হঠাৎ অলি আহমদের কাছে জামায়াতের গুরুত্ব বাড়লো কেন? by আদিত্য রিমন
বিএনপি
নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)
চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের কাছে জোটের আরেক দল জামায়াতের
গুরুত্ব বাড়ছে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। তারা বলছেন, গত ৩ দিনে
রাজধানীতে দু’টি অনুষ্ঠানে অলির পাশে দেখা গেছে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের।
ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠছে—জামায়াতের দীর্ঘদিন কোনও প্রকাশ্য
অনুষ্ঠানে ছিল না। হঠাৎ কেন জামায়াত-নেতাদের প্রকাশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
হাজির করছেন অলি আহমেদ?
২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি রাজনৈতিক জোট করতে চায় বিএনপি। আর সেই জোট গঠনের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অলি আহমদকে। ফলে বিভিন্ন সময় জামায়াতের বিরোধিতা করলেও এখন সাংগঠনিক ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী সেই দলটিকেই পাশে রাখতে চান অলি। এই কারণে তিনি বিভিন্ন প্রোগামে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে কাছে টানছেন।যেন আগামী দিনের কর্মসূচিতে জামায়াতকে কাজে লাগানো যায়।
গত ১৫ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল আয়োজন করে এলডিপি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পারোয়ার। আর ১৭ মার্চ রাজধানীর একটি ক্লাবে রাজনৈতিকদের সম্মানের ইফতারের আয়োজন করে দলটি। সেখানে অলি আহমদের দুই পাশে ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অলি আহমদ এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। তিনি খালেদা জিয়ার আন্দোলনে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উজাড় করে দিতে চান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই আগামী দিনের কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় জামায়াতকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে তার কর্মসূচিতে ডাকছেন।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলডিপির এক নেতা বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে অলি আহমদ ফোন করে বলেছেন, জামায়াতের নেতাদের মঞ্চে বসাতে। তিনি বলেছেন, ওপরের নির্দেশ আছে, জামায়াতকে মঞ্চে বসাতে হবে। এই কারণে দলটির ২ নেতাকেও অলি আহমেদের পাশে বসানো হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘রমজানে প্রায় প্রতিটি দল ইফতারের আয়োজন করে, আমাদের দাওয়াত দিলে থাকার চেষ্টা করি। সেই হিসেবে আজকে এলডিপির ইফতারে গিয়েছি। এখানে বাড়তি গুরুত্বের কিছু নেই। এর আগেও প্রোগ্রামে তারা আমাদের দাওয়াত দিয়েছিল, দলের প্রতিনিধি গেছেন।’
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আগামীতে অন্য দলগুলো ইফতারের দাওয়াত দিলে আমরা যাবো। আমাদের দলের ইফতারেও সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হবে।’
বিএনপির নেতারা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিএনপি। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ দেওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্য নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়ে দলটি। ফলে বিএনপিও চায় অলি আহমদ জামায়তসহ অন্য দলগুলো নিয়ে একটি জোট গঠন করুক। আর তাদের কর্মকাণ্ড ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে চালিয়ে যাবে।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির তত্ত্বাবধানে অলি আহমেদের নেতৃত্বে আলাদা জোট গঠন করার একটা প্রক্রিয়া চলছে। আর সেখানে জোটের মধ্যে বিএনপির বাইরে সাংগঠনিকভাবে জামায়াত একমাত্র শক্তিশালী দল। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতাও প্রমাণিত হয়েছে ২০১৩-২০১৪ সালের আন্দোলনে। এই কারণে অলি আহমদের কাছে জামায়াত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এছাড়া জামায়াত শুধু সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী নয়, আর্থিকভাবেও তাদের একটা ভিত্তি আছে। ফলে কোনও জোট পরিচালনা করার ক্ষেত্রেও আর্থিক বিষয়টিও পাধান্য দিয়ে তাদের কাছে টানা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘অলি আহমদ প্রায় ২০ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে আছেন। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যও ছিলেন। একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদও বটে। অনেক দিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এখন আবার সক্রিয় হচ্ছেন। তার প্রোগ্রামে শুধু জামায়াত নয়, অন্য দলগুলো উপস্থিত হচ্ছে। গত শুক্রবারের অলি আহমেদের প্রোগ্রামে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাও ছিলেন।’
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে জামায়াতও আছে। ফলে জোটের এক দলের প্রোগ্রামে অন্য দল আসবে, এটা আমরা স্বাভাবিকভাবে দেখছি। আমরা চেষ্ট করি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিয়েও একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে।’ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে এই ঐক্য গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটি রাজনৈতিক জোট করতে চায় বিএনপি। আর সেই জোট গঠনের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অলি আহমদকে। ফলে বিভিন্ন সময় জামায়াতের বিরোধিতা করলেও এখন সাংগঠনিক ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী সেই দলটিকেই পাশে রাখতে চান অলি। এই কারণে তিনি বিভিন্ন প্রোগামে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে কাছে টানছেন।যেন আগামী দিনের কর্মসূচিতে জামায়াতকে কাজে লাগানো যায়।
গত ১৫ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মধ্যবর্তী নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল আয়োজন করে এলডিপি। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পারোয়ার। আর ১৭ মার্চ রাজধানীর একটি ক্লাবে রাজনৈতিকদের সম্মানের ইফতারের আয়োজন করে দলটি। সেখানে অলি আহমদের দুই পাশে ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অলি আহমদ এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। তিনি খালেদা জিয়ার আন্দোলনে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উজাড় করে দিতে চান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই আগামী দিনের কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় জামায়াতকে সেভাবে গুরুত্ব দিয়ে তার কর্মসূচিতে ডাকছেন।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলডিপির এক নেতা বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে অলি আহমদ ফোন করে বলেছেন, জামায়াতের নেতাদের মঞ্চে বসাতে। তিনি বলেছেন, ওপরের নির্দেশ আছে, জামায়াতকে মঞ্চে বসাতে হবে। এই কারণে দলটির ২ নেতাকেও অলি আহমেদের পাশে বসানো হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘রমজানে প্রায় প্রতিটি দল ইফতারের আয়োজন করে, আমাদের দাওয়াত দিলে থাকার চেষ্টা করি। সেই হিসেবে আজকে এলডিপির ইফতারে গিয়েছি। এখানে বাড়তি গুরুত্বের কিছু নেই। এর আগেও প্রোগ্রামে তারা আমাদের দাওয়াত দিয়েছিল, দলের প্রতিনিধি গেছেন।’
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ‘আগামীতে অন্য দলগুলো ইফতারের দাওয়াত দিলে আমরা যাবো। আমাদের দলের ইফতারেও সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হবে।’
বিএনপির নেতারা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে বিএনপি। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ দেওয়ায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্য নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়ে দলটি। ফলে বিএনপিও চায় অলি আহমদ জামায়তসহ অন্য দলগুলো নিয়ে একটি জোট গঠন করুক। আর তাদের কর্মকাণ্ড ঐক্যফ্রন্টকে নিয়ে চালিয়ে যাবে।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির তত্ত্বাবধানে অলি আহমেদের নেতৃত্বে আলাদা জোট গঠন করার একটা প্রক্রিয়া চলছে। আর সেখানে জোটের মধ্যে বিএনপির বাইরে সাংগঠনিকভাবে জামায়াত একমাত্র শক্তিশালী দল। তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতাও প্রমাণিত হয়েছে ২০১৩-২০১৪ সালের আন্দোলনে। এই কারণে অলি আহমদের কাছে জামায়াত বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এছাড়া জামায়াত শুধু সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী নয়, আর্থিকভাবেও তাদের একটা ভিত্তি আছে। ফলে কোনও জোট পরিচালনা করার ক্ষেত্রেও আর্থিক বিষয়টিও পাধান্য দিয়ে তাদের কাছে টানা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘অলি আহমদ প্রায় ২০ বছর ধরে বিএনপির সঙ্গে আছেন। তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যও ছিলেন। একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদও বটে। অনেক দিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এখন আবার সক্রিয় হচ্ছেন। তার প্রোগ্রামে শুধু জামায়াত নয়, অন্য দলগুলো উপস্থিত হচ্ছে। গত শুক্রবারের অলি আহমেদের প্রোগ্রামে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাও ছিলেন।’
শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, ‘২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে জামায়াতও আছে। ফলে জোটের এক দলের প্রোগ্রামে অন্য দল আসবে, এটা আমরা স্বাভাবিকভাবে দেখছি। আমরা চেষ্ট করি, অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিয়েও একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে।’ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে এই ঐক্য গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
No comments