তু কপালে আর কোনো উইকেটই জুটল না।
স্পিনটা ইংল্যান্ডের অন্য অনেকের তুলনায় ভালো খেলেন ইয়ান বেল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে বাংলাদেশি স্পিনারদের সাফল্যের পতাকা ওড়ানোর দিনে বেলও সফল নিজের কাজে। স্পিনের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিংয়ের রহস্যটাও জানিয়েছেন তিনি, ‘স্পিনের বিপক্ষে আমি যতটা সম্ভব ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। আর ইতিবাচক থাকতে পারলেই ভালো খেলি।’
বেল ব্যতিক্রম, নইলে বাংলাদেশের স্পিনের বিপক্ষে পিটারসেনের মতো কমবেশি বিব্রত ইংল্যান্ডের অন্য ব্যাটসম্যানরাও। দিনের চতুর্থ ওভারেই রাজ্জাককে দিয়ে স্পিন আক্রমণ নিয়ে আসেন সাকিব, এরপর নিজে বল হাতে নিলেন সপ্তম ওভারে। মাঝে যোগ হলেন মাহমুদউল্লাহও। স্পিনের সামনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বিব্রত হতে দেখে ৯৮ ওভারের পর পেস বোলারদের আর বোলিংয়েই আনলেন না সাকিব। দিনের প্রথম ও তৃতীয় (ইনিংসের ৮৪ ও ৮৬তম) ওভার বল করেছেন, এরপর ইনিংসের ১০০তম ওভারে এসে টানা করলেন ১১.৩ ওভারের স্পেল, ৩২ রানে ৪ উইকেট এই স্পেলেই। এর মধ্যে শেষ ৩টি উইকেট এসেছে মাত্র ১৩ বলের ব্যবধানে, ওই সময়ে সাকিব রান দিয়েছেন মাত্র ২!
উইকেট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সাকিব সব সময় একটা কথাই বলেন, ‘আমি উইকেট বুঝি না।’ কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেটটাকে তো ঠিকই চিনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক!
ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ইংল্যান্ডের জন্য স্পিনের ফাঁদ পাতার পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ দলের। প্রথম ইনিংসে পরিকল্পনাটা সফলই বলতে হবে। ইংল্যান্ড ৪১৯ রানে অলআউট, ৭ উইকেট স্পিনারদের। ২ উইকেট নিয়ে সাকিবের যোগ্য সঙ্গী আরেক বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। বলও বেশি করেছেন স্পিনাররাই। দুই পেসার শাহাদাত ও শফিউল করেছেন ২১ ওভার করে, সেখানে সাকিব একাই ৩৭.৩ ওভার। রাজ্জাক আর মাহমুদউল্লাহ মিলে আরও ৪২।
বাংলাদেশের স্পিনের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সফলতম ব্যাটসম্যান ইয়ান বেল, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে যাঁর ব্যাটিং মনে করিয়ে দিয়েছে পাঁচ বছর আগের একটা ঘটনা। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সম্পর্কে বেলের মন্তব্য ছিল, ‘দলটা কাউন্টি দলের মতো।’ অভিষেক টেস্টেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭০ রানের ইনিংস খেলার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে পর পর দুই টেস্টে অপরাজিত ৬৫ আর অপরাজিত ১৬২—বেলের পা নিশ্চিতভাবেই তখন মাটিতে ছিল না। বেল উড়ছিলেন আকাশে।
সেদিন বেলের কথা শুনে মন খারাপ হয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশ দলের। কিন্তু পাঁচ বছর পরও যে তাঁকে জবাব দিতে পারল না বাংলাদেশ! ইংল্যান্ড দলে জায়গা ধরে রাখার লড়াই যাঁদের নিত্য, বেলের নাম সে তালিকায় থাকলেও বাংলাদেশ মানেই তাঁর অন্য রকম হয়ে ওঠা। বাংলাদেশের বিপক্ষে কাল পর্যন্ত সাড়ে পাঁচটা টেস্ট খেলেই ১৫৮.২৫ গড়ে ৬৩৩ রান। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফ সেঞ্চুরি ২টি।
বোলারদের সৌজন্যে প্রথম দিনটা মোটামুটি ভালো কাটানোর পর কাল দ্বিতীয় দিনে ইংল্যান্ডকে ৩৫০ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু প্রিয়রকে নিয়ে গড়ে তোলা বেলের প্রতিরোধের দেয়াল টপকাতে টপকাতে অনেক দেরি করে ফেলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বোলাররা ইংল্যান্ডের মতো দলগুলোর বিপক্ষে কতটুকু কী করতে পারবে, সেটা আসলে এখনো ঠিক করে দেয় প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং। বোলাররা যত ভালো বলই করুক, প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা ভুল না করলে সফল হওয়া কঠিন। শফিউল ইসলাম এর জ্বলন্ত উদাহরণ হতে পারেন। আগের দিন দুই উইকেট নিলেন, কালও বাউন্সার-মুভমেন্টে বেল-প্রিয়রকে কম বিব্রত করেননি। গায়ে-টায়েও বল লাগালেন কয়েকবার। কিন্তু কপালে আর কোনো উইকেটই জুটল না।
স্পিনটা ইংল্যান্ডের অন্য অনেকের তুলনায় ভালো খেলেন ইয়ান বেল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে বাংলাদেশি স্পিনারদের সাফল্যের পতাকা ওড়ানোর দিনে বেলও সফল নিজের কাজে। স্পিনের বিপক্ষে ভালো ব্যাটিংয়ের রহস্যটাও জানিয়েছেন তিনি, ‘স্পিনের বিপক্ষে আমি যতটা সম্ভব ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করি। আর ইতিবাচক থাকতে পারলেই ভালো খেলি।’
বেল ব্যতিক্রম, নইলে বাংলাদেশের স্পিনের বিপক্ষে পিটারসেনের মতো কমবেশি বিব্রত ইংল্যান্ডের অন্য ব্যাটসম্যানরাও। দিনের চতুর্থ ওভারেই রাজ্জাককে দিয়ে স্পিন আক্রমণ নিয়ে আসেন সাকিব, এরপর নিজে বল হাতে নিলেন সপ্তম ওভারে। মাঝে যোগ হলেন মাহমুদউল্লাহও। স্পিনের সামনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের বিব্রত হতে দেখে ৯৮ ওভারের পর পেস বোলারদের আর বোলিংয়েই আনলেন না সাকিব। দিনের প্রথম ও তৃতীয় (ইনিংসের ৮৪ ও ৮৬তম) ওভার বল করেছেন, এরপর ইনিংসের ১০০তম ওভারে এসে টানা করলেন ১১.৩ ওভারের স্পেল, ৩২ রানে ৪ উইকেট এই স্পেলেই। এর মধ্যে শেষ ৩টি উইকেট এসেছে মাত্র ১৩ বলের ব্যবধানে, ওই সময়ে সাকিব রান দিয়েছেন মাত্র ২!
উইকেট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে সাকিব সব সময় একটা কথাই বলেন, ‘আমি উইকেট বুঝি না।’ কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেটটাকে তো ঠিকই চিনেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক!
No comments