আইভীর অভিযোগে ফতুল্লার ওসি বদলি
নারায়ণগঞ্জ
সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফতুল্লা
মডেল থানার ওসি শাহ মঞ্জুর কাদেরকে বদলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার
রাতে বদলির আদেশটি ফতুল্লা মডেল থানায় এসে পৌঁছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার
হারুন অর রশিদ ওসি মঞ্জুর কাদেরের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওসি
হিসেবে এখন ফতুল্লা মডেল থানার ওসির দায়িত্ব পালন করবে ওসি (তদন্ত)
হাসানুজ্জামান। ওসি মঞ্জুর কাদের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় গত সাড়ে ৬ বছর
দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সজ্জন ওসি হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত ছিলেন। তিনি
একাধিকবার জেলায় ও ঢাকা রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কৃত হন। এ ছাড়া
তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পিপিএম পদক পেয়েছেন।
তাকে ঢাকা এসবিতে পদায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফতুল্লা মডেল থানায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদে বলেছিলেন, মেয়র আইভী এবং তার বাবা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকার সঙ্গে তাদের পারিবারিকভাবেই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ২০১১ সালের নির্বাচনে তারা মেয়র আইভীকে গোপনে সমর্থন দেন। এ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গেও আইভীর যোগাযোগ হয়েছিল। কথা ছিল নির্বাচনে জয়ের পর আইভী বিএনপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু তারা (স্থানীয় জামায়াত) চাইছিলেন আইভী আওয়ামী লীগেই থাকুক। কারণ বিএনপিতে এসে শামীম ওসমানের সঙ্গে পেরে উঠা যাবে না। এর চেয়ে আইভী আওয়ামী লীগে থাকলেই জামায়াত এবং বিএনপির জন্য সুবিধাজনক হবে।
জামায়াত নেতা মাওলানা মাঈনুদ্দিনের এ বক্তব্যের রেকর্ড ইউটিউবে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওই সময় কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় জামায়াত নেতার দেয়া বক্তব্য ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ায়, বিশেষ করে ওই বক্তব্যে মেয়র আইভীর বাবা প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকাকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বক্তব্য আদায় করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে গত বছরের নভেম্বরেই মেয়র আইভী ঘটনাটি জানিয়ে তা খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায় চিঠি দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য আইজিপির কাছে পাঠানো হয়। আইজি অফিস থেকে সেটি অতি সম্প্রতি তদন্ত করতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার সদ্য বিদায়ী ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের বলেন, ওই সময় ফতুল্লা মডেল থানায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জামায়াত নেতা মাঈনুদ্দিন আহমাদ স্বেচ্ছায় নানা বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সেই রেকর্ড কিভাবে বাইরে গেছে তা তদন্তের বিষয়। বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। সত্তরোর্ধ্ব জামায়াত নেতা মাঈনুদ্দিন আহমাদ যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন তাকে কেউ বাধ্য করেন নি।
এ বিষয়ে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী শনিবার একটি অনুষ্ঠানে বলেন, তাকে এবং তার পিতাকে জড়িয়ে যেই অডিও টেপ ভাইরাল করা হয়েছে সেজন্য ওসি মঞ্জুর কাদেরের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন।
এদিকে মেয়র আইভীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গ্রেপ্তার অবস্থায় জামায়াত নেতার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যটি ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ার পরেই মেয়র এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলেন।
তাকে ঢাকা এসবিতে পদায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমাদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ফতুল্লা মডেল থানায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদে বলেছিলেন, মেয়র আইভী এবং তার বাবা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকার সঙ্গে তাদের পারিবারিকভাবেই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ২০১১ সালের নির্বাচনে তারা মেয়র আইভীকে গোপনে সমর্থন দেন। এ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গেও আইভীর যোগাযোগ হয়েছিল। কথা ছিল নির্বাচনে জয়ের পর আইভী বিএনপিতে যোগ দেবেন। কিন্তু তারা (স্থানীয় জামায়াত) চাইছিলেন আইভী আওয়ামী লীগেই থাকুক। কারণ বিএনপিতে এসে শামীম ওসমানের সঙ্গে পেরে উঠা যাবে না। এর চেয়ে আইভী আওয়ামী লীগে থাকলেই জামায়াত এবং বিএনপির জন্য সুবিধাজনক হবে।
জামায়াত নেতা মাওলানা মাঈনুদ্দিনের এ বক্তব্যের রেকর্ড ইউটিউবে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে ওই সময় কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় জামায়াত নেতার দেয়া বক্তব্য ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ায়, বিশেষ করে ওই বক্তব্যে মেয়র আইভীর বাবা প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকাকে নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বক্তব্য আদায় করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে গত বছরের নভেম্বরেই মেয়র আইভী ঘটনাটি জানিয়ে তা খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থায় চিঠি দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগটি তদন্তের জন্য আইজিপির কাছে পাঠানো হয়। আইজি অফিস থেকে সেটি অতি সম্প্রতি তদন্ত করতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার সদ্য বিদায়ী ওসি শাহ মঞ্জুর কাদের বলেন, ওই সময় ফতুল্লা মডেল থানায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জামায়াত নেতা মাঈনুদ্দিন আহমাদ স্বেচ্ছায় নানা বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সেই রেকর্ড কিভাবে বাইরে গেছে তা তদন্তের বিষয়। বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। সত্তরোর্ধ্ব জামায়াত নেতা মাঈনুদ্দিন আহমাদ যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন তাকে কেউ বাধ্য করেন নি।
এ বিষয়ে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী শনিবার একটি অনুষ্ঠানে বলেন, তাকে এবং তার পিতাকে জড়িয়ে যেই অডিও টেপ ভাইরাল করা হয়েছে সেজন্য ওসি মঞ্জুর কাদেরের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন।
এদিকে মেয়র আইভীর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, গ্রেপ্তার অবস্থায় জামায়াত নেতার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যটি ইউটিউবে ভাইরাল হওয়ার পরেই মেয়র এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা দপ্তরে চিঠি দিয়েছিলেন।
No comments