সিয়াওবোর মুক্তি দাবি করেছেন ডেসমন্ড টুটু ও হাভেল
এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চীনের ভিন্নমতাবলম্বী মানবাধিকারকর্মী লিউ সিয়াওবোর মুক্তি দাবি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ধর্মযাজক ডেসমন্ড টুটু ও চেক প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভাকস্লাভ হাভেল। আগামী শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোয় নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। সিয়াওবোকে ওই অনুষ্ঠানের আগেই মুক্তি দেওয়ার জন্য চীনের প্রতি এ আহ্বান জানান তাঁরা।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র অবজারভার-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে শান্তিতে নোবেলজয়ী টুটু ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হাভেল বলেন, এ বছর শান্তিতে নোবেলজয়ী সিয়াওবোর গল্পটা সে দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের একজনের গল্প। কিন্তু তা প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চীনের কর্তৃপক্ষের পরমতের প্রতি অসহিষ্ণুতার স্পষ্ট প্রমাণ মিলছে। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে চীনের এ অবস্থান সত্যি দুঃখজনক।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে টুটু ও হাভেল বলেন, চীনের নিজ ভূখণ্ডে ভিন্নমতাবলম্বী মানবাধিকারকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সত্যিকারের বিশ্বনেতা হতে হলে চীনকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ত্যাগ করতে হবে। তাঁরা অভিযোগ করেন, চীন সারা বিশ্বে স্বৈরশাসকদের মদদ জোগানোর মধ্য দিয়ে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। তাঁরা বলেন, চীনের নীতি নিয়ে সমালোচনা করলে সে দেশের কর্তৃপক্ষ তা সহজে গ্রহণ করতে পারে না। এতে প্রমাণিত হয় চীন কতটা আস্থাহীনতায় ভোগে। আর এ ধরনের আস্থাহীনতা ভবিষ্যতে জনগণের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
৫৪ বছর বয়সী লিউকে গত বছরের ডিসেম্বরে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন চীনের একটি আদালত। ২০০৮ সালের ‘চার্টার-২০০৮’ শিরোনামে একটি মেনিফেস্টো প্রকাশ করার দায়ে তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। তিনি সেই কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী লিউ সিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, এটা এখনো স্পষ্ট নয়। কমিটির নিয়ম অনুযায়ী নোবেলজয়ী কিংবা তাঁর নিকটজনের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র অবজারভার-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে শান্তিতে নোবেলজয়ী টুটু ও সাবেক প্রেসিডেন্ট হাভেল বলেন, এ বছর শান্তিতে নোবেলজয়ী সিয়াওবোর গল্পটা সে দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের একজনের গল্প। কিন্তু তা প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চীনের কর্তৃপক্ষের পরমতের প্রতি অসহিষ্ণুতার স্পষ্ট প্রমাণ মিলছে। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে চীনের এ অবস্থান সত্যি দুঃখজনক।
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করে টুটু ও হাভেল বলেন, চীনের নিজ ভূখণ্ডে ভিন্নমতাবলম্বী মানবাধিকারকর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সত্যিকারের বিশ্বনেতা হতে হলে চীনকে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ত্যাগ করতে হবে। তাঁরা অভিযোগ করেন, চীন সারা বিশ্বে স্বৈরশাসকদের মদদ জোগানোর মধ্য দিয়ে নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। তাঁরা বলেন, চীনের নীতি নিয়ে সমালোচনা করলে সে দেশের কর্তৃপক্ষ তা সহজে গ্রহণ করতে পারে না। এতে প্রমাণিত হয় চীন কতটা আস্থাহীনতায় ভোগে। আর এ ধরনের আস্থাহীনতা ভবিষ্যতে জনগণের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
৫৪ বছর বয়সী লিউকে গত বছরের ডিসেম্বরে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন চীনের একটি আদালত। ২০০৮ সালের ‘চার্টার-২০০৮’ শিরোনামে একটি মেনিফেস্টো প্রকাশ করার দায়ে তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। তিনি সেই কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী লিউ সিয়াকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার কার হাতে তুলে দেওয়া হবে, এটা এখনো স্পষ্ট নয়। কমিটির নিয়ম অনুযায়ী নোবেলজয়ী কিংবা তাঁর নিকটজনের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
No comments