আন্তর্জাতিক- উইকিলিকসঃ হাটে হাঁড়ি ভাঙা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ by মশিউল আলম
জর্জ অরওয়েল বেঁচে থাকলে এই মুহূর্তে দৃঢ় আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরতেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে। ১৯৪৮ সালে নাইনটিন এইটি ফোর নামে যে অ্যান্টি-ইউটোপিয়ান উপন্যাসটি অরওয়েল লিখেছিলেন, তাতে এক কল্পিত টোটালিটারিয়ান রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তার ছবি তিনি এঁকেছিলেন, যে কিনা প্রত্যেক নাগরিকের সার্বক্ষণিক আচরণ নখদর্পণে রাখার ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, তার ‘থট পুলিশ’ নজর রাখছে কে কী চিন্তা করছে। সারা রাজ্যের দেয়ালে দেয়ালে সেই রাষ্ট্রপ্রভুর ছবিসংবলিত পোস্টারে লেখা রয়েছে সতর্কবাণী: ‘বিগ ব্রাদার ইজ ওয়াচিং ইউ!’
এখন অরওয়েল বেঁচে থাকলে, মানবজগতের সুখ-শান্তি ও প্রাইভেসি পয়মালকারী স্বঘোষিত বিশ্বপ্রভু আমেরিকাসহ পৃথিবীর সব নিয়ন্ত্রণবাদী, গোপনীয়তাপ্রবণ রাষ্ট্র ও প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে বলতেন: ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ইজ লিকিং ইউ।’
বলছি দুনিয়া-কাঁপানো ভারচুয়াল নথিভান্ডার উইকিলিকসের এডিটর ইন চিফ জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জের কথা। কে এই লোক? কোত্থেকে আবির্ভাব ঘটল তাঁর? কী তাঁর চিন্তাভাবনা? কী লক্ষ্যে তিনি হাতে তুলে নিয়েছেন সভ্যতার ইতিহাসের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি? কী মতলব ৩৯ বছর বয়সী এই যুবকের, যাঁকে কেউ বলছেন দুর্দমনীয় ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনফরমেশন ট্রাফিকার’, কেউ বলছেন ‘গ্রেটেস্ট হুইসলব্লোয়ার অব আওয়ার টাইম’?
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ডাউন্সভিলে তাঁর জন্ম, ১৯৭১ সালের ৩ জুলাই। মা-বাবা এক ভ্রাম্যমাণ থিয়েটার কোম্পানি চালাতেন। জুলিয়ানের বয়স যখন আট বছর, তখন মা-বাবার বিচ্ছেদ ঘটে। মা বিয়ে করেন এক সংগীতশিল্পীকে। মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন, পড়াশোনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন স্কুলে ও মোট ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে; পড়েছেন পদার্থবিজ্ঞান আর গণিত, দর্শন এমনকি নিউরোসায়েন্সও। আর রপ্ত করেছেন কম্পিউটার প্রোগ্রামিং। প্রকাশ্য জগৎসংসারের আড়ালে যে আরেক বাস্তব জগৎ আছে, যা গোপন, যা সাধারণ্যে প্রকাশ পায় না, তেমন কিছুর প্রতি আকর্ষণ অ্যাসাঞ্জের মনকে সব সময় তাড়া করে ফিরেছে। তাই বুঝি ১৬ বছর বয়সেই শুরু করে দেন গোপনের পিছু ধাওয়া: তথ্যমহাসড়কের আনাচকানাচে শুরু করে দেন সিঁধ কাটা, তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় যার নাম হয়েছে ইন্টারনেট হ্যাকিং। মজার কথা, হ্যাকার হিসেবে যে ছন্দনামটি তিনি বেছে নিয়েছিলেন, তা হলো মেনডেক্স, মানে ‘নোবলি আনট্রুথফুল’। আরও দুই হ্যাকারের সঙ্গে মিলে গড়েছিলেন একটা গ্রুপ, নাম দিয়েছিলেন ‘ইন্টারন্যাশনাল সাবভারসিভস’। অ্যাসাঞ্জ এই গ্রুপের জন্য একটা নীতিমালা তৈরি করেছিলেন; সংক্ষেপে কথাগুলো ছিল এমন: ‘কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেলেও ওটার সিস্টেমের ক্ষতি করো না; ওই সিস্টেমে যেসব তথ্য আছে সেগুলো পরিবর্তন করো না (শুধু লগ ছাড়া); আর তথ্য বিনিময় করো, ছড়িয়ে দাও।’ তথ্যমহাসড়কের বিভিন্ন অঙ্গনে সিঁধেল চোরের মতো ঢুকে পড়ার অভিযোগে ১৯৯১ সালে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ অ্যাসাঞ্জের মেলবোর্নের বাসায় হানা দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কানাডিয়ান টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি নরটেলের কম্পিউটার তথ্যব্যবস্থা এবং আরও কয়েকটি সংস্থার কম্পিউটার নেটওয়ার্কসহ ২৪ জায়গায় হ্যাকিংয়ের অভিযোগে ১৯৯২ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন; ২১ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা এবং অসদাচরণ করবেন না বলে হলফনামা দেওয়ার পর মুক্তি পান। মামলার প্রসিকিউটর অবশ্য তাঁর আচরণ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘একধরনের বুদ্ধিদীপ্ত অনুসন্ধিৎসা আর বিভিন্ন কম্পিউটার রাজ্যে পরিভ্রমণের আনন্দ উপভোগ ছাড়া অ্যাসাঞ্জের মধ্যে খারাপ কোনো মতলবের প্রমাণ মেলেনি।’
১৯৯৪ সাল থেকে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসবাস শুরু করেন একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে; এমন সব সফটওয়্যার তৈরি করা শুরু করেন, যেগুলো বিনা খরচে সবাই ব্যবহার করতে পারে। আন্ডারগ্রাউন্ড: দি টেলস অব হ্যাকিং, ম্যাডনেস অ্যান্ড অবসেশান অন দি ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার নামের একটি বই লেখার কাজেও তিনি সহযোগিতা করেন। মানবাধিকারকর্মীদের ব্যবহারের জন্যও তিনি কিছু সফটওয়্যার তৈরি করেছেন।
উইকিলিকসের আবির্ভাব
তথ্যমহাসড়কে ‘উইকিলিকস’-এর আবির্ভাব ঘটে ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে, যার স্লোগান: ‘উই ওপেন গভর্নমেন্টস’। (উইকিপিডিয়ার সঙ্গে উইকিলিকসের কোনো সম্পর্ক নেই)। ‘ডকুমেন্ট আর্কাইভ’ ওয়েবসাইট উইকিলিকসের কাজ ‘অপ্রকাশিত’, ‘গোপনীয়’, ‘নিষিদ্ধ’ ইত্যাদি বিশেষণে কুক্ষিগত, সাধারণের পক্ষে দুষ্প্রাপ্য বা একেবারেই অপ্রাপ্য তথ্য ও নথিপত্র সারা পৃথিবীর মানুষের সামনে প্রকাশ করা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, উইকিলিকসের ফাউন্ডার বা প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ। কিন্তু অ্যাসাঞ্জ নিজের পরিচয় দেন এর প্রধান সম্পাদক ও মুখপাত্র হিসেবে। নয় সদস্যের এক উপদেষ্টা পর্ষদ আছে, অ্যাসাঞ্জও তাঁদের অন্যতম। কয়েকজন ভিন্ন মতাবলম্বী চীনা নাগরিক, যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক, গণিতবিদ, ছোটখাটো নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিবিদ মিলে এটা চালান বলে উইকিলিকস কর্তৃপক্ষ নিজে দাবি করে। বেতনভুক কোনো কর্মী নেই, মূলত পাঁচজন সার্বক্ষণিক কর্মী কাজ করেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের নির্দেশনা অনুযায়ী। অনিয়মিতভাবে তাঁদের সহযোগিতা করেন আরও প্রায় ৮০০ স্বেচ্ছাসেবী। সবাই কাজ করেন বিনা পারিশ্রমিকে। কর্মীদের পারিশ্রমিক দিতে হলে উইকিলিকসের বছরে খরচ হতো প্রায় ছয় লাখ ইউরো; এখন খরচ হয় বছরে দুই লাখ ইউরোর মতো—সার্ভার, ব্যান্ডউইডথ, যন্ত্রপাতি, ভ্রমণ ও আনুষঙ্গিক খাতে। এ টাকা আসে স্বেচ্ছাসেবী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের চাঁদা থেকে।
উইকিলিকসের কেন্দ্রীয় সার্ভার আছে সুইডেনের স্টকহোমে; পিআরকিউ নামের এক সুইডিশ ওয়েব হোস্টিং কোম্পানি উইকিলিকসকে তথ্যসমহাসড়কে সচল রাখে। অ্যাসাঞ্জ সুইডেনকে বেছে নিয়েছেন সুইডিশ সংবিধানে তথ্য প্রকাশে অবাধ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা আছে এবং তথ্য প্রকাশকারীদের আইনি সুরক্ষার ব্যবস্থা সুইডেনে বেশ মজবুত বলে। দেশটির এক আইন বলে, সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো সংবাদের উৎস সম্পর্কে কোনো সংবাদমাধ্যমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না।
গোপন নথিগুলো উইকিলিকস কীভাবে পায়
নানা সূত্রে নানা পদ্ধতিতে উইকিলিকস গোপন তথ্য ও নথিপত্র পায় এবং সংগ্রহ করে। তথ্য ফাঁসকারীদের কেউ ইন্টারনেট হ্যাকার, কেউ কোনো দপ্তরের কর্মী বা কর্মকর্তা। তাদের পরিচয় উইকিলিকস প্রকাশ করে না। কিন্তু কখনো কখনো তাদের পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে নির্বাচনী প্রচারণার সময় রিপাবলিকান পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারাহ পেলিনের ব্যক্তিগত ইয়াহু মেইল অ্যাকাউন্টে একজন হ্যাকার ঢুকে পড়ে মেইলবক্সের সব মেসেজ উইকিলিকস ওয়েবসাইটে পোস্ট করে দেয়। উইকিলিকস ওই হ্যাকারের পরিচয় গোপন রেখেছিল, কিন্তু এফবিআই তার পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছিল।
যুক্তরাজ্যের উগ্র জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ব্রিটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) সাড়ে ১৪ হাজার সদস্যের নাম, ঠিকানা, বয়স, পেশাসম্পর্কিত তথ্যসহ একটি তালিকা উইকিলিকসে পোস্ট করেন এক ব্যক্তি ২০০৮ সালের নভেম্বরে। উইকিলিকস তাঁর পরিচয়ও প্রকাশ করেনি; বিএনপির এক নেতা দাবি করেছেন যে তিনি জানেন, কাজটা করেছেন ওই দল থেকে বের হয়ে যাওয়া এক সদস্য। উইকিলিকস ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের ছয় শতাধিক অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট প্রকাশ করে, সেগুলোর মধ্যে বেশ কিছু রিপোর্ট ছিল ‘কঠোরভাবে গোপনীয়’। এগুলো কে উইকিলিকসকে দিয়েছিল, তা কেউ জানতে পারেনি। একই বছর ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন কংগ্রেসের গবেষণা শাখা কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের ছয় হাজার ৭৮০টি রিপোর্ট উইকিলিকস ফাঁস করে দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা প্রচুরসংখ্যক অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য ও নথিপত্র উইকিলিকস অনলাইনে প্রকাশ করেছে। ই-মেইল বার্তা, মুদ্রিত নানা নথিপত্রের ইমেজ-কপি (পিডিএফ), গোপনে আড়ি পেতে রেকর্ড করা টেলিফোন সংলাপের অডিও কপি, ভিডিওচিত্রের কপি—এসব নানা পদ্ধতিতে উইকিলিকস তথ্য ফাঁস করে থাকে।
উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে প্রথম বড় রকমের আলোড়ন সৃষ্টি করে এ বছরের জুলাই ও অক্টোবর মাসে আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর হত্যাযজ্ঞসহ যুদ্ধ-তৎপরতা সম্পর্কে দুটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্রসহ প্রচুরসংখ্যক গোপন নথি ফাঁস করার মধ্য দিয়ে। তারপর গত ২৮ নভেম্বর ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রায় আড়াই লাখ গোপন নথিপত্র: বিশ্বব্যাপী অবস্থানরত ২৭৪টি মার্কিন কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র সদর দপ্তরের দৈনন্দিন ভিত্তিতে যেসব তারবার্তা চালাচালি হয়েছে। উইকিলিকস এই কূটনৈতিক তারবার্তাগুলোর কপি যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান, স্পেনের এল পাইস, জার্মানির ডের স্পিগেল, ফ্রান্সেরল্য মঁদ, যুক্তরাজ্যের নিউইয়র্ক টাইমসসে সরবরাহ করেছে। মূলধারার সংবাদপত্রগুলো সেসব নথিপত্রের ভিত্তিতে সংবাদ প্রতিবেদন, মন্তব্য-বিশ্লেষণ এবং সরকারসহ বিভিন্ন মহলের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছে। প্রতিদিনই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের উল্লেখযোগ্য অংশজুড়ে থাকছে উইকিলিকসের ফাঁস করা নথিগুলোর ভিত্তিতে রচিত সংবাদ ও অন্যান্য লেখালেখি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনসহ পুরো মার্কিন প্রশাসন ও প্রতিরক্ষা বিভাগ কতটা খেপে গিয়েছে, অ্যাসাঞ্জকে শায়েস্তা করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন, উইকিলিকসে ঢোকার পথ বন্ধ করার জন্য কত ধরনের চেষ্টা চলছে, সেসব খবরও যথারীতি পাওয়া যাচ্ছে। আমেরিকায় এভরিডিএনএস নামের যে ওয়েব হোস্টিং কোম্পানিটি উইকিলিকস হোস্টিং করত, সেটি আপাতত তা বন্ধ রেখেছে, কিন্তু সে দেশে ‘উইলিকস ডট ডিই’ এবং আরও কয়েকটি ঠিকানায় ওয়েবসাইটটিতে এখনো ঢোকা যাচ্ছে। জার্মানি, চীনসহ অন্যান্য দেশেও উইকিলিকসে প্রবেশের পথ বন্ধ করার চেষ্টা চলেছে, কিন্তু সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে যৌন অপরাধের অভিযোগ, ইন্টারপোলকে দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, যাঁর কোনো স্থায়ী ঘর নেই, যিনি সব সময় ছুটে বেড়ান দেশ-দেশান্তরে, মোটেও দমার পাত্র নন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতে আরও বিপুল পরিমাণ গোপন তথ্য ফাঁস করবেন; এবার উঠে আসবে প্রাইভেট বিজনেস সেক্টরের অন্দরমহলের চিত্র।
অ্যাসাঞ্জের প্রাণনাশের হুমকি চলছে। যেকোনো মুহূর্তে খুন হয়ে যেতে পারেন জেনেও বিশ্বের ক্ষমতাধর মহলগুলোর চক্ষুশূল জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কেন এমন অতি বিপজ্জনক অভিযানে নেমেছেন? কী তাঁর প্রণোদনা? সারা পৃথিবীর সব সংবাদমাধ্যম মিলে এযাবৎ যত গোপন তথ্য বিশ্ববাসীর কাছে উন্মোচন করেছে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও তাঁর পাঁচ সহযোগী ‘হ্যাকার’ তাঁর চেয়ে অনেক বেশি করেছেন, এবং সামনে আরও করতে যাচ্ছেন। প্রায় অর্ধসহস্রাব্দের ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিকতার খোলনলচে পাল্টে দিতেই যেন আবির্ভূত হয়েছেন জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ। গোটা বিশ্বের প্রথাগত সাংবাদিকতার ওপর ‘নিউ মিডিয়া’ বা ইন্টারনেট প্রযুক্তিনির্ভর তথ্যমাধ্যমের সুদূরপ্রসারী প্রভাব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে উইকিলিকসের তৎপরতার মধ্য দিয়ে।
============================
গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে... শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে খবর, প্রথম আলোর- দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার' প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে? আলোচনা- 'মেয়েদের লাঞ্ছনা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আগ্নেয়গিরির ওপরে পিকনিক' আলোচনা- 'হিমালয়ের কোলে এক টুকরো দক্ষিণ এশিয়া' স্মরণ- 'মানুষের জন্য যিনি জেগে থাকতেন' রাজনৈতিক আলোচনা- 'আবার আসিব ফিরে!' আলোচনা- 'রাজকীয় সম্মেলন' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'অসারের তর্জন-গর্জন' আলোচনা- 'একজন নোবেল বিজয়ী, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদ' স্মৃতি ও গল্প- সেই আমি এই আমি গল্প- 'ঘুঁটি' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি : মিয়ানমারে কি কি গণতন্ত্র আসছে? শিল্পি- শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের সৃষ্টিসমগ্র সাহিত্যালোচনা- তান তুয়ান এঙের উপন্যাস দ্য গিফট গিফট অব রেইন খবর- বন্ধ তাবানীতে লোক নিয়োগ ইতিহাস- আমাদের ভাববিশ্ব ও বৌদ্ধবিহার স্মৃতি ও ইতিহাস- ঢাকায় আমার প্রথম তিন দিনের স্মৃতিরোমন্থন আলোচনা- একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি কি হারিয়ে যাবে আলোচনা- বাংলাদেশের সমাজ : মধ্যবিত্ত সমাচার গল্প- দূর গাঁয়ের গল্প সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠা সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠাই কবির তপস্যা পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে'
দৈনিক প্রথম আলোর সৌজন্যর
লেখকঃ মশিউল আলম
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
গল্পসল্প- ওরা ধান কুড়ানির দল শিক্ষা- আদিবাসী পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চাই জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অর্থের মূল উৎস সৌদি আরব রাজনৈতিক আলোচনা- এমন বন্ধু থাকলে... শিল্প-অর্থনীতি শেয়ারবাজারের সুন্দরী প্রতিযোগিতা-তত্ত্ব সাক্ষাৎকার- খাদ্যনিরাপত্তার জন্য বিকল্প উপায় খুঁজতা হবে খবর, প্রথম আলোর- দলীয় স্বার্থ বড় করে দেখবেন না মার্কিন কূটনীতিকদের গোপন তারবার্তাঃ পাকিস্তানে জঙ্গি নির্মূলে ১০-১৫ বছর লাগবে অধ্যাপক ইউনূসের অর্থ স্থানান্তর : গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যা শিল্প-অর্থনীতি 'সময় এসেছে মাথা তুলে দাঁড়াবার' প্রকৃতি- 'কিয়োটো প্রটোকল ভেস্তে যাচ্ছে, কানকুনে কী হবে? আলোচনা- 'মেয়েদের লাঞ্ছনা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আগ্নেয়গিরির ওপরে পিকনিক' আলোচনা- 'হিমালয়ের কোলে এক টুকরো দক্ষিণ এশিয়া' স্মরণ- 'মানুষের জন্য যিনি জেগে থাকতেন' রাজনৈতিক আলোচনা- 'আবার আসিব ফিরে!' আলোচনা- 'রাজকীয় সম্মেলন' যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'অসারের তর্জন-গর্জন' আলোচনা- 'একজন নোবেল বিজয়ী, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও ক্ষুদ্রঋণের ফাঁদ' স্মৃতি ও গল্প- সেই আমি এই আমি গল্প- 'ঘুঁটি' আন্তর্জাতিক- অং সান সু চির মুক্তি : মিয়ানমারে কি কি গণতন্ত্র আসছে? শিল্পি- শিল্পগুরু সফিউদ্দীন আহমেদের সৃষ্টিসমগ্র সাহিত্যালোচনা- তান তুয়ান এঙের উপন্যাস দ্য গিফট গিফট অব রেইন খবর- বন্ধ তাবানীতে লোক নিয়োগ ইতিহাস- আমাদের ভাববিশ্ব ও বৌদ্ধবিহার স্মৃতি ও ইতিহাস- ঢাকায় আমার প্রথম তিন দিনের স্মৃতিরোমন্থন আলোচনা- একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি কি হারিয়ে যাবে আলোচনা- বাংলাদেশের সমাজ : মধ্যবিত্ত সমাচার গল্প- দূর গাঁয়ের গল্প সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠা সাহিত্যালোচনা- কবিতার হয়ে ওঠাই কবির তপস্যা পাঁচ গাড়িসহ দুই ছেলের মালপত্র বুঝে নেওয়া হলো আজ বাকিগুলো গল্প- 'কোনো এক গাঁয়ের বিয়ে'
দৈনিক প্রথম আলোর সৌজন্যর
লেখকঃ মশিউল আলম
এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments