ওয়ানডে বাঁচানোর মিশন
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আগ্রাসনে ৫০ ওভারের ক্রিকেট কি টিকবে? দক্ষিণ আফ্রিকায় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটাকে বলা হচ্ছে ওয়ানডে ক্রিকেটের লিটমাস টেস্ট।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সাফল্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এটাই ওয়ানডের ভবিষ্যেক ঠেলে দিচ্ছে প্রশ্নের মুখে। তর্ক-বিতর্কও কম হচ্ছে না ক্রিকেট বিশ্বে। ভারতীয় ব্যাটিং মায়েস্ত্রো শচীন টেন্ডুলকারও যেমন ওয়ানডে বাদ দেওয়ার বদলে এটিকে দুই ইনিংসে করে ফেলার তত্ত্ব দিয়েছেন। আরেক সাবেক ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলে বলছেন, ৫০ নয়, ৪০ ওভারের খেলা হোক। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন একেবারে ‘চরমপন্থী’। বলছেন—আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ছেঁটে ফেলা হোক ওয়ানডে ক্রিকেট।
সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান অবশ্য কোনোটারই পক্ষে নন। তাঁর মত, ৫০ ওভারের ক্রিকেট অক্ষত থাকুক। ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে চাইলে বরং অন্য কোনো চেষ্টা চালানো যেতে পারে। ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচি ভারসাম্যপূর্ণ হলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা টেস্ট বা ওয়ানডের জন্য কোনো হুমকি বলে আমি মনে করি না’—বলেছেন ইমরান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চিন্তাভাবনা এখন পর্যন্ত ইমরান খানের মতোই মনে হচ্ছে। আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতের আশা, আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই ওয়ানডের নতুন দিন ঘোষণা করবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পুনর্জন্ম হবে ওয়ানডে ক্রিকেটের, ‘দর্শক নেই, এই নেই সেই নেই বলে এক বছর আগে তো মানুষ টেস্ট ক্রিকেটের মৃত্যু নিয়েও কম উদ্বিগ্ন ছিল না। আমার মনে হয়, আমরা একটু বেশি ভেবে ফেলছি এসব নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটাই প্রমাণ করে দেবে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো ওয়ানডের জায়গা আছে।’ খেলায় বৈচিত্র্য আনার জন্য সব সময়ই নতুন নতুন চিন্তাভাবনা হচ্ছে, আসছে নতুন উদ্ভাবন (যেমন ব্যাটিং পাওয়ার প্লে)। তাই বলে অল্প সময়ের মধ্যে বড় দাগে পরিবর্তনের পক্ষে আইসিসিও নয় বলে জানিয়েছেন লরগাত।
কিন্তু যে টুর্নামেন্ট দিয়ে ওয়ানডের দিন ফেরানোর কথা বলছে আইসিসি, প্রশ্ন যে সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়েও! ভারত এটাকে ‘শ্বেতহস্তী’ বলে দিয়েছে অনেক আগেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে প্রশ্ন আছে খোদ উইজডেনেরই। বিশ্বকাপের মাত্র পাঁচ মাস আগে অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে উইজডেন বলেছিল, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান’। সাবেক অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেন নিজের লেখা এক কলামে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এক বছর পর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাটা একটু বাড়াবাড়ি। আর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থাকতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই বা খেলতে হবে কেন?’
তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী মনে করছেন, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ওয়ানডেকে নতুন দিনেই শুধু নিয়ে যাবে না, টুর্নামেন্টটি নিজের জন্যও খুঁজে পাবে সঠিক পথের দিশা। শেন ওয়ার্ন যে টুর্নামেন্টটাকে বলেন ‘কৌতুক’, জোহানেসবার্গ আর সেঞ্চুরিয়নে ১১ বছরের পরিচয়-সংকট কাটিয়ে উঠবে সেটা। মাত্র ১৪ দিনে বিশ্বের সেরা ৮ দলের ১৫ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে থাকবে উত্তেজনার বারুদ।
১১ বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম আসর বসেছিল ঢাকায় (শুরুতে আইসিসি নকআউট টুর্নামেন্ট বা মিনি বিশ্বকাপ নামেই পরিচিত ছিল সেটা)। পরের বারের স্বাগতিক কেনিয়া। সাবেক বিসিসিআই সভাপতি জহমোহন ডালমিয়ার মস্তিষ্কপ্রসূত এই টুর্নামেন্ট এর পর থেকেই হারাতে থাকে আলো।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কি সত্যিই ফিরবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির হারানো দিন? ওয়ানডে ক্রিকেটে হঠাত্ এসে পড়া অনিশ্চয়তার কালো মেঘ সরিয়ে দেওয়া সাফল্য পেলে উত্তরটা হয়তো ‘হ্যাঁ’ই হবে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সাফল্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এটাই ওয়ানডের ভবিষ্যেক ঠেলে দিচ্ছে প্রশ্নের মুখে। তর্ক-বিতর্কও কম হচ্ছে না ক্রিকেট বিশ্বে। ভারতীয় ব্যাটিং মায়েস্ত্রো শচীন টেন্ডুলকারও যেমন ওয়ানডে বাদ দেওয়ার বদলে এটিকে দুই ইনিংসে করে ফেলার তত্ত্ব দিয়েছেন। আরেক সাবেক ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলে বলছেন, ৫০ নয়, ৪০ ওভারের খেলা হোক। তবে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন একেবারে ‘চরমপন্থী’। বলছেন—আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ছেঁটে ফেলা হোক ওয়ানডে ক্রিকেট।
সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক ইমরান খান অবশ্য কোনোটারই পক্ষে নন। তাঁর মত, ৫০ ওভারের ক্রিকেট অক্ষত থাকুক। ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে চাইলে বরং অন্য কোনো চেষ্টা চালানো যেতে পারে। ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচি ভারসাম্যপূর্ণ হলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা টেস্ট বা ওয়ানডের জন্য কোনো হুমকি বলে আমি মনে করি না’—বলেছেন ইমরান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চিন্তাভাবনা এখন পর্যন্ত ইমরান খানের মতোই মনে হচ্ছে। আইসিসির প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতের আশা, আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই ওয়ানডের নতুন দিন ঘোষণা করবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় পুনর্জন্ম হবে ওয়ানডে ক্রিকেটের, ‘দর্শক নেই, এই নেই সেই নেই বলে এক বছর আগে তো মানুষ টেস্ট ক্রিকেটের মৃত্যু নিয়েও কম উদ্বিগ্ন ছিল না। আমার মনে হয়, আমরা একটু বেশি ভেবে ফেলছি এসব নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটাই প্রমাণ করে দেবে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো ওয়ানডের জায়গা আছে।’ খেলায় বৈচিত্র্য আনার জন্য সব সময়ই নতুন নতুন চিন্তাভাবনা হচ্ছে, আসছে নতুন উদ্ভাবন (যেমন ব্যাটিং পাওয়ার প্লে)। তাই বলে অল্প সময়ের মধ্যে বড় দাগে পরিবর্তনের পক্ষে আইসিসিও নয় বলে জানিয়েছেন লরগাত।
কিন্তু যে টুর্নামেন্ট দিয়ে ওয়ানডের দিন ফেরানোর কথা বলছে আইসিসি, প্রশ্ন যে সেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়েও! ভারত এটাকে ‘শ্বেতহস্তী’ বলে দিয়েছে অনেক আগেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে প্রশ্ন আছে খোদ উইজডেনেরই। বিশ্বকাপের মাত্র পাঁচ মাস আগে অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে উইজডেন বলেছিল, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান’। সাবেক অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেইডেন নিজের লেখা এক কলামে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এক বছর পর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাটা একটু বাড়াবাড়ি। আর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থাকতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই বা খেলতে হবে কেন?’
তবে আইসিসির প্রধান নির্বাহী মনে করছেন, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ওয়ানডেকে নতুন দিনেই শুধু নিয়ে যাবে না, টুর্নামেন্টটি নিজের জন্যও খুঁজে পাবে সঠিক পথের দিশা। শেন ওয়ার্ন যে টুর্নামেন্টটাকে বলেন ‘কৌতুক’, জোহানেসবার্গ আর সেঞ্চুরিয়নে ১১ বছরের পরিচয়-সংকট কাটিয়ে উঠবে সেটা। মাত্র ১৪ দিনে বিশ্বের সেরা ৮ দলের ১৫ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টে থাকবে উত্তেজনার বারুদ।
১১ বছর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম আসর বসেছিল ঢাকায় (শুরুতে আইসিসি নকআউট টুর্নামেন্ট বা মিনি বিশ্বকাপ নামেই পরিচিত ছিল সেটা)। পরের বারের স্বাগতিক কেনিয়া। সাবেক বিসিসিআই সভাপতি জহমোহন ডালমিয়ার মস্তিষ্কপ্রসূত এই টুর্নামেন্ট এর পর থেকেই হারাতে থাকে আলো।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কি সত্যিই ফিরবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির হারানো দিন? ওয়ানডে ক্রিকেটে হঠাত্ এসে পড়া অনিশ্চয়তার কালো মেঘ সরিয়ে দেওয়া সাফল্য পেলে উত্তরটা হয়তো ‘হ্যাঁ’ই হবে।
No comments