মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে চপ্পল নিক্ষেপ জবাব এল বুলেটের মাধ্যমে
ইরাকের বিক্ষুব্ধ ফাল্লুজায় গত বুধবার প্রতিদিনের মতো টহল দিচ্ছিল মার্কিন মেরিন সেনারা। স্থানীয় বাসিন্দা মোটরগাড়ির মেকানিক আহমেদ আল-জুমাইলির দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকায় তারা। নিরীহ প্রকৃতির মানুষ জুমাইলি বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ জুমাইলি নিজের পায়ের চপ্পল ছুড়ে মারেন সেনাদের দিকে। সেনারা ওই চপ্পলকে গ্রেনেড মনে করে জুমাইলির দিকে ছুড়তে থাকে গুলি। একটি গুলি শরীরেও বিদ্ধ হয় তাঁর। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বাহিনী দাবি করেছে, জুমাইলি গ্রেনেড ছুড়েছিলেন। অবশ্য সেই গ্রেনেডটির হদিস তারা পায়নি।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের দিকে জুতা ছুড়ে মারা সাংবাদিক মুনতাজার আল জাইদির মুক্তির একদিন পরই জুমাইলি এ ঘটনা ঘটালেন। ওই ঘটনার পর ৩০ বছর বয়সী জুমাইলিকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাগদাদের ৬৫ কিলোমিটার পশ্চিমের ফাল্লুজায় বুধবার বিকেলে মার্কিন মেরিন সেনা এবং ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ টহল চলছিল। এ সময় ওই ইরাকি একটি বস্তু ছুড়ে মারেন, যা দেখতে অনেকটা গ্রেনেডের মতো।
তবে জুমাইলি বলেন, ‘সেনাদলকে দেখার পর আমি মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। তাদের দিকে আমি চামড়ার চপ্পল জোড়া খুলে ছুড়ে মারি। কারণ, আমি আর তাদের ফাল্লুজার রাস্তায় দেখতে চাই না। তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তারা কেন এখানে টহল দেবে?’
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানি আম্মার হোসেইন বলেন, তিনি জুমাইলিকে ভালোভাবেই চেনেন। শান্ত প্রকৃতির মানুষ তিনি। কিন্তু সেনারা তাঁর দিকে সন্দেহের চোখে তাকালে তিনি আর নিজেকে সামলাতে পারেননি।
জুমাইলি বলেন, ‘আমাকে লক্ষ্য করে অনেক গুলি ছোড়া হচ্ছিল। এর একটি আমার বুকে লাগলে আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
দুই দেশের মধ্যে করা চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন সেনারা এককভাবে ইরাকের রাস্তায় টহল দিতে পারবে না। তবে তারা এখনো যৌথ টহল দিতে পারবে। ২০১০ সালের আগস্টের মধ্যে তারা ইরাক ছাড়া শুরু করবে এবং ওই বছরের শেষ নাগাদ সব সেনা ইরাক ছেড়ে যাবে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের দিকে জুতা ছুড়ে মারা সাংবাদিক মুনতাজার আল জাইদির মুক্তির একদিন পরই জুমাইলি এ ঘটনা ঘটালেন। ওই ঘটনার পর ৩০ বছর বয়সী জুমাইলিকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাগদাদের ৬৫ কিলোমিটার পশ্চিমের ফাল্লুজায় বুধবার বিকেলে মার্কিন মেরিন সেনা এবং ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ টহল চলছিল। এ সময় ওই ইরাকি একটি বস্তু ছুড়ে মারেন, যা দেখতে অনেকটা গ্রেনেডের মতো।
তবে জুমাইলি বলেন, ‘সেনাদলকে দেখার পর আমি মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। তাদের দিকে আমি চামড়ার চপ্পল জোড়া খুলে ছুড়ে মারি। কারণ, আমি আর তাদের ফাল্লুজার রাস্তায় দেখতে চাই না। তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তারা কেন এখানে টহল দেবে?’
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী মুদি দোকানি আম্মার হোসেইন বলেন, তিনি জুমাইলিকে ভালোভাবেই চেনেন। শান্ত প্রকৃতির মানুষ তিনি। কিন্তু সেনারা তাঁর দিকে সন্দেহের চোখে তাকালে তিনি আর নিজেকে সামলাতে পারেননি।
জুমাইলি বলেন, ‘আমাকে লক্ষ্য করে অনেক গুলি ছোড়া হচ্ছিল। এর একটি আমার বুকে লাগলে আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
দুই দেশের মধ্যে করা চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন সেনারা এককভাবে ইরাকের রাস্তায় টহল দিতে পারবে না। তবে তারা এখনো যৌথ টহল দিতে পারবে। ২০১০ সালের আগস্টের মধ্যে তারা ইরাক ছাড়া শুরু করবে এবং ওই বছরের শেষ নাগাদ সব সেনা ইরাক ছেড়ে যাবে।
No comments