বাংলাদেশে তেজি হলেও বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের ব্যাপক দরপতন
বাংলাদেশের মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের বিপরীতে স্থানীয় টাকার দরপতন অব্যাহত রয়েছে। কয়েকটি বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক অব্যাহতভাবে বাজার থেকে ডলার কেনার কারণেই মূলত বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার তেজি হয়ে ওঠে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।
আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি ডলার লেনদেন হয় ৬৯ টাকা ৬৩ পয়সায়, যা মঙ্গলবার ৬৯ টাকা ৭০ পয়সার মনস্তাত্ত্বিক বাধা পেরিয়ে যায়। বুধবার প্রতি মার্কিন ডলার ৬৯ টাকা ৭৫ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে সপ্তাহের শেষ লেনদেন দিবস গত বৃহস্পতিবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে সরাসরি কেনাবেচায় প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে যায়, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৬৯ টাকা ৬৫ পয়সা।
তবে বিশ্ব মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহে (১৮ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার-নীতি নিয়ে খবর প্রকাশের আগে পর্যন্ত প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে। গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার ইতিবাচক বক্তব্যে সেই দেশের মুদ্রা ডলার মার্কিন ডলারের বিপরীতে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়।
গত মঙ্গলবার ইউরো অঞ্চলের ঋণ-সম্পর্কিত বন্ড বিক্রিতে বেশ সাড়া সৃষ্টি হওয়ায় আয়ারল্যান্ড, গ্রিস ও স্পেনের ঋণ না পাওয়ার যে শঙ্কা ছিল, তা অনেকটা কেটে যায়। ফলে গত বুধবার ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ও জাপানি ইয়েনের বিপরীতে আগের সপ্তাহের পতনের ধারাবাহিকতায় একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকে তাদের অর্থনীতিকে মন্দা থেকে উত্তরণের জন্য আরও প্রণোদনার খবর প্রকাশিত হওয়ায় ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাজার থেকে ট্রেজারি সিকিউরিটিজ কিনে নিয়ে ডলারের জোগান বাড়ালে মার্কিন অর্থনীতির বিভিন্ন বন্ডের অন্তর্নিহিত সুদের হার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই ডলারের দরপতন ঘটেছে বলে বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন।
এদিকে সপ্তাহের শেষ দিকে সুইস ফ্রাঁর বিপরীতেও মার্কিন ডলার গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। এ সময় প্রতি ডলার শূন্য দশমিক ৯৮ সুইস ফ্রাঁতে কেনাবেচা হয়।
শুক্রবার জার্মানির আইএফও সূচকের গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যাওয়ায় ডলারের বিপরীতে ইউরো আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বদৌলতে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ৩৪৯০ ডলারে লেনদেন হয়। একই দিন জাপানি ইয়েনের বিপরীতেও মার্কিন ডলার এক সপ্তাহের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। এ সময় প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ১২ ইয়েনে লেনদেন হয়, যা গত সপ্তাহ শেষে ছিল ৮৫ দশমিক ৮১ ইয়েন।
চীনের উৎপাদন খাতের আশাপ্রদ খবর, যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির তথ্য প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হওয়ায় এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাংক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর নতুন নীতিমালা গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা আলোচ্য সপ্তাহে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। যে কারণে সপ্তাহের শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলারের ব্যাপকহারে দরপতন ঘটতে থাকে।
আগের সপ্তাহে জাপান সরকার তাদের মুদ্রা ইয়েনের শক্তি হ্রাসে আশু কোনো পদক্ষেপ নেবে না—এমন ধারণা বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দর হ্রাস পেয়ে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। তখন প্রতি ডলার ৮২ দশমিক ৮৭ ইয়েনে নেমে আসে।
যা হোক, সপ্তাহ শেষে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ৩০৩৪ ডলারে, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং ১ দশমিক ৫৬৩৬ ডলারে এবং প্রতি ডলার ৮৫ দশমিক ৮১ ইয়েনে লেনদেন হয়েছে।
আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি ডলার লেনদেন হয় ৬৯ টাকা ৬৩ পয়সায়, যা মঙ্গলবার ৬৯ টাকা ৭০ পয়সার মনস্তাত্ত্বিক বাধা পেরিয়ে যায়। বুধবার প্রতি মার্কিন ডলার ৬৯ টাকা ৭৫ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে সপ্তাহের শেষ লেনদেন দিবস গত বৃহস্পতিবার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে সরাসরি কেনাবেচায় প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার সর্বোচ্চ ৬৯ টাকা ৮০ পয়সায় উঠে যায়, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ৬৯ টাকা ৬৫ পয়সা।
তবে বিশ্ব মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহে (১৮ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর) মার্কিন ডলারের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার-নীতি নিয়ে খবর প্রকাশের আগে পর্যন্ত প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে। গত সোমবার অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়ার ইতিবাচক বক্তব্যে সেই দেশের মুদ্রা ডলার মার্কিন ডলারের বিপরীতে গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়।
গত মঙ্গলবার ইউরো অঞ্চলের ঋণ-সম্পর্কিত বন্ড বিক্রিতে বেশ সাড়া সৃষ্টি হওয়ায় আয়ারল্যান্ড, গ্রিস ও স্পেনের ঋণ না পাওয়ার যে শঙ্কা ছিল, তা অনেকটা কেটে যায়। ফলে গত বুধবার ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ও জাপানি ইয়েনের বিপরীতে আগের সপ্তাহের পতনের ধারাবাহিকতায় একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকে তাদের অর্থনীতিকে মন্দা থেকে উত্তরণের জন্য আরও প্রণোদনার খবর প্রকাশিত হওয়ায় ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাজার থেকে ট্রেজারি সিকিউরিটিজ কিনে নিয়ে ডলারের জোগান বাড়ালে মার্কিন অর্থনীতির বিভিন্ন বন্ডের অন্তর্নিহিত সুদের হার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই ডলারের দরপতন ঘটেছে বলে বাজার বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন।
এদিকে সপ্তাহের শেষ দিকে সুইস ফ্রাঁর বিপরীতেও মার্কিন ডলার গত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। এ সময় প্রতি ডলার শূন্য দশমিক ৯৮ সুইস ফ্রাঁতে কেনাবেচা হয়।
শুক্রবার জার্মানির আইএফও সূচকের গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যাওয়ায় ডলারের বিপরীতে ইউরো আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বদৌলতে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ৩৪৯০ ডলারে লেনদেন হয়। একই দিন জাপানি ইয়েনের বিপরীতেও মার্কিন ডলার এক সপ্তাহের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। এ সময় প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ১২ ইয়েনে লেনদেন হয়, যা গত সপ্তাহ শেষে ছিল ৮৫ দশমিক ৮১ ইয়েন।
চীনের উৎপাদন খাতের আশাপ্রদ খবর, যুক্তরাষ্ট্রের চাকরির তথ্য প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হওয়ায় এবং বিশ্বব্যাপী ব্যাংক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর নতুন নীতিমালা গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীরা আলোচ্য সপ্তাহে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। যে কারণে সপ্তাহের শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলারের ব্যাপকহারে দরপতন ঘটতে থাকে।
আগের সপ্তাহে জাপান সরকার তাদের মুদ্রা ইয়েনের শক্তি হ্রাসে আশু কোনো পদক্ষেপ নেবে না—এমন ধারণা বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দর হ্রাস পেয়ে ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। তখন প্রতি ডলার ৮২ দশমিক ৮৭ ইয়েনে নেমে আসে।
যা হোক, সপ্তাহ শেষে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ৩০৩৪ ডলারে, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং ১ দশমিক ৫৬৩৬ ডলারে এবং প্রতি ডলার ৮৫ দশমিক ৮১ ইয়েনে লেনদেন হয়েছে।
No comments