তাজিকিস্তানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে মৌলবাদ
মায়ের সঙ্গে বাইরে কোথাও গেলে সবার সামনে বিব্রত বোধ করেন তাঁর ২১ বছর বয়সী ছেলে। কারণ ইসলামি রীতি অনুযায়ী মা শিরাবরণ পরেন না, যা হিজাব নামে পরিচিত। নিজের ছেলের সম্পর্কে এ কথা বলেছেন শইরা শাতমানোভা (৫৩) নামে তাজিকিস্তানের এক নারী।
শাতমানোভা পেশায় একজন সেবিকা। সোভিয়েত-যুগের চালচলনে অভ্যস্ত হওয়ায় হিজাব পরার অভ্যাস নেই তাঁর। কিন্তু হিজাব না পরার কারণেতাঁকে অনেকে বিরূপ দৃষ্টিতে দেখেন। নিজ দেশে এখন নিজেকে পরবাসী মনে হয় শাতমানোভার।
শুধু শাতমানোভাই নন, তাজিকিস্তানের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসলামের নামে কট্টরপন্থী ধ্যান-ধারণা তুলে ধরার প্রবণতা ৭৫ লাখ লোকের দেশটিকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে পারে।
শাতমানোভা বলেন, ‘আমি নারীর হিজাব পরার বিপক্ষে নই। যখন হিজাব পরা নারী ও তাঁদের স্বামীরা আমার মতো নারীর বিরুদ্ধাচরণ করেন, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। যা এখন ঘটে চলেছে, আমি কেবল এর বিরুদ্ধে বলব।’
মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে টানা দারিদ্র্য বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, ধর্মের নামে মানুষের ওপর সোভিয়েত-ধাঁচের জোর-জুলুম দেশের বিভিন্ন অংশে ইসলামি মৌলবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হলেও তাজিকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম। দেশের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে রাশিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও চীন।
নারীদের মধ্যে জাতীয় পোশাক এড়িয়ে হিজাব পরার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি এর সমালোচনা করেন দেশের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমন। তিনি বিদেশের ধর্মীয় বিদ্যালয় থেকে শিশুদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান অভিভাবকদের। রাখমন বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে তারা ‘সন্ত্রাসী’ হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে মধ্য এশীয় যেসব জঙ্গি লড়াই করেছে, তাজিকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগটাকে তারা কাজে লাগাতে পারে। জাতিগত বিভেদ শেকড় গাড়তে পারে ফারগানা উপত্যকায়। সেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিনটি দেশ পরস্পর বিরোধে লিপ্ত। কিরগিজস্তানে এপ্রিলের বিদ্রোহের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এর পর থেকে তারা গোলযোগপূর্ণ দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত এপ্রিলে সেখানে ব্যাপক সংঘর্ষে প্রায় ৪০০ জন নিহত হয়।
তাজিকিস্তানে সম্প্রতি বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশকেকভিত্তিক মধ্য এশিয়ার প্রকল্প পরিচালক পল কুইন জাজ বলেন, কোন দেশে নাশকতামূলক চেষ্টা বুঝতে সহায়তা করে ওই দেশের সরকার কত দুর্বল।
শাতমানোভা পেশায় একজন সেবিকা। সোভিয়েত-যুগের চালচলনে অভ্যস্ত হওয়ায় হিজাব পরার অভ্যাস নেই তাঁর। কিন্তু হিজাব না পরার কারণেতাঁকে অনেকে বিরূপ দৃষ্টিতে দেখেন। নিজ দেশে এখন নিজেকে পরবাসী মনে হয় শাতমানোভার।
শুধু শাতমানোভাই নন, তাজিকিস্তানের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসলামের নামে কট্টরপন্থী ধ্যান-ধারণা তুলে ধরার প্রবণতা ৭৫ লাখ লোকের দেশটিকে জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে পারে।
শাতমানোভা বলেন, ‘আমি নারীর হিজাব পরার বিপক্ষে নই। যখন হিজাব পরা নারী ও তাঁদের স্বামীরা আমার মতো নারীর বিরুদ্ধাচরণ করেন, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। যা এখন ঘটে চলেছে, আমি কেবল এর বিরুদ্ধে বলব।’
মধ্য এশিয়ার এই দেশটিতে টানা দারিদ্র্য বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, ধর্মের নামে মানুষের ওপর সোভিয়েত-ধাঁচের জোর-জুলুম দেশের বিভিন্ন অংশে ইসলামি মৌলবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হলেও তাজিকিস্তানের বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম। দেশের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে রাশিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও চীন।
নারীদের মধ্যে জাতীয় পোশাক এড়িয়ে হিজাব পরার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি এর সমালোচনা করেন দেশের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাখমন। তিনি বিদেশের ধর্মীয় বিদ্যালয় থেকে শিশুদের ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান অভিভাবকদের। রাখমন বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে তারা ‘সন্ত্রাসী’ হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে মধ্য এশীয় যেসব জঙ্গি লড়াই করেছে, তাজিকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সুযোগটাকে তারা কাজে লাগাতে পারে। জাতিগত বিভেদ শেকড় গাড়তে পারে ফারগানা উপত্যকায়। সেখানে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের তিনটি দেশ পরস্পর বিরোধে লিপ্ত। কিরগিজস্তানে এপ্রিলের বিদ্রোহের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। এর পর থেকে তারা গোলযোগপূর্ণ দক্ষিণাঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত এপ্রিলে সেখানে ব্যাপক সংঘর্ষে প্রায় ৪০০ জন নিহত হয়।
তাজিকিস্তানে সম্প্রতি বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২৩ জন সেনা নিহত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশকেকভিত্তিক মধ্য এশিয়ার প্রকল্প পরিচালক পল কুইন জাজ বলেন, কোন দেশে নাশকতামূলক চেষ্টা বুঝতে সহায়তা করে ওই দেশের সরকার কত দুর্বল।
No comments