জিনের ‘গুপ্তধন’ নিয়ে জগন্নাথপুরে তোলপাড় by ওয়েছ খছরু
‘গুপ্তধন’
নিয়ে তোলপাড় চলছে প্রবাসী এলাকা জগন্নাথপুরে। এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। জিনকে
সাড়ে ৩ কোটি টাকা শিরনি দিলেই মিলবে ১৫০০ কোটি টাকা। আর সেই বিশ্বাসে এক
মাওলানা টাকাও দিয়ে দিলেন! এরপর ১৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় জিনের দেয়া ৫টি
ড্রাম ও দুটি ট্রাঙ্ক বাড়ি নিয়ে গেলেও কিছুই পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর মাথা
চাপড়াচ্ছেন এমরান আহমদ নামের ওই মাওলানা। অন্যদিকে পুলিশ মেতে উঠেছে
ধান্ধায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন- পুলিশ এ ঘটনায় সৈয়দপুর গ্রামের অসুস্থ
এনামুল হাসান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে অকথ্য নির্যাতন
করেছে। পুলিশের নির্যাতনে এনামুল হাসান আরো গুরুতর আহত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি
করেছেন তার ভাই ইয়াকুব মিয়া। অদ্ভুত ঘটনা এবং একটি এজাহার। এরপর মামলা
দায়ের। পুলিশি তদন্ত। অনেক দূর এগিয়েছে পুলিশ। এখন কেবল উপসংহারের অপেক্ষা।
কিন্তু এই সময়ে এসে পুলিশের নির্যাতনের বিষয়টি উঠে এসেছে সামনে।
জগন্নাথপুর হচ্ছে প্রবাসী এলাকা। আর এ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম এক নামেই
পরিচিত। ঘরে ঘরে লন্ডনির গ্রাম সৈয়দপুর। এই গ্রামের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র
করে তোলপাড় চলছে জগন্নাথপুরে। মানুষের মুখে মুখে রটছে নানা ঘটনা। জিনকে
কেন্দ্র করে আবর্তিত এই ঘটনার ভেতরে রহস্যের অন্ত নেই। কোনো কিছুই স্পষ্ট
নয়।
এ কারণে পুলিশ যাকে ধরছে, হাজতে নিয়ে মারছে। কৌতূহলবশত হলেও সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঘটনার ভিকটিম হচ্ছেন মাওলানা ইমরান আহমদ। তিনি উপজেলার মকরমপুর গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে। জগন্নাথপুরের সাবেক এমপি শাহীনূর পাশার আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। এখন তিনি স্যানিটারি ও হোটেল ব্যবসায়ী বলে নিজেকে পরিচয় দেন। সৈয়দপুরের আশকোনা গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী রহমত আলীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন হাফিজ কামরুল ইসলাম। কামরুল ইসলামের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন মাওলানা ইমরান আহমদ। মামলার এজাহারে তিনি দাবি করেছেন ১৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় তিনি কামরুলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সৈয়দপুরের গোয়ালগাঁওয়ের হাফিজ এনামুল হাসানের মাধ্যমে হাফিজ কামরুলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাদী মাওলানা এমরান আলমের। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে হাফিজ কামরুল, তার পিতা আব্দুল কাদির ও মা রানু বেগম প্রায় সময় এমরানদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। পরিচয়ের কিছুদিন পর আব্দুল কাদির ও রানু বেগম তার ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম সম্পর্কে মাওলানা এমরান আলমের সঙ্গে আলোচনা করেন। বলেন- হাফিজ কামরুলকে জিনে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। প্রায় ৭ বছর পর জিন হাফিজ কামরুলকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন জিনেদের কাছে হাফিজ কামরুল যা চায় তাই পায়। কামরুলের যেকোনো ইচ্ছা তারা পূরণ করে দেয়। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার কামরুলের পিতা-মাতা বিষয়টি নিয়ে মাওলানা এমরানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এভাবে দিনের পর দিন প্রভাবিত করার পর ২৭শে জুলাই কামরুল ইসলাম মামলার বাদী এমরানকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে তিনি এমরান আহমদ কামরুলের পিতা-মাতা ছাড়াও তার ভাই পাবেল, আদিল সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে দেখতে পান। ওখানে যাওয়ার পর কামরুল ইসলাম জানায়, জিনদের সাড়ে ৩ কোটি টাকার শিরনি দিলেই তারা খুশি হয়ে ১৫০০ কোটি টাকা দেবে। এবং বিষয়টি গোপন রাখার জন্য সে এমরানকে জানায়।
এসময় কামরুল সহ অন্যরা তাকে অজ্ঞাত একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রুমের ভেতরে তালাবদ্ধ ৫টি ড্রাম ও দুটি ট্রাঙ্ক দেখায়। জানায়, ওই ড্রাম এবং ট্রাঙ্কের ভেতরে ১৫০০ কোটি টাকা রয়েছে। সাড়ে ৩ কোটি টাকার শিরনি দেয়ার পর ড্রাম ও ট্রাঙ্কের তালা খুললে সব টাকা পাওয়া যাবে। তাদের এসব ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় রেস্টুরেন্ট ও স্যানিটারি ব্যবসা আত্মীয়স্বজনের কাছে ‘বন্ধক রেখে ২রা আগস্ট ৫০ লাখ টাকা বুঝাইয়া দেন। পরবর্তীতে ১৮ই আগস্ট আরো ৫০ লাখ টাকা, ১৮ই নভেম্বর আরো দুই কোটি টাকা তুলে দেয়া হয়। মোট তিন কোটি টাকা তুলে দেয়ার পর মাওলানা এমরানের কাছে জিনের দেয়া ১৫০০ কোটি টাকা সংবলিত ৫টি ড্রাম ও দুটি ট্রাঙ্ক দিয়ে দেয়া হয়। সম্পূর্ণ টাকা দেয়া শেষ হলে ওই ট্রাঙ্ক ও ড্রাম খোলার কথা বলা হয়। ২৭শে নভেম্বর সাড়ে ৩ কোটি টাকার সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করেন এমরান আহমদ। এরপর ট্রাঙ্ক ও ড্রামের চাবি নিতে ২৮ শে নভেম্বর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে হাফিজ কামরুল। কথামতো চাবি নিতে ওই দিন মাওলানা এমরান আহমদ হাফিজ কামরুলের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘর তালাবদ্ধ। এরপর মাওলানা এমরান বাড়িতে গিয়ে ৫টি ড্রাম ও দুটি ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে দেখতে পান ভেতরে পুরাতন কাপড় ও জুতা, ইটের টুকরো রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, হাফিজ কামরুল ও তার পরিবারের লোকজন সকল মালামাল নিয়ে চিরতরে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
এ ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এমরান আহমদ। পরবর্তীতে তিনি এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাফিজ কামরুল ইসলাম সহ তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়। ঘটনার পর ২৬শে এপ্রিল পুলিশ নেত্রকোনার কেন্দুয়া এলাকা থেকে কামরুলকে তার পিতা-মাতা সহ গ্রেপ্তার করে। এদিকে এ ঘটনায় গত ১১ই মে রাতে পুলিশ পরিচয়দানকারী অসুস্থ ব্যক্তি সৈয়দপুরের গোয়ালগাঁওয়ের হাফিজ এনামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। হাফিজ এনামুলের ভাই ইয়াকুব মিয়া মানবজমিনকে জানিয়েছেন, হাফিজ এনামুল হাসানকে পুলিশ শত্রুতামূলক ভাবে ধরে নিয়ে আসে। এবং তাকে রাতে থানা হাজতে চোখ বেঁধে নির্যাতন করে। এতে করে এনামুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি জানান, এনামুল হাসান ওই মামলার আসামি নয়। কিন্তু পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে এনে থানা হাজতে নির্যাতন করে। এনামুল হাসান দুই বার স্ট্রোক করায় দীর্ঘ দিন হাঁটাচলা করতে পারেননি বলে জানান তিনি। সুনামগঞ্জ আদালতের এনামুল হাসানের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল মজাদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আসামি এনামুল হাসানকে মারধর করায় আমরা বিষয়টি আদালতকে অবগত করেছি। আদালত আর্জি আমলে নিয়েছেন। দুইদিন পরে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এদিকে আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার করা এনামুল হাসানকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি কামরুল ইসলাম ও তার মা রানু বেগমের স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দির প্রেক্ষিতে এনামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার ভিকটিম ইমরান আহমদ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, জিনের দেয়া ১৫০০ কোটি টাকার নাটক ছিল সাজানো। এই প্রতারণার শাস্তি চান বলেই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
এ কারণে পুলিশ যাকে ধরছে, হাজতে নিয়ে মারছে। কৌতূহলবশত হলেও সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এই ঘটনার ভিকটিম হচ্ছেন মাওলানা ইমরান আহমদ। তিনি উপজেলার মকরমপুর গ্রামের আবদুল খালিকের ছেলে। জগন্নাথপুরের সাবেক এমপি শাহীনূর পাশার আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। এখন তিনি স্যানিটারি ও হোটেল ব্যবসায়ী বলে নিজেকে পরিচয় দেন। সৈয়দপুরের আশকোনা গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী রহমত আলীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন হাফিজ কামরুল ইসলাম। কামরুল ইসলামের প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন মাওলানা ইমরান আহমদ। মামলার এজাহারে তিনি দাবি করেছেন ১৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় তিনি কামরুলের হাতে তুলে দিয়েছিলেন সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে সৈয়দপুরের গোয়ালগাঁওয়ের হাফিজ এনামুল হাসানের মাধ্যমে হাফিজ কামরুলের সঙ্গে পরিচয় হয় বাদী মাওলানা এমরান আলমের। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে হাফিজ কামরুল, তার পিতা আব্দুল কাদির ও মা রানু বেগম প্রায় সময় এমরানদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। পরিচয়ের কিছুদিন পর আব্দুল কাদির ও রানু বেগম তার ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম সম্পর্কে মাওলানা এমরান আলমের সঙ্গে আলোচনা করেন। বলেন- হাফিজ কামরুলকে জিনে ধরে নিয়ে গিয়েছিলো। প্রায় ৭ বছর পর জিন হাফিজ কামরুলকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন জিনেদের কাছে হাফিজ কামরুল যা চায় তাই পায়। কামরুলের যেকোনো ইচ্ছা তারা পূরণ করে দেয়। এ নিয়ে বেশ কয়েক বার কামরুলের পিতা-মাতা বিষয়টি নিয়ে মাওলানা এমরানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এভাবে দিনের পর দিন প্রভাবিত করার পর ২৭শে জুলাই কামরুল ইসলাম মামলার বাদী এমরানকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ওখানে তিনি এমরান আহমদ কামরুলের পিতা-মাতা ছাড়াও তার ভাই পাবেল, আদিল সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে দেখতে পান। ওখানে যাওয়ার পর কামরুল ইসলাম জানায়, জিনদের সাড়ে ৩ কোটি টাকার শিরনি দিলেই তারা খুশি হয়ে ১৫০০ কোটি টাকা দেবে। এবং বিষয়টি গোপন রাখার জন্য সে এমরানকে জানায়।
এসময় কামরুল সহ অন্যরা তাকে অজ্ঞাত একটি রুমে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রুমের ভেতরে তালাবদ্ধ ৫টি ড্রাম ও দুটি ট্রাঙ্ক দেখায়। জানায়, ওই ড্রাম এবং ট্রাঙ্কের ভেতরে ১৫০০ কোটি টাকা রয়েছে। সাড়ে ৩ কোটি টাকার শিরনি দেয়ার পর ড্রাম ও ট্রাঙ্কের তালা খুললে সব টাকা পাওয়া যাবে। তাদের এসব ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ১৫০০ কোটি টাকা পাওয়ার আশায় রেস্টুরেন্ট ও স্যানিটারি ব্যবসা আত্মীয়স্বজনের কাছে ‘বন্ধক রেখে ২রা আগস্ট ৫০ লাখ টাকা বুঝাইয়া দেন। পরবর্তীতে ১৮ই আগস্ট আরো ৫০ লাখ টাকা, ১৮ই নভেম্বর আরো দুই কোটি টাকা তুলে দেয়া হয়। মোট তিন কোটি টাকা তুলে দেয়ার পর মাওলানা এমরানের কাছে জিনের দেয়া ১৫০০ কোটি টাকা সংবলিত ৫টি ড্রাম ও দুটি ট্রাঙ্ক দিয়ে দেয়া হয়। সম্পূর্ণ টাকা দেয়া শেষ হলে ওই ট্রাঙ্ক ও ড্রাম খোলার কথা বলা হয়। ২৭শে নভেম্বর সাড়ে ৩ কোটি টাকার সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করেন এমরান আহমদ। এরপর ট্রাঙ্ক ও ড্রামের চাবি নিতে ২৮ শে নভেম্বর বাড়ি যাওয়ার কথা বলে হাফিজ কামরুল। কথামতো চাবি নিতে ওই দিন মাওলানা এমরান আহমদ হাফিজ কামরুলের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘর তালাবদ্ধ। এরপর মাওলানা এমরান বাড়িতে গিয়ে ৫টি ড্রাম ও দুটি ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে দেখতে পান ভেতরে পুরাতন কাপড় ও জুতা, ইটের টুকরো রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, হাফিজ কামরুল ও তার পরিবারের লোকজন সকল মালামাল নিয়ে চিরতরে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
এ ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন এমরান আহমদ। পরবর্তীতে তিনি এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাফিজ কামরুল ইসলাম সহ তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করা হয়। ঘটনার পর ২৬শে এপ্রিল পুলিশ নেত্রকোনার কেন্দুয়া এলাকা থেকে কামরুলকে তার পিতা-মাতা সহ গ্রেপ্তার করে। এদিকে এ ঘটনায় গত ১১ই মে রাতে পুলিশ পরিচয়দানকারী অসুস্থ ব্যক্তি সৈয়দপুরের গোয়ালগাঁওয়ের হাফিজ এনামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। হাফিজ এনামুলের ভাই ইয়াকুব মিয়া মানবজমিনকে জানিয়েছেন, হাফিজ এনামুল হাসানকে পুলিশ শত্রুতামূলক ভাবে ধরে নিয়ে আসে। এবং তাকে রাতে থানা হাজতে চোখ বেঁধে নির্যাতন করে। এতে করে এনামুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি জানান, এনামুল হাসান ওই মামলার আসামি নয়। কিন্তু পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে এনে থানা হাজতে নির্যাতন করে। এনামুল হাসান দুই বার স্ট্রোক করায় দীর্ঘ দিন হাঁটাচলা করতে পারেননি বলে জানান তিনি। সুনামগঞ্জ আদালতের এনামুল হাসানের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল মজাদ চৌধুরী জানিয়েছেন, আসামি এনামুল হাসানকে মারধর করায় আমরা বিষয়টি আদালতকে অবগত করেছি। আদালত আর্জি আমলে নিয়েছেন। দুইদিন পরে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এদিকে আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই হাবিবুর রহমান গ্রেপ্তার করা এনামুল হাসানকে নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, পূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি কামরুল ইসলাম ও তার মা রানু বেগমের স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দির প্রেক্ষিতে এনামুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করে তার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার ভিকটিম ইমরান আহমদ মানবজমিনকে জানিয়েছেন, জিনের দেয়া ১৫০০ কোটি টাকার নাটক ছিল সাজানো। এই প্রতারণার শাস্তি চান বলেই তিনি আদালতে মামলা করেছেন।
No comments