হাতপাখায় জীবিকা ৫ শতাধিক পরিবারের by এস আলম তুহিন
তালপাতার
পাখা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন মাগুরা জেলার- নিজনান্দুয়ালী,
বাটিকাডাঙ্গা, সদর উপজেলার জগদল, মাধবপুর, শ্রীপুর উপজেলার জোকা, মহম্মদপুর
উপজেলার নহাটা ও শালিখার দরিশলই, গঙ্গারামপুর, পরিয়াট, রায়পুর গ্রামের
প্রায় ৫’শতাধিক পরিবার।
শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের পাখার মহাজন আব্দুল মান্নান জানান, তালপাখার জন্য ছোটগাছের পাতার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আগে এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত তালপাতা পাওয়া গেলেও এখন আগের মতো পাতা মেলে না। দূর-দূরান্ত থেকে পাতা কিনে আনতে হয়। গাছ থেকে ১শ’ পাতা কিনতে হয় ৫শ’ টাকায়। তবে, শ্রমিক লাগিয়ে পাতা কেটে বাড়িতে পৌঁছাতে খরচ হয় ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। যার একেকটি পাতা থেকে মাত্র দুটি করে পাখা তৈরি হয়। যাবতীয় খরচ মিটিয়ে একটি পাখা বানাতে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
বাজারে একেকটি ভালোমানের তালপাখার খুচরা দাম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। ১শ’ পাখার মহাজনি দাম প্রায় ১৪শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা। তবে ঘরে বসেই এই সব পাখা বিক্রি হয়ে যায় তার। পাইকাররা তার বাড়ি থেকেই পাখা কিনে নিয়ে যান। শালিখার পরিয়াট গ্রামের ছায়েদুল ও শহরের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ছাত্তার জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি পাখা বিক্রেতা। তাদের বাড়িতে সব সময় ১০/১৫ হাজার পাখা মজুত থাকে। এ দু’জন ছাড়াও এ জেলার মহাজনদের কাছ থেকে ঢাকা, খুলনা, পাবনা, রাজশাহী ও কুষ্টিয়া থেকে ক্রেতারা পাখা কিনে নিয়ে যায়। পাখা বিক্রেতা আব্দুল মান্নান (৭৫) জানান, ৬০ বছর ধরে এ পাখা শিল্পের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। ২০ পয়সা থেকে আমার জীবনে পাখা বিক্রি শুরু করি। বিগত বছরগুলোতে সারা দিন শহরে ঘুরে ঘুরে পাখা বিক্রি করে বেড়িয়েছি। কিন্তু এখন আর বেশি ঘুরতে হয় না। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আর এক পাখা বিক্রেতা আক্কাস আলী জানান, আমি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পাখা বিক্রি করছি। শুধুমাত্র চৈত্রের শুরুতেই আমি হাতপাখা বিক্রি করি। মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন আমার প্রায় ২০-৩০টা পাখা বিক্রি হয়। এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে আমি পাখা বিক্রি করি। শালিখা উপজেলার পরিয়াট গ্রামের বিধবা আখিরন্নেছা (৬০) বলেন, তালপাখাই আমার সংসার টিকিয়ে রেখেছে। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর ছয় ছেলেমেয়ে নিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়ি। এ সময় উপায় না পেয়ে বাবার বাড়ি থেকে শিখে আসা পাখা তৈরির কাজ শুরু করি। এখন আর খাওয়া-পড়ার চিন্তা করতে হয় না। পাখার কারিগররা জানান, তালপাখা তৈরিতে দরকার হয় তালপাতা, বাঁশের শলাকা, কঞ্চি, সুতা-সুই ও রং। প্রথমে শুকনা তালপাতা কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে জাগ দিতে হয়। জাগ দেয়া শেষে তালপাতা পানি থেকে তুলে বাঁশের কঞ্চির সাহায্যে কলম লাগিয়ে রোদে শুকানো হয়। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে গোল করে ছেটে আগে থেকে রং করে রাখা বাঁশের শলাকা দিয়ে সুই-সুতায় বাঁধা হয়। পাখাকে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন রংয়ের সুতা দিয়ে নকশা করা হয়ে থাকে। তবে নিজস্ব পুঁজি না থাকায় অধিকাংশ পাখার কারিগর এ শিল্পে শ্রম বিক্রি করে থাকেন।
শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের পাখার মহাজন আব্দুল মান্নান জানান, তালপাখার জন্য ছোটগাছের পাতার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আগে এ অঞ্চলে পর্যাপ্ত তালপাতা পাওয়া গেলেও এখন আগের মতো পাতা মেলে না। দূর-দূরান্ত থেকে পাতা কিনে আনতে হয়। গাছ থেকে ১শ’ পাতা কিনতে হয় ৫শ’ টাকায়। তবে, শ্রমিক লাগিয়ে পাতা কেটে বাড়িতে পৌঁছাতে খরচ হয় ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। যার একেকটি পাতা থেকে মাত্র দুটি করে পাখা তৈরি হয়। যাবতীয় খরচ মিটিয়ে একটি পাখা বানাতে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা।
বাজারে একেকটি ভালোমানের তালপাখার খুচরা দাম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। ১শ’ পাখার মহাজনি দাম প্রায় ১৪শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা। তবে ঘরে বসেই এই সব পাখা বিক্রি হয়ে যায় তার। পাইকাররা তার বাড়ি থেকেই পাখা কিনে নিয়ে যান। শালিখার পরিয়াট গ্রামের ছায়েদুল ও শহরের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ছাত্তার জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি পাখা বিক্রেতা। তাদের বাড়িতে সব সময় ১০/১৫ হাজার পাখা মজুত থাকে। এ দু’জন ছাড়াও এ জেলার মহাজনদের কাছ থেকে ঢাকা, খুলনা, পাবনা, রাজশাহী ও কুষ্টিয়া থেকে ক্রেতারা পাখা কিনে নিয়ে যায়। পাখা বিক্রেতা আব্দুল মান্নান (৭৫) জানান, ৬০ বছর ধরে এ পাখা শিল্পের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। ২০ পয়সা থেকে আমার জীবনে পাখা বিক্রি শুরু করি। বিগত বছরগুলোতে সারা দিন শহরে ঘুরে ঘুরে পাখা বিক্রি করে বেড়িয়েছি। কিন্তু এখন আর বেশি ঘুরতে হয় না। সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আর এক পাখা বিক্রেতা আক্কাস আলী জানান, আমি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পাখা বিক্রি করছি। শুধুমাত্র চৈত্রের শুরুতেই আমি হাতপাখা বিক্রি করি। মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন আমার প্রায় ২০-৩০টা পাখা বিক্রি হয়। এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে আমি পাখা বিক্রি করি। শালিখা উপজেলার পরিয়াট গ্রামের বিধবা আখিরন্নেছা (৬০) বলেন, তালপাখাই আমার সংসার টিকিয়ে রেখেছে। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর ছয় ছেলেমেয়ে নিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়ি। এ সময় উপায় না পেয়ে বাবার বাড়ি থেকে শিখে আসা পাখা তৈরির কাজ শুরু করি। এখন আর খাওয়া-পড়ার চিন্তা করতে হয় না। পাখার কারিগররা জানান, তালপাখা তৈরিতে দরকার হয় তালপাতা, বাঁশের শলাকা, কঞ্চি, সুতা-সুই ও রং। প্রথমে শুকনা তালপাতা কয়েক ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে জাগ দিতে হয়। জাগ দেয়া শেষে তালপাতা পানি থেকে তুলে বাঁশের কঞ্চির সাহায্যে কলম লাগিয়ে রোদে শুকানো হয়। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে গোল করে ছেটে আগে থেকে রং করে রাখা বাঁশের শলাকা দিয়ে সুই-সুতায় বাঁধা হয়। পাখাকে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন রংয়ের সুতা দিয়ে নকশা করা হয়ে থাকে। তবে নিজস্ব পুঁজি না থাকায় অধিকাংশ পাখার কারিগর এ শিল্পে শ্রম বিক্রি করে থাকেন।
No comments