দাঁড়ির জন্য চাকরি হারিয়ে আদালতে মুসলিম জওয়ান
সেনাবিহিনীতে
থাকতে গেলে হতে হবে একদম ‘ক্লিন শেভ’। দাড়ি রাখা চলবে না। ভারতীয়
সেনাবাহিনীতে এমনই নিয়ম। আবার মুসলমানরা ধর্মীয় কারণে দাড়ি রেখে থাকেন।
দাড়ি রাখতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য মাক্তুম হোসেন।
৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান মাক্তুম হোসেন কর্ণাটকের বাসিন্দা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে শিখ ধর্মাবলম্বী ছাড়া আর কোনো ধর্মের লোকেদের দাড়ি রাখার অধিকার নেই। কিন্তু ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে দাড়ি রাখার অপরাধে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মাক্তুম হোসেনকে। ২০০১ সালে ধর্মীয় কারণে দাড়ি রাখার জন্য কমান্ডিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছিলেন মাক্তুম হোসেন। সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি কমান্ডিং অফিসার। উল্টা চাকরি থেকেই বসিয়ে দেয়া হয়েছিল ওই জওয়ানকে। কোচির আর্মড ফোর্স আদালতও মাক্তুম হোসেনের দাড়ি রাখার বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছিল।
৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ান মাক্তুম হোসেন কর্ণাটকের বাসিন্দা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে শিখ ধর্মাবলম্বী ছাড়া আর কোনো ধর্মের লোকেদের দাড়ি রাখার অধিকার নেই। কিন্তু ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে দাড়ি রাখার অপরাধে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয় মাক্তুম হোসেনকে। ২০০১ সালে ধর্মীয় কারণে দাড়ি রাখার জন্য কমান্ডিং অফিসারের কাছে আবেদন করেছিলেন মাক্তুম হোসেন। সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি কমান্ডিং অফিসার। উল্টা চাকরি থেকেই বসিয়ে দেয়া হয়েছিল ওই জওয়ানকে। কোচির আর্মড ফোর্স আদালতও মাক্তুম হোসেনের দাড়ি রাখার বিরুদ্ধেই রায় দিয়েছিল।
এরপর কর্ণাটক হাই কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মাক্তুম হোসেন।
সেখানেও আদালত তার বিপক্ষেই রায় শুনিয়েছিল। তারপর তাকে পুনেতে অবস্থিত
সেনাবাহিনীর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও একই সমস্যার সম্মুখীন
হতে হয় জওয়ান মাক্তুম হোসেনকে। সেনাবাহিনীর নিয়ম অমান্য করে দাড়ি রাখার
অপরাধে তাকে ১৪ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। কোনোদিকেই কোনো সুরাহা না
হওয়ায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ওই মুসলিম
জওয়ান। যদিও দেশের সর্বোচ্চ আদালত সেনাবাহিনীর নিয়ম শিথিল করে তার পক্ষে
রায় দেবে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে মাক্তুম হোসেন।
No comments