সাওতালরা যেন নিজ ভূমে পরবাসী by পিয়াস সরকার
গাইবান্ধা
জেলার গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম এলাকা। যেখানে আধিবাসী
সাওতালদের বসবাস। দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষগুলো মাথা গুজার জায়গা একমাত্র
এটাই। কিন্তু এই বাসস্থানটিও কেড়ে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে অনেক আগে থেকেই।
এই হুমকিটাই সত্য হল। জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তাদের করা হলো বাসস্থান ছাড়া।
স্থানীয় প্রভাবশালীদের রোশানল ও ভূমির লালসার শিকার হন তারা।
২০১৬ সালের ৬ই নভেম্বর হামলা, অগ্নিসংযোগ করে বিতারিত করা হয় তাদের। শুধু তাই নয় হামলা-মামলায় জর্জরিত করে রাখা হয়েছে তাদের।
ফিরতে পারছেন না নিজের ভিটায়। পাশের গ্রামে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সেখানেও হামলার শিকার হচ্ছেন।
বিজন ভারর্ডিক, বয়স প্রায় ৭০। এই মহিলা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, ছোট বেলা থেকে যেখানে বড় হয়েছেন সেই বাড়িতে যেতে পারছেন না। এতো বছর পরেও প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
একই এলাকার বাসিন্দা জয়ান হালদার বলেন, আমাদের কী অপরাধ? আমরা কেন বাড়ি ছাড়া? ভূমি দখলে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ জড়িত তারপরেও কেন বিচার পাই না। যেখানে মাথা গুজে বেঁচে আছি, এখন সেখানেও শান্তি নেই। গ্রামে যেতে পারি না।
১৭ জুলাই বুধবার ভূমি পুরুদ্ধার ও বিচারের দাবিতে তারা স্মারক লিপি দিতে এসেছেন রংপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে। এ সময় সাতটি দাবি উত্থাপন করেন তারা। এরমধ্যে অন্যতম তাদের ১৮৪৩ স্থান ফিরিয়ে দেয়া। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার অন্যতম।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে বলেন, আমরা কী এই দেশের মানুষ না? আমরা কী অন্য এলাকা থেকে এসেছি? তবে এই দেশের বাসিন্দা হয়ে কেন নিগ্রহের শিকার হতে হবে? কেন বিচার পাবো না। আজ আমরা কয়েক বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের কী দেখার কেউ নেই?
তারা স্মারকলিপি পেশ করেন রংপুরের ডি আই জি দেবদাস ভট্টাচার্জর কাছে। তিনি বলেন, এই মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেন্টিগেশন (পিবিআই)। আমার তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে দ্রুত আপনারা এর সুফল পাবেন। আর আপনাদের নিরাপত্তা কোন ঝুকি নেই। এরপরেও সমস্যা হলে তাতক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০১৬ সালের ৬ই নভেম্বর হামলা, অগ্নিসংযোগ করে বিতারিত করা হয় তাদের। শুধু তাই নয় হামলা-মামলায় জর্জরিত করে রাখা হয়েছে তাদের।
ফিরতে পারছেন না নিজের ভিটায়। পাশের গ্রামে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সেখানেও হামলার শিকার হচ্ছেন।
বিজন ভারর্ডিক, বয়স প্রায় ৭০। এই মহিলা কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, ছোট বেলা থেকে যেখানে বড় হয়েছেন সেই বাড়িতে যেতে পারছেন না। এতো বছর পরেও প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না নেয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
একই এলাকার বাসিন্দা জয়ান হালদার বলেন, আমাদের কী অপরাধ? আমরা কেন বাড়ি ছাড়া? ভূমি দখলে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ জড়িত তারপরেও কেন বিচার পাই না। যেখানে মাথা গুজে বেঁচে আছি, এখন সেখানেও শান্তি নেই। গ্রামে যেতে পারি না।
১৭ জুলাই বুধবার ভূমি পুরুদ্ধার ও বিচারের দাবিতে তারা স্মারক লিপি দিতে এসেছেন রংপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে। এ সময় সাতটি দাবি উত্থাপন করেন তারা। এরমধ্যে অন্যতম তাদের ১৮৪৩ স্থান ফিরিয়ে দেয়া। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিচার অন্যতম।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে বলেন, আমরা কী এই দেশের মানুষ না? আমরা কী অন্য এলাকা থেকে এসেছি? তবে এই দেশের বাসিন্দা হয়ে কেন নিগ্রহের শিকার হতে হবে? কেন বিচার পাবো না। আজ আমরা কয়েক বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের কী দেখার কেউ নেই?
তারা স্মারকলিপি পেশ করেন রংপুরের ডি আই জি দেবদাস ভট্টাচার্জর কাছে। তিনি বলেন, এই মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেন্টিগেশন (পিবিআই)। আমার তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে দ্রুত আপনারা এর সুফল পাবেন। আর আপনাদের নিরাপত্তা কোন ঝুকি নেই। এরপরেও সমস্যা হলে তাতক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments