জ্বালানি পেলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে ইরান
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, তেহরানে মেডিকেল পরমাণু চুল্লির জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা হলে তারা উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করবে। বার্তা সংস্থা আইএসএনএ গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘বিশ্বশক্তি আমাদের জ্বালানি সরবরাহ করলে আমরা ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধের চিন্তা করতে পারি।’
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহসংক্রান্ত আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টির পর গত ফেব্রুয়ারিতে আহমাদিনেজাদ দেশের পরমাণুপ্রধানকে ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণের কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন।
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণের জন্য আমরা প্রথম দিকে নতুন প্লান্ট স্থাপন করতে চাইনি। আইন অনুযায়ী আইএইএর সদস্যদেশেরই আমাদের জ্বালানি সরবরাহ করার কথা। আমরা সংস্থাকে আমাদের চাহিদা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সদস্যদেশগুলো বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু করে।’ ইরান এর আগে সাড়ে তিন শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু তারা বলছে, রাজধানীর ওই পরমাণু চুল্লির জন্য ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম লাগবে।
গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে ইরানের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা সফল হলে তাঁরা উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধ করবেন।
ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের ধারণা, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবর দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যেই তারা এ কাজ করছে।
পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন। কাজেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ করে ইরান পরমাণু বোমা তৈরির আরও কাছে পৌঁছে গেছে।
আহমাদিনেজাদ বলেন, চাপাচাপিতে কোনো কাজ হয় না, বরং বিরোধ বাড়ে। কিন্তু আলোচনায় ফল পাওয়া যায়। মুলা ঝুলানোর রাজনীতির আমল শেষ হয়ে গেছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট জানান, আগামী অক্টোবরে ইরানের একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য এবং জার্মানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। তিনি বলেন, ‘আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত। ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।’
তবে আহমাদিনেজাদ জানিয়ে দেন, চাপের কাছে ইরান নতি স্বীকার করবে না। তিনি বলেন, তারা যদি মনে করে, আলোচনার নামে ইরানি জাতির অধিকার পদদলিত করতে পারবে, তাহলে তারা অবশ্যই ভুল করবে।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘বিশ্বশক্তি আমাদের জ্বালানি সরবরাহ করলে আমরা ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধের চিন্তা করতে পারি।’
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহসংক্রান্ত আলোচনায় অচলাবস্থা সৃষ্টির পর গত ফেব্রুয়ারিতে আহমাদিনেজাদ দেশের পরমাণুপ্রধানকে ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণের কাজ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন।
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধকরণের জন্য আমরা প্রথম দিকে নতুন প্লান্ট স্থাপন করতে চাইনি। আইন অনুযায়ী আইএইএর সদস্যদেশেরই আমাদের জ্বালানি সরবরাহ করার কথা। আমরা সংস্থাকে আমাদের চাহিদা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সদস্যদেশগুলো বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক খেলা শুরু করে।’ ইরান এর আগে সাড়ে তিন শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। কিন্তু তারা বলছে, রাজধানীর ওই পরমাণু চুল্লির জন্য ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম লাগবে।
গত ফেব্রুয়ারির পর থেকে ইরানের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন, জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা সফল হলে তাঁরা উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ বন্ধ করবেন।
ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তাদের ধারণা, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবর দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যেই তারা এ কাজ করছে।
পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম প্রয়োজন। কাজেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরেনিয়াম ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ করে ইরান পরমাণু বোমা তৈরির আরও কাছে পৌঁছে গেছে।
আহমাদিনেজাদ বলেন, চাপাচাপিতে কোনো কাজ হয় না, বরং বিরোধ বাড়ে। কিন্তু আলোচনায় ফল পাওয়া যায়। মুলা ঝুলানোর রাজনীতির আমল শেষ হয়ে গেছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট জানান, আগামী অক্টোবরে ইরানের একটি প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য এবং জার্মানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে। তিনি বলেন, ‘আলোচনার জন্য আমরা প্রস্তুত। ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে আলোচনার পথ খোলা রয়েছে।’
তবে আহমাদিনেজাদ জানিয়ে দেন, চাপের কাছে ইরান নতি স্বীকার করবে না। তিনি বলেন, তারা যদি মনে করে, আলোচনার নামে ইরানি জাতির অধিকার পদদলিত করতে পারবে, তাহলে তারা অবশ্যই ভুল করবে।
No comments