আইপিএলে ফিকে ‘ব্যাগি গ্রিন’
‘এটাই আমার কাছে সবকিছু, এটা আমার ভেতরটাকে স্পর্শ করে। ছেলেবেলায় আমি সব সময় এটাই ভাবতাম। আশা করি, ভাবনাটা সব সময়ই এমন থাকবে। আমার হূদয়টা ওখানেই।’ বক্সিং ডে টেস্টের দলে যোগ দেওয়ার সময় বলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ফিলিপ হিউজ। প্রসঙ্গ, ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ—অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের গর্ব আর অহংকারের জায়গা। একসময় হয়তো সবার ভাবনাটাই এমন ছিল, তবে এখন আর নিজের পক্ষে খুব বেশি কাউকে পাবেন না হিউজ।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে বড়সড় একটা ধাক্কা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) একটি জরিপ। অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ও রাজ্য দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে পরিচালিত জরিপে ৬৭ শতাংশের মত, কেন্দ্রীয় চুক্তি বাদ দিয়ে তাঁরা আইপিএল বা এ ধরনের কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে চান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে ২২ শতাংশ এবং রাজ্য দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ১৮ শতাংশ এগিয়ে আরেক ধাপ। কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে তাঁরা পুরোপুরি ‘ফ্রিল্যান্সার ক্রিকেটার’ হতেই পছন্দ করবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের পথপ্রদর্শক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের ৩০ হাজার পাউন্ডের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে আয় আরও বাড়ানোর জন্য ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটার হয়ে গেছেন এই অলরাউন্ডার। ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসও। তবে নিজের ইচ্ছায় নয়, কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ে ফ্রিল্যান্স হতে বাধ্য হয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার।
এসিএর প্রধান নির্বাহী পল মার্শের প্রতিক্রিয়াতেও তাই ফ্লিনটফ-দর্শনের প্রতিফলন, ‘আমার মনে হয়, ফ্লিনটফের সিদ্ধান্তটাই এ সময়ের ক্রিকেটারদের চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন। কঠিন বাস্তব হলো, ক্রিকেটারদের ওপর জাতীয় বোর্ডগুলোর আর একচ্ছত্র আধিপত্য থাকছে না। এখন অনেক আকর্ষণীয় বিকল্প আছে ক্রিকেটারদের। আমাদের বোর্ড ক্রিকেটারদের অনেক টাকা দেয় সত্যি, কিন্তু আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলো অনেক কম সময় ও পরিশ্রমে বেশি আয়ের সুযোগ এনে দিয়েছে।’
তবে দেশের প্রতি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়ে সন্দেহ নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডের, ‘কোনো সন্দেহ নেই, অনেক বিকল্প থাকায় শ্রমবাজার এখন বদলে গেছে। তবে দেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সম্মান ও নিবেদন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি মনে করি, দেশের প্রতি সম্মান, দায়িত্ব আর গর্বের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের, এটা নিয়ে আমরা গর্বিত।’
সাদারল্যান্ড যা-ই বলুন না কেন, সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়ার পরও টি-টোয়েন্টি আর বেসরকারি লিগগুলোর হাতছানি থেকে ক্রিকেটারদের ফেরানো নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য হতে যাচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে বড়সড় একটা ধাক্কা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) একটি জরিপ। অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ও রাজ্য দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে পরিচালিত জরিপে ৬৭ শতাংশের মত, কেন্দ্রীয় চুক্তি বাদ দিয়ে তাঁরা আইপিএল বা এ ধরনের কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে চান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে ২২ শতাংশ এবং রাজ্য দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ১৮ শতাংশ এগিয়ে আরেক ধাপ। কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে তাঁরা পুরোপুরি ‘ফ্রিল্যান্সার ক্রিকেটার’ হতেই পছন্দ করবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের পথপ্রদর্শক অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের ৩০ হাজার পাউন্ডের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে আয় আরও বাড়ানোর জন্য ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটার হয়ে গেছেন এই অলরাউন্ডার। ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসও। তবে নিজের ইচ্ছায় নয়, কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ে ফ্রিল্যান্স হতে বাধ্য হয়েছেন এই অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার।
এসিএর প্রধান নির্বাহী পল মার্শের প্রতিক্রিয়াতেও তাই ফ্লিনটফ-দর্শনের প্রতিফলন, ‘আমার মনে হয়, ফ্লিনটফের সিদ্ধান্তটাই এ সময়ের ক্রিকেটারদের চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন। কঠিন বাস্তব হলো, ক্রিকেটারদের ওপর জাতীয় বোর্ডগুলোর আর একচ্ছত্র আধিপত্য থাকছে না। এখন অনেক আকর্ষণীয় বিকল্প আছে ক্রিকেটারদের। আমাদের বোর্ড ক্রিকেটারদের অনেক টাকা দেয় সত্যি, কিন্তু আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলো অনেক কম সময় ও পরিশ্রমে বেশি আয়ের সুযোগ এনে দিয়েছে।’
তবে দেশের প্রতি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়ে সন্দেহ নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ডের, ‘কোনো সন্দেহ নেই, অনেক বিকল্প থাকায় শ্রমবাজার এখন বদলে গেছে। তবে দেশের প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের সম্মান ও নিবেদন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি মনে করি, দেশের প্রতি সম্মান, দায়িত্ব আর গর্বের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের, এটা নিয়ে আমরা গর্বিত।’
সাদারল্যান্ড যা-ই বলুন না কেন, সবচেয়ে বেশি বেতন দেওয়ার পরও টি-টোয়েন্টি আর বেসরকারি লিগগুলোর হাতছানি থেকে ক্রিকেটারদের ফেরানো নিশ্চিতভাবেই অস্ট্রেলিয়ার জন্য হতে যাচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
No comments