ইতালিতে গিয়ে নিখোঁজ বক্সার নাদিম
উন্নত প্রশিক্ষণ নয়তো কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রায়ই বিদেশে যেতে হয় বাংলাদেশের অ্যাথলেটদের। অনেক খেলোয়াড় উন্নত দেশের শ্রমবাজারে নিজেকে বিকিয়ে উপার্জনের সুযোগ হিসেবেই নেন এটিকে। তাঁরা লাপাত্তা হয়ে যান। বিদেশে গিয়ে পালানোর এই ‘সংস্কৃতির’ বৃত্ত থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছেন না এ দেশের ক্রীড়াবিদেরা। সর্বশেষ দেশের মুখে এমন কলঙ্কের কালি লেপ্টে দেওয়ার ‘কৃতিত্ব’ নাদিম হোসেনের। ইতালির মিলানে বিশ্ব বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গিয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছেন এই বক্সার!
বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন দুই বক্সার নাদিম হোসেন ও আবদুর রহিমকে ইতালিতে পাঠায় গত ১০ আগস্ট। রোমে প্রাক-বিশ্বকাপ ক্যাম্প এবং মিলানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতেই গিয়েছিলেন তাঁরা। প্রথমে তাঁরা রোমে ১০-২৭ আগস্ট প্রাক-বিশ্বকাপের ক্যাম্পে অংশ নেন। এর পর ২৭ আগস্ট যান মিলানে। সেখানে ১-১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ৫৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে অংশ নেন নাদিম হোসেন, ৬৪ কেজি শ্রেণীতে প্রতিযোগী ছিলেন আবদুর রহিম। রহিম প্রথম রাউন্ডে বসনিয়ার প্রতিযোগীর বিপক্ষে জিতলেও হেরে যান দ্বিতীয় রাউন্ডেই।
যেভাবে নিখোঁজ নাদিম: ফাইনাল ইভেন্ট ছিল ১২ সেপ্টেম্বর। হোটেল থেকে খেলা দেখতে ভেন্যুতে যেতে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিনের মতো সেদিনও রহিম আয়োজকদের গাড়িতে চড়ে যান ফাইনাল দেখতে। ভেবেছিলেন নাদিম হয়তো একটু পরে অন্য গাড়িতে আসবেন। কিন্তু নাদিমকে আর স্টেডিয়ামে দেখা যায়নি। রাতে খেলা শেষে নিজের কক্ষে এসে রহিমের তো চক্ষু চড়কগাছ! কোথাও নেই নাদিম! সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাশের কক্ষে নেপাল দলের কোচকে ঘটনাটি জানান। নাদিমের নিখোঁজ থাকার খবর হোটেলের অভ্যর্থনা কেন্দ্রেও জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাত গড়িয়ে পরের দিন সকালেও যখন নাদিমের খোঁজ পাওয়া গেল না তখন ধরেই নেওয়া হলো পালিয়েছেন নাদিম।
নাদিমের পালানোর ঘটনা তখন পর্যন্তও জানতে পারেনি ফেডারেশন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রহিম একাই ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছালে ব্যাপারটা কানে যায় ফেডারেশনের। আরও আশ্চর্যের বিষয়, দুই বক্সারের সঙ্গে ইতালিতে যাওয়া ফেডারেশনের তিন কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন, আবদুর রশিদ এবং আওলাদ হোসেনের কেউই তাঁদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ছিলেন না! আওলাদ হোসেন গিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডে বোনের বাড়িতে বেড়াতে। অন্য দুই কর্মকর্তা কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে জানাতে পারেননি বক্সার রহিম।
ফেডারেশন কর্তারা কী বলেন: ঘটনা জানার জন্য ফেডারেশন অফিসে ফোন করতেই কোষাধ্যক্ষ জহির চৌধুরী অসহায় গলায় বললেন, ‘আর বলবেন না ভাই। এসব অশিক্ষিত ছেলেদের জন্য আমাদের মানসম্মান গেল। প্রতিদিন এদের পেছনে গড়ে ৫২০ টাকা করে খরচ করছি। ইচ্ছে করলেই তো রাতারাতি এমন বক্সার বানানো যায় না। এখন ওরাযদি এভাবে পালিয়ে যায়, সেটা আমাদের দেশের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
রাজশাহীর বিহারি কলোনির নাদিম হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের কাছে কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খান, ‘আমি আমার কোষাধ্যক্ষকে দিয়ে ওর বাবা-মার সঙ্গে কথা বলিয়েছি। ওকেও ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকেও জানানো হয়েছে বিষয়টা।’
ইতালিতে যাওয়া তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে লতিফ খান বলেন, ‘তারা আগে দেশে ফিরে আসুক। তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশন দুই বক্সার নাদিম হোসেন ও আবদুর রহিমকে ইতালিতে পাঠায় গত ১০ আগস্ট। রোমে প্রাক-বিশ্বকাপ ক্যাম্প এবং মিলানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতেই গিয়েছিলেন তাঁরা। প্রথমে তাঁরা রোমে ১০-২৭ আগস্ট প্রাক-বিশ্বকাপের ক্যাম্পে অংশ নেন। এর পর ২৭ আগস্ট যান মিলানে। সেখানে ১-১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ৫৪ কেজি ওজন শ্রেণীতে অংশ নেন নাদিম হোসেন, ৬৪ কেজি শ্রেণীতে প্রতিযোগী ছিলেন আবদুর রহিম। রহিম প্রথম রাউন্ডে বসনিয়ার প্রতিযোগীর বিপক্ষে জিতলেও হেরে যান দ্বিতীয় রাউন্ডেই।
যেভাবে নিখোঁজ নাদিম: ফাইনাল ইভেন্ট ছিল ১২ সেপ্টেম্বর। হোটেল থেকে খেলা দেখতে ভেন্যুতে যেতে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিনের মতো সেদিনও রহিম আয়োজকদের গাড়িতে চড়ে যান ফাইনাল দেখতে। ভেবেছিলেন নাদিম হয়তো একটু পরে অন্য গাড়িতে আসবেন। কিন্তু নাদিমকে আর স্টেডিয়ামে দেখা যায়নি। রাতে খেলা শেষে নিজের কক্ষে এসে রহিমের তো চক্ষু চড়কগাছ! কোথাও নেই নাদিম! সঙ্গে সঙ্গে তিনি পাশের কক্ষে নেপাল দলের কোচকে ঘটনাটি জানান। নাদিমের নিখোঁজ থাকার খবর হোটেলের অভ্যর্থনা কেন্দ্রেও জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রাত গড়িয়ে পরের দিন সকালেও যখন নাদিমের খোঁজ পাওয়া গেল না তখন ধরেই নেওয়া হলো পালিয়েছেন নাদিম।
নাদিমের পালানোর ঘটনা তখন পর্যন্তও জানতে পারেনি ফেডারেশন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রহিম একাই ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছালে ব্যাপারটা কানে যায় ফেডারেশনের। আরও আশ্চর্যের বিষয়, দুই বক্সারের সঙ্গে ইতালিতে যাওয়া ফেডারেশনের তিন কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন, আবদুর রশিদ এবং আওলাদ হোসেনের কেউই তাঁদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত ছিলেন না! আওলাদ হোসেন গিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডে বোনের বাড়িতে বেড়াতে। অন্য দুই কর্মকর্তা কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে জানাতে পারেননি বক্সার রহিম।
ফেডারেশন কর্তারা কী বলেন: ঘটনা জানার জন্য ফেডারেশন অফিসে ফোন করতেই কোষাধ্যক্ষ জহির চৌধুরী অসহায় গলায় বললেন, ‘আর বলবেন না ভাই। এসব অশিক্ষিত ছেলেদের জন্য আমাদের মানসম্মান গেল। প্রতিদিন এদের পেছনে গড়ে ৫২০ টাকা করে খরচ করছি। ইচ্ছে করলেই তো রাতারাতি এমন বক্সার বানানো যায় না। এখন ওরাযদি এভাবে পালিয়ে যায়, সেটা আমাদের দেশের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
রাজশাহীর বিহারি কলোনির নাদিম হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে সেনাবাহিনী কর্মকর্তাদের কাছে কাগজপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খান, ‘আমি আমার কোষাধ্যক্ষকে দিয়ে ওর বাবা-মার সঙ্গে কথা বলিয়েছি। ওকেও ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকেও জানানো হয়েছে বিষয়টা।’
ইতালিতে যাওয়া তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে লতিফ খান বলেন, ‘তারা আগে দেশে ফিরে আসুক। তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments