ভারতে ‘কিংমেকার’ হতে পারেন যারা
ভারতের
লোকসভা নির্বাচনের বুথফেরত জরিপ অনুসারে, ক্ষমতাসীনরাই ফের মসনদে বসতে
যাচ্ছে। বিরোধীরা এমন জরিপকে ‘গুজব’ হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ১৯শে
মে শেষ দফা ভোটগ্রহণ শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বুথফেরত জরিপ গেরুয়াদের
পক্ষেই খবর দিচ্ছে। জরিপের সঙ্গে চূড়ান্ত ফল মিলে গেলে শেষ হাসিটা হাসবেন
নরেন্দ্র মোদিই। যদি এমনটা না হয়- সেক্ষেত্রে মোদি বা কংগ্রেস প্রধান রাহুল
গান্ধীর ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অন্য দলের সাহায্যের দরকার হবে। এই দলগুলোই
হবে পরবর্তী কিংমেকার। কোন দলগুলোর কিংমেকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তা নিয়ে
স্থানীয় গণমাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা। পাঠকদের জন্য সেসব দল ও দল
প্রধানদের একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো-
নবীন পট্টনায়েক
শান্ত স্বভাবের মানুষ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজু জনতা দলের নেতা নবীন পট্টনায়েক। রাহুল ও মোদি উভয়েই তাকে নিজের সমর্থনে চাইবেন। মোদির প্রথম দফার পার্লামেন্টে নবীন পট্টনায়েকের ১৮টি আসন রয়েছে। এবার বুথফেরত জরিপ অনুসারে, তার দলের সর্বোচ্চ ১৫ আসন জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনটা হলে কোনো ঝুলন্ত ফলাফলে সরকার গঠনের জন্য মোদি ও রাহুল উভয়েই তাকে নিজ পক্ষে টানতে চাইবেন।
কে. চন্দ্রশেখর রাও
তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কালাভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও মূলত কেসিআর নামেই বেশি পরিচিত। নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী জোট গড়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে নির্বাচন শেষে তার বিজেপির সঙ্গে যোগ দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমান পার্লামেন্টে তেলেঙ্গনার নেতাদের দখলে রয়েছে ১৭ আসন। এর মধ্যে ১০টিই রয়েছে রাও’র দল তেলেঙ্গনা রাষ্ট্র সমিতির দখলে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার সর্বোচ্চ ১৩টি আসন জিতবে তার দল।
ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডি
গুঞ্জন উঠেছে অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর চেয়ে এবার বেশি আসন জিততে পারেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক কংগ্রেস মিত্র ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডি। এ গুঞ্জনের কারণেই হোক বা অন্য কারণে হোক, রাহুল ও মোদি উভয়েই চাইছেন রেড্ডি তাদের পাশে থাকুন। ২৩শে মে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে তাকে আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই রেড্ডিকে অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ পদ দেয়ার কথা জানিয়েছে বিজেপি। বুথফেরত জরিপ জানাচ্ছে, এবার সর্বোচ্চ ২০ আসন জিততে পারে তার দল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বিজেপিবিরোধী হিসেবে তার অবস্থান পরিষ্কার রেখেছেন। তবে কংগ্রেসের সঙ্গেও মিশে যাননি তিনি। যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজেপিবিরোধী দল গড়তে তাকে যোগ দিতে হবে কংগ্রেসের সঙ্গেই। বুথ ফেরত জরিপ বলছে, তার দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার সর্বোচ্চ ২৯টি আসনে জয়ী হতে পারে।
মায়াবতী
নির্বাচনের পর থেকেই অনেকটা চুপ থেকে পরিস্থিতি বিবেচনার মেজাজে আছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রচারণা চালিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সময় হলে কংগ্রেসের সঙ্গেই ভিড়বেন তিনি। বুথফেরত জরিপ বলছে, এবার তার দল জিততে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ আসন।
অখিলেশ যাদব
সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তরপ্রদেশের সর্বকনিষ্ঠ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও অনেকটা বিজেপিবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। সমপ্রতি মায়াবতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিও পা রাখবেন কংগ্রেসের সারিতে।
এমকে স্ট্যালিন
তামিলনাডুর দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগাম দলের নেতা এমকে স্ট্যালিন প্রকাশ্যেই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতার অভিযোগ, নির্বাচনের আগে স্ট্যালিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নি। এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। দিনশেষে তিনি কংগ্রেসের কাতারেই দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে তার দল সর্বোচ্চ ২৭টি আসনে জিততে পারে।
(টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে)
নবীন পট্টনায়েক
শান্ত স্বভাবের মানুষ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজু জনতা দলের নেতা নবীন পট্টনায়েক। রাহুল ও মোদি উভয়েই তাকে নিজের সমর্থনে চাইবেন। মোদির প্রথম দফার পার্লামেন্টে নবীন পট্টনায়েকের ১৮টি আসন রয়েছে। এবার বুথফেরত জরিপ অনুসারে, তার দলের সর্বোচ্চ ১৫ আসন জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। তেমনটা হলে কোনো ঝুলন্ত ফলাফলে সরকার গঠনের জন্য মোদি ও রাহুল উভয়েই তাকে নিজ পক্ষে টানতে চাইবেন।
কে. চন্দ্রশেখর রাও
তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কালাভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও মূলত কেসিআর নামেই বেশি পরিচিত। নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী জোট গড়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে নির্বাচন শেষে তার বিজেপির সঙ্গে যোগ দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমান পার্লামেন্টে তেলেঙ্গনার নেতাদের দখলে রয়েছে ১৭ আসন। এর মধ্যে ১০টিই রয়েছে রাও’র দল তেলেঙ্গনা রাষ্ট্র সমিতির দখলে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার সর্বোচ্চ ১৩টি আসন জিতবে তার দল।
ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডি
গুঞ্জন উঠেছে অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর চেয়ে এবার বেশি আসন জিততে পারেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক কংগ্রেস মিত্র ওয়াই এস জগমোহন রেড্ডি। এ গুঞ্জনের কারণেই হোক বা অন্য কারণে হোক, রাহুল ও মোদি উভয়েই চাইছেন রেড্ডি তাদের পাশে থাকুন। ২৩শে মে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে তাকে আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই রেড্ডিকে অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ পদ দেয়ার কথা জানিয়েছে বিজেপি। বুথফেরত জরিপ জানাচ্ছে, এবার সর্বোচ্চ ২০ আসন জিততে পারে তার দল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই বিজেপিবিরোধী হিসেবে তার অবস্থান পরিষ্কার রেখেছেন। তবে কংগ্রেসের সঙ্গেও মিশে যাননি তিনি। যদিও পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজেপিবিরোধী দল গড়তে তাকে যোগ দিতে হবে কংগ্রেসের সঙ্গেই। বুথ ফেরত জরিপ বলছে, তার দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার সর্বোচ্চ ২৯টি আসনে জয়ী হতে পারে।
মায়াবতী
নির্বাচনের পর থেকেই অনেকটা চুপ থেকে পরিস্থিতি বিবেচনার মেজাজে আছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী। নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি বিজেপির বিরুদ্ধেই প্রচারণা চালিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সময় হলে কংগ্রেসের সঙ্গেই ভিড়বেন তিনি। বুথফেরত জরিপ বলছে, এবার তার দল জিততে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ আসন।
অখিলেশ যাদব
সমাজবাদী পার্টির নেতা ও উত্তরপ্রদেশের সর্বকনিষ্ঠ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবও অনেকটা বিজেপিবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। সমপ্রতি মায়াবতীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিও পা রাখবেন কংগ্রেসের সারিতে।
এমকে স্ট্যালিন
তামিলনাডুর দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগাম দলের নেতা এমকে স্ট্যালিন প্রকাশ্যেই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতার অভিযোগ, নির্বাচনের আগে স্ট্যালিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নি। এই অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। দিনশেষে তিনি কংগ্রেসের কাতারেই দাঁড়াবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, এই নির্বাচনে তার দল সর্বোচ্চ ২৭টি আসনে জিততে পারে।
(টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে)
No comments