মাটিদূষণও জলবায়ুকে ঝুঁকিতে ফেলছে
জলবায়ু
পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে পুরো বিশ্বই এখন সচেতন। প্রকাশিতব্য এক গবেষণা
প্রতিবেদনে এবার উঠে এসেছে আরেক তথ্য। মাটিদূষণও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য
দায়ী। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে হলে মাটিদূষণ কমাতে হবে।
৬ মে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে ইন্টার গভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম (আইপিবিইএস)। এর আগে প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে গবেষকেরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ কার্বন রয়েছে, মাটিতে তার চেয়ে তিন গুণ বেশি কার্বনের উপস্থিতি রয়েছে। নির্বিচারে গাছ কাটা ও মাটির যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে পরিবেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩২০ কোটি মানুষ মাটিদূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আইপিবিইএসের চেয়ারম্যান বব ওয়াটসন। তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ এই কারণে (মাটিদূষণ) ভুগছে। পুরো পৃথিবীর মাটিই যে আমরা দূষিত করে ফেলছি, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। মাটি থেকে জৈব কার্বন হারিয়ে ফেলছি আমরা, মাটির উৎপাদনক্ষমতা দিন দিন কমছে। এই মাটিদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করছে। যতটুকু মাটি অবশিষ্ট আছে, সেই মাটিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
যুক্তরাজ্যের ক্রেনফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জেন রিকসন বলেছেন, ‘পৃথিবীর উপরিভাগের মাত্র ৩ শতাংশ জায়গা আবাদযোগ্য। প্রতিবছর দূষণের কারণে ৭৫ বিলিয়ন টন উর্বর মাটি হারিয়ে ফেলছি আমরা।’ তিনি বলেন, প্রতি তিন শ বছরে এক সেন্টিমিটার হারে মাটি গঠিত হচ্ছে।
বিশ্বের কোন অঞ্চলে কী পরিমাণ মাটি দূষিত হচ্ছে, সেটির সঠিক হিসাব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে গবেষকদের ধারণা, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকার সাব–সাহারা অঞ্চল, ভারত ও চীনের মাটি বেশি মাত্রায় দূষিত হচ্ছে। এশিয়ার সবচেয়ে পরাক্রমশালী দুই দেশ চীন ও ভারত— উভয় দেশের বিজ্ঞানীরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
৬ মে প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে ইন্টার গভর্নমেন্টাল সায়েন্স-পলিসি প্ল্যাটফর্ম অন বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইকোসিস্টেম (আইপিবিইএস)। এর আগে প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে গবেষকেরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ কার্বন রয়েছে, মাটিতে তার চেয়ে তিন গুণ বেশি কার্বনের উপস্থিতি রয়েছে। নির্বিচারে গাছ কাটা ও মাটির যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে পরিবেশ এবং জলবায়ু ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩২০ কোটি মানুষ মাটিদূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন আইপিবিইএসের চেয়ারম্যান বব ওয়াটসন। তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ এই কারণে (মাটিদূষণ) ভুগছে। পুরো পৃথিবীর মাটিই যে আমরা দূষিত করে ফেলছি, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। মাটি থেকে জৈব কার্বন হারিয়ে ফেলছি আমরা, মাটির উৎপাদনক্ষমতা দিন দিন কমছে। এই মাটিদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করছে। যতটুকু মাটি অবশিষ্ট আছে, সেই মাটিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
যুক্তরাজ্যের ক্রেনফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জেন রিকসন বলেছেন, ‘পৃথিবীর উপরিভাগের মাত্র ৩ শতাংশ জায়গা আবাদযোগ্য। প্রতিবছর দূষণের কারণে ৭৫ বিলিয়ন টন উর্বর মাটি হারিয়ে ফেলছি আমরা।’ তিনি বলেন, প্রতি তিন শ বছরে এক সেন্টিমিটার হারে মাটি গঠিত হচ্ছে।
বিশ্বের কোন অঞ্চলে কী পরিমাণ মাটি দূষিত হচ্ছে, সেটির সঠিক হিসাব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে গবেষকদের ধারণা, লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকার সাব–সাহারা অঞ্চল, ভারত ও চীনের মাটি বেশি মাত্রায় দূষিত হচ্ছে। এশিয়ার সবচেয়ে পরাক্রমশালী দুই দেশ চীন ও ভারত— উভয় দেশের বিজ্ঞানীরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
No comments