ব্রিটিশ রাজপরিবারের উত্তরাধিকারীর প্রতীক্ষায়
যুক্তরাজ্যের প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা কেট মিডলটনকে (৩১) গতকাল সোমবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রসববেদনা শুরু হলে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। কেটের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুটিই হবে ব্রিটিশ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী। কোন দিন সন্তানের জন্ম দেবেন কেট—এ নিয়ে গণমাধ্যমের সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল গ্রিনিচমান সময় ভোর পাঁচটার দিকে পশ্চিম লন্ডনের প্যাডিংটনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। ডাচেস অব কেমব্রিজ কেটকে কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ডিউক অব কেমব্রিজ উইলিয়াম সঙ্গে ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তির পর কেটের শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক ছিল। তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই সন্তানের জন্ম দেওয়ার পক্ষে। কেটকে হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই তাঁর বোন পিপা ও মা ক্যারল মিডলটনও হাসপাতালে যান। কেট-উইলিয়াম দম্পতির অনাগত শিশুটি ছেলে না মেয়ে তা আগেভাবে জানা যায়নি। সন্তান গর্ভে আসার পর প্রথম দিকে কিছু সমস্যার কারণে গত ১৫ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কেট। এরপর আর তাঁকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। কেটের সন্তান জন্মদানের সংবাদ সংগ্রহের আশায় গণমাধ্যম কর্মীরা গত ১ জুলাই থেকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান করছেন। কিন্তু তাঁদের কৌশলে এড়িয়ে গতকাল হাসপাতালের পেছনের দরজা দিয়ে কেটকে ভেতরে নেওয়া হয়। ব্যয়বহুল এই হাসপাতালেই ৩১ বছর আগে প্রিন্সেস ডায়ানার গর্ভে জন্ম নেন প্রিন্স উইলিয়াম। রাজপ্রাসাদ থেকে কেটের সন্তান জন্মদানের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাসী যে শিশুটির আগমনের জন্য প্রতীক্ষা করছে, সে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর হালনাগাদ তথ্য জানানো হবে। রাজপ্রাসাদের একটি সূত্র জানায়, কেটের প্রসববেদনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রসববেদনা শুরুর পরপরই উইলিয়াম স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে যান। এ সময় তাঁরা কোনো পুলিশি নিরাপত্তা নেননি। তবে পরে হাসপাতালের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। এর বাইরে টহল দিচ্ছে পুলিশ। উইলিয়াম-কেটের শিশুটির জন্মের বিষয়টি তাঁদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হলেও ব্রিটিশ রাজপরিবারের তৃতীয় উত্তরাধিকারী বলে কথা। গণমাধ্যমের হইচইয়ের অন্ত নেই। সারা বিশ্বই নবাগতের আগমন উদ্যাপন করবে। যখনপ্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম হয়, তখন তাঁর বাবা প্রিন্স চার্লসেরও একই ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এখন প্রিন্স উইলিয়াম বাবা হতে যাচ্ছেন। রয়টার্স।
No comments