ফিরে দেখাঃ সান ইয়েত সেন by ইমরান রহমান
চীনের জাতীয়তাবাদের প্রাণপুরুষ সান ইয়েত সেন ১৮৬৬ সালের ১২ নভেম্বর কুইং সাম্রাজ্যের জিয়াংশানে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১১ সালে চীনে কুইং রাজবংশের পতনে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রজাতন্ত্রী চীনের অগ্রদূতই শুধু নন, তাকে চীনে জাতির জনকও বলা হয়ে থাকে। ১৯১২ সালে প্রজাতন্ত্রী চীন গঠিত হওয়ার পর তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট।
পরবর্তীকালে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক সংগঠন কুওমিনটাঙয়ের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আধুনিক চীনের অন্যতম রূপকার এ নেতার রাজনৈতিক জীবন নিষ্কণ্টক ছিল না। সংগ্রাম ও নির্বাসন ছিল তার রাজনৈতিক জীবনের নিত্যসঙ্গী। তার মৃত্যুর পর তার পার্টি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এর আগে এ পার্টির সঙ্গে কমিউনিসল্টদের মৈত্রীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সান শৈশবে কুইং রাজবংশের আমলে সংঘটিত তাইপিং বিদ্রোহের অনেক কাহিনী শুনে বেড়ে ওঠেন। স্থানীয় স্কুলে কয়েক বছর পড়ার পর সান হনলুলুতে চলে যান বড় ভাইয়ের কাছে। এ সময় সান লোলানি স্কুলে ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞানের ওপর পড়াশোনা করেন। ১৮৮৩ সালে সান আমেরিকা থেকে চীনে ফিরে আসেন। ২৯ বছর বয়সে সান লু সুজেন নাম্নি এক তরুণীকে বিয়ে করেন। ১৯২৫ সালের ১২ মার্চ কিংবদন্তিতুল্য এ নেতার মৃত্যু ঘটে বিপিংয়ে। হান ইয়েত সেন, চিয়াং কাইশেক এবং চৌ এন লাই ছিলেন পরস্পরের ভায়রা।
No comments