ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বাতিল যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে রাশিয়ার স্বাগত
পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ার পরিকল্পনা বাদ দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। বিতর্কিত ওই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার খবরকে রাশিয়া ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ টেলিভিশন ভাষণে এ কথা বলেছেন। গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার পত্রপত্রিকায় মার্কিন সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চেক প্রধানমন্ত্রী জঁ ফিশারকে ফোন করেন। তাঁরা প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বাতিলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওই পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আর অগ্রসর হবে না।
হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র বিস্তার রোধের ব্যাপারে এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সুন্দর পরিবেশ তৈরি হলো। প্রেসিডেন্ট ওবামার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে রাশিয়া।
এ খবরে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলও স্বস্তি প্রকাশ করেন। তিনি মার্কিন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর মধ্যদিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে এবং সম্মিলিতভাবে ইরানের হুমকিকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
রাশিয়া, জার্মানি প্রশংসা করলেও ওবামার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে নিজের দেশের বিরোধী রাজনীতিকেরা। রিপাবলিকান পার্টির নেতারা এমন উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি ওবামার অদূরদর্শী ও ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর একটি সিদ্ধান্ত। পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন বলেন, বড় ভয়ঙ্কর ভুল একটি সিদ্ধান্ত এটা।
গত বছর আগস্টে বাল্টিক উপকূলীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়তে পোল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। একই সময় তারা চেক রিপাবলিকে একটি রাডারস্টেশন তৈরির পরিকল্পনার জন্যও চুক্তি করে। ২০১২ সালের মধ্যে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ওই পরিকল্পনা হাতে নেয়। এ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের মন কষাকষি শুরু হয়। রাশিয়াও তখন এর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বর্তমান ওবামা প্রশাসন পররাষ্ট্রনীতি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে ওবামা এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
এর আগে বুধবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা চেক প্রধানমন্ত্রী জঁ ফিশারকে ফোন করেন। তাঁরা প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বাতিলের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওই পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আর অগ্রসর হবে না।
হোয়াইট হাউসের ওই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র বিস্তার রোধের ব্যাপারে এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সুন্দর পরিবেশ তৈরি হলো। প্রেসিডেন্ট ওবামার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছে রাশিয়া।
এ খবরে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলও স্বস্তি প্রকাশ করেন। তিনি মার্কিন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এর মধ্যদিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে এবং সম্মিলিতভাবে ইরানের হুমকিকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
রাশিয়া, জার্মানি প্রশংসা করলেও ওবামার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে নিজের দেশের বিরোধী রাজনীতিকেরা। রিপাবলিকান পার্টির নেতারা এমন উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি ওবামার অদূরদর্শী ও ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর একটি সিদ্ধান্ত। পরাজিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন বলেন, বড় ভয়ঙ্কর ভুল একটি সিদ্ধান্ত এটা।
গত বছর আগস্টে বাল্টিক উপকূলীয় এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়তে পোল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। একই সময় তারা চেক রিপাবলিকে একটি রাডারস্টেশন তৈরির পরিকল্পনার জন্যও চুক্তি করে। ২০১২ সালের মধ্যে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ওই পরিকল্পনা হাতে নেয়। এ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের মন কষাকষি শুরু হয়। রাশিয়াও তখন এর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বর্তমান ওবামা প্রশাসন পররাষ্ট্রনীতি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়। এরই অংশ হিসেবে ওবামা এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
No comments