চীনে এ বছর বন্যায় ৭০০ জনের প্রাণহানি
চীনে এ বছর ভয়াবহ বন্যায় ৭০০ জনের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। নিখোঁজ হয়েছে ৩৪৭ জন। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। একজন কর্মকর্তা গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় কনসনের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় চ্যানথু। এটি আজ বৃহস্পতিবার নাগাদ গুয়ানদং ও হাইনান প্রদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
চীনের বন্যানিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান লিউ নিং গতকাল সাংবাদিকদের জানান, চীনে এ বছর যে বন্যা হয়েছে, তা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। বন্যায় এ পর্যন্ত ৭০১ জন নিহত ও ৩৪৭ নিখোঁজ হয়েছে। আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল চলবে। ফলে আরও বৃষ্টি হবে এবং বন্যা পরিস্থিতিও খারাপের দিকে মোড় নেবে। তিনি জানান, আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা করছেন, ভারী বর্ষণ দেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এবং এর ফলে হুয়াই, পীত ও সংহু নদীর তীরবর্তী এলাকায়ও বন্যা হতে পারে।
লিউ জানান, ‘এসব নদীতে বহু বছর ধরে বড় ধরনের বন্যা হয়নি। তবে সামনে হতে যাচ্ছে। কাজেই আমাদের জন্য সামনে আরও বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।’ তিনি আরও বলেন, দেশের ২৩০টি নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। দুই ডজনের বেশি নদী ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বন্যা ও ভূমিধসে লাখ লাখ বাড়িঘরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্যায় সরাসরি ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
চীনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ১৯৮৮ সালে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। ওই বন্যায় চার হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারায়। লিউ জানান, ওই বন্যার পর থেকে চীন বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মাণসহ কমপক্ষে ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর কারণে এবার ভয়াবহ বন্যা সত্ত্বেও প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় চ্যানথু উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। লোকজনকে বাড়িতে না থেকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
চীনের বন্যানিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রধান লিউ নিং গতকাল সাংবাদিকদের জানান, চীনে এ বছর যে বন্যা হয়েছে, তা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। বন্যায় এ পর্যন্ত ৭০১ জন নিহত ও ৩৪৭ নিখোঁজ হয়েছে। আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল চলবে। ফলে আরও বৃষ্টি হবে এবং বন্যা পরিস্থিতিও খারাপের দিকে মোড় নেবে। তিনি জানান, আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা করছেন, ভারী বর্ষণ দেশের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এবং এর ফলে হুয়াই, পীত ও সংহু নদীর তীরবর্তী এলাকায়ও বন্যা হতে পারে।
লিউ জানান, ‘এসব নদীতে বহু বছর ধরে বড় ধরনের বন্যা হয়নি। তবে সামনে হতে যাচ্ছে। কাজেই আমাদের জন্য সামনে আরও বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।’ তিনি আরও বলেন, দেশের ২৩০টি নদী বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। দুই ডজনের বেশি নদী ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বন্যা ও ভূমিধসে লাখ লাখ বাড়িঘরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। বন্যায় সরাসরি ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
চীনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ১৯৮৮ সালে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়। ওই বন্যায় চার হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারায়। লিউ জানান, ওই বন্যার পর থেকে চীন বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মাণসহ কমপক্ষে ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এর কারণে এবার ভয়াবহ বন্যা সত্ত্বেও প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় চ্যানথু উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। লোকজনকে বাড়িতে না থেকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
No comments