ম্যারাডোনাকে নিয়ে গুঞ্জন
ব্রাজিলের পর প্যারাগুয়ে—পরপর দুটো ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর নানা রকম খবর আসছে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ঘিরে। সবচেয়ে শঙ্কার খবরটি হলো, চাপ সহ্য করতে না পেরে আর্জেন্টিনার কোচ নাকি আবারও ড্রাগের কাছে আশ্রয় খুঁজছেন! তাঁর ইতালি সফরের সঙ্গেও মাদক থেকে মুক্তির চিকিত্সার যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছে কেউ কেউ।
তবে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক আলফ্রেডো কাহে এসব খবরকে স্রেফ অনুমাননির্ভর বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ম্যারাডোনা ইতালির মেরানোতে চিকিত্সার জন্যই এসেছেন। কিন্তু সেটির সঙ্গে মাদকের কোনো সম্পর্ক নেই। ম্যারাডোনা আসলে এসেছেন বাড়তি ওজন কমানোর চিকিত্সা করাতে। কাহে জোর দিয়েই বলেছেন, ‘ম্যারাডোনা আবার মাদকে আসক্ত হননি।’
উড়ো খবর হলেই ভালো। কারণ ম্যারাডোনা-ভক্তদের জন্য তাঁর মাদকসংক্রান্ত কোনো খবর মানেই শঙ্কায় বুক কেঁপে ওঠা। বছর পাঁচেক আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি এই মাদকাসক্তির কারণে মৃত্যুদুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। এর পর থেকে আর কখনোই ওই অন্ধকার পথে পা বাড়াননি বলেই জানিয়ে এসেছেন ম্যারাডোনা।
পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া শেষে মাদকাসক্তদের আবারও ড্রাগ নেওয়ার ভূরি ভূরি নজির আছে জন্যই ‘উড়ো খবর’টাও গুরুত্ব পাচ্ছে। তা ছাড়া নিজের ক্যারিয়ারে এমন চ্যালেঞ্জ, এমন চাপের মুখেও খুব একটা পড়তে হয়নি তাঁকে। গত বছর নভেম্বরে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ম্যারাডোনার অধীনে ১০ ম্যাচের চারটি হেরেছে আর্জেন্টিনা। জয়গুলোর বেশির ভাগই এসেছে প্রীতি ম্যাচে। আর পরাজয়গুলো এসেছে বাছাইপর্বে। ফলে ১৯৭০ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাদ পড়ার শঙ্কায় এখন দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এই পরিস্থিতিতে বাঁচামরার লড়াইয়ে আগামী অক্টোবরে পেরু আর উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ভাগ্য নিজেদের হাতে রাখতে চাইলে বাছাইপর্বের এই শেষ দুই ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। এই দুই ম্যাচের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এ মাসের শেষ দিনে ঘানার সঙ্গে একটা প্রীতি ম্যাচ আছে। ম্যারাডোনা ইউরোপ সফর নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই ম্যাচের দল নির্বাচনের ভার পড়েছে জেনারেল ম্যানেজার কার্লোস বিলার্দোর ওপর।
বিলার্দো কোচ থাকার সময় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত যেটি তাদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়। শোনা যাচ্ছে, দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিলার্দোর ওপর আরও বেশি দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য ম্যারাডোনার ওপর চাপ দিচ্ছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
ওদিকে কোচ ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগের দলগুলোর সভাপতিরা। তাঁরা ম্যারাডোনার জায়গায় পেপ গার্দিওলাকে কোচ হিসেবে নেওয়ার দাবি তুলেছেন। এখন সম্ভব না হলেও আগামী বিশ্বকাপের পর গার্দিওলাকে আর্জেন্টিনার কোচ বানানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। যেটিকে বলা হচ্ছে ‘প্রজেক্ট গার্দিওলা ২০১০’।
এই জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আর্জেন্টিনার একটি কাঁচা হীরা আছে, যার নাম মেসি। জাতীয় দলের কেউই মেসির সেরাটা বের করে আনতে পারেনি। অথচ বার্সেলোনায় গার্দিওলা এই মেসিকে কাজে লাগিয়ে এক বছরে তিনটি শিরোপা জিতিয়েছেন।
তবে ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক আলফ্রেডো কাহে এসব খবরকে স্রেফ অনুমাননির্ভর বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ম্যারাডোনা ইতালির মেরানোতে চিকিত্সার জন্যই এসেছেন। কিন্তু সেটির সঙ্গে মাদকের কোনো সম্পর্ক নেই। ম্যারাডোনা আসলে এসেছেন বাড়তি ওজন কমানোর চিকিত্সা করাতে। কাহে জোর দিয়েই বলেছেন, ‘ম্যারাডোনা আবার মাদকে আসক্ত হননি।’
উড়ো খবর হলেই ভালো। কারণ ম্যারাডোনা-ভক্তদের জন্য তাঁর মাদকসংক্রান্ত কোনো খবর মানেই শঙ্কায় বুক কেঁপে ওঠা। বছর পাঁচেক আগে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি এই মাদকাসক্তির কারণে মৃত্যুদুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। এর পর থেকে আর কখনোই ওই অন্ধকার পথে পা বাড়াননি বলেই জানিয়ে এসেছেন ম্যারাডোনা।
পুনর্বাসন-প্রক্রিয়া শেষে মাদকাসক্তদের আবারও ড্রাগ নেওয়ার ভূরি ভূরি নজির আছে জন্যই ‘উড়ো খবর’টাও গুরুত্ব পাচ্ছে। তা ছাড়া নিজের ক্যারিয়ারে এমন চ্যালেঞ্জ, এমন চাপের মুখেও খুব একটা পড়তে হয়নি তাঁকে। গত বছর নভেম্বরে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর ম্যারাডোনার অধীনে ১০ ম্যাচের চারটি হেরেছে আর্জেন্টিনা। জয়গুলোর বেশির ভাগই এসেছে প্রীতি ম্যাচে। আর পরাজয়গুলো এসেছে বাছাইপর্বে। ফলে ১৯৭০ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে বাদ পড়ার শঙ্কায় এখন দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এই পরিস্থিতিতে বাঁচামরার লড়াইয়ে আগামী অক্টোবরে পেরু আর উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ ভাগ্য নিজেদের হাতে রাখতে চাইলে বাছাইপর্বের এই শেষ দুই ম্যাচে তাদের জিততেই হবে। এই দুই ম্যাচের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এ মাসের শেষ দিনে ঘানার সঙ্গে একটা প্রীতি ম্যাচ আছে। ম্যারাডোনা ইউরোপ সফর নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই ম্যাচের দল নির্বাচনের ভার পড়েছে জেনারেল ম্যানেজার কার্লোস বিলার্দোর ওপর।
বিলার্দো কোচ থাকার সময় ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এখন পর্যন্ত যেটি তাদের সর্বশেষ বিশ্বকাপ জয়। শোনা যাচ্ছে, দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিলার্দোর ওপর আরও বেশি দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য ম্যারাডোনার ওপর চাপ দিচ্ছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
ওদিকে কোচ ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে আর্জেন্টিনার শীর্ষ লিগের দলগুলোর সভাপতিরা। তাঁরা ম্যারাডোনার জায়গায় পেপ গার্দিওলাকে কোচ হিসেবে নেওয়ার দাবি তুলেছেন। এখন সম্ভব না হলেও আগামী বিশ্বকাপের পর গার্দিওলাকে আর্জেন্টিনার কোচ বানানোর প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন তাঁরা। যেটিকে বলা হচ্ছে ‘প্রজেক্ট গার্দিওলা ২০১০’।
এই জোটের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আর্জেন্টিনার একটি কাঁচা হীরা আছে, যার নাম মেসি। জাতীয় দলের কেউই মেসির সেরাটা বের করে আনতে পারেনি। অথচ বার্সেলোনায় গার্দিওলা এই মেসিকে কাজে লাগিয়ে এক বছরে তিনটি শিরোপা জিতিয়েছেন।
No comments