৪০ হাজার রোহিঙ্গা বহিষ্কার করবে ভারত- রাখাইন রাজ্যে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানোয় জাতিসঙ্ঘের উদ্বেগ
মিয়ানমারের
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে অতিরিক্ত সৈন্য পাঠানোর খবরে উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার ইয়াংহি লি।
জেনেভা থেকে গতকাল শুক্রবার দেয়া এক বিবৃতি তিনি বলেন, এ ঘটনা একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি বাহিনী যাতে সব পরিস্থিতিতে সংযত এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে, মিয়ানমার সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইয়াংহি লি বলেন, ‘গত অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যের মংডু ও রুথিডংয়ে সীমান্তরক্ষীদের তিনটি চৌকিতে হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি স্মরণ করে আমি বিশেষভাবে শঙ্কিত।’
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার বলেন, রাখাইন রাজ্যের ঘটনা তদন্তে গঠিত মিয়ানমার সরকারের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নানা অপরাধের অভিযোগ সঠিকভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছে। কমিশন এগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেখার পরামর্শ দিয়েছে।
তিনি বলেন, রাখাইনের সংখ্যালঘু স্থানীয় জনগোষ্ঠির কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত ৩ আগস্ট ছয়জন ম্রো গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়েছে।
ইয়াংহি লি বলেন, রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান করা এবং চরমপন্থীদের হাত থেকে জনগণকে রক্ষার দায়িত্ব সরকারের রয়েছে। কিন্তু এ দায়িত্ব সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া প্রয়োজন। নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পক্ষপাত করতে পারে না। নিরাপত্তা বাহিনীর যেকোনো পদক্ষেপ বা অভিযান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালা ও মানদণ্ড অনুযায়ী হতে হবে।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ারও ইয়াংহি লি’র মতামতকে সমর্থন দিয়েছেন।
এদিকে রয়েটার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অবস্থান করা ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে ফেরত পাঠানোর একটি পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সাথে আলোচনা করছে ভারত।
এতে বলা হয়, উদ্বাস্তু বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধন নিয়ে ১৪ হাজার রোহিঙ্গা ভারতে বসবাস করছে। বাকী রোহিঙ্গাদের অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে চাইছে ভারত। ভারত উদ্বাস্তু বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ সনদ সই করেনি এবং দেশটির জাতীয় কোনো আইন দ্বারা উদ্বাস্তুরা সুরক্ষিত নয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কে এস ধাতওয়ালি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সাথে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। যথাসময়ে তা আরো পরিষ্কার হবে।’
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরন রাজ্জু গত বুধবার পার্লামেন্টে বলেছেন, জেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করার জন্য রাজ্য সরকারগুলোকে নিদের্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
১৯৯০ সালের গোড়া থেকে মিয়ানমার সরকারের দমন-পীড়ন ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের একটি অংশ সীমান্ত দিয়ে ভারতেও গিয়েছে। রোহিঙ্গারা মূলত ভারতের জম্মু, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থানে বসবাস করছে।
জেনেভা থেকে গতকাল শুক্রবার দেয়া এক বিবৃতি তিনি বলেন, এ ঘটনা একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। রাখাইন রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি বাহিনী যাতে সব পরিস্থিতিতে সংযত এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে, মিয়ানমার সরকারকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
ইয়াংহি লি বলেন, ‘গত অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যের মংডু ও রুথিডংয়ে সীমান্তরক্ষীদের তিনটি চৌকিতে হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি স্মরণ করে আমি বিশেষভাবে শঙ্কিত।’
মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ার বলেন, রাখাইন রাজ্যের ঘটনা তদন্তে গঠিত মিয়ানমার সরকারের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ নানা অপরাধের অভিযোগ সঠিকভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে স্বীকার করেছে। কমিশন এগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেখার পরামর্শ দিয়েছে।
তিনি বলেন, রাখাইনের সংখ্যালঘু স্থানীয় জনগোষ্ঠির কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত ৩ আগস্ট ছয়জন ম্রো গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়েছে।
ইয়াংহি লি বলেন, রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান করা এবং চরমপন্থীদের হাত থেকে জনগণকে রক্ষার দায়িত্ব সরকারের রয়েছে। কিন্তু এ দায়িত্ব সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া প্রয়োজন। নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ পক্ষপাত করতে পারে না। নিরাপত্তা বাহিনীর যেকোনো পদক্ষেপ বা অভিযান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালা ও মানদণ্ড অনুযায়ী হতে হবে।
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড বিষয়ক জাতিসঙ্ঘের স্পেশাল রেপোর্টিয়ারও ইয়াংহি লি’র মতামতকে সমর্থন দিয়েছেন।
এদিকে রয়েটার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে অবস্থান করা ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানকে ফেরত পাঠানোর একটি পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সাথে আলোচনা করছে ভারত।
এতে বলা হয়, উদ্বাস্তু বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধন নিয়ে ১৪ হাজার রোহিঙ্গা ভারতে বসবাস করছে। বাকী রোহিঙ্গাদের অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে চাইছে ভারত। ভারত উদ্বাস্তু বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ সনদ সই করেনি এবং দেশটির জাতীয় কোনো আইন দ্বারা উদ্বাস্তুরা সুরক্ষিত নয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কে এস ধাতওয়ালি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সাথে এ ব্যাপারে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে। যথাসময়ে তা আরো পরিষ্কার হবে।’
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরন রাজ্জু গত বুধবার পার্লামেন্টে বলেছেন, জেলা পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন করে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশীদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করার জন্য রাজ্য সরকারগুলোকে নিদের্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
১৯৯০ সালের গোড়া থেকে মিয়ানমার সরকারের দমন-পীড়ন ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের একটি অংশ সীমান্ত দিয়ে ভারতেও গিয়েছে। রোহিঙ্গারা মূলত ভারতের জম্মু, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লি, হায়দ্রাবাদ ও রাজস্থানে বসবাস করছে।
No comments