ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চসেস্কু দম্পতির দেহাবশেষ উত্তোলন
নিকোলাই চসেস্কু ও তাঁর স্ত্রী এলেনা |
ডিএনএ পরীক্ষার জন্য গতকাল বুধবার রোমানিয়ার একনায়ক নিকোলাই চসেস্কু ও তাঁর স্ত্রী এলেনার দেহাবশেষ তোলা হয়েছে। রোমানিয়ার কর্মকর্তারা জানান, আসলেই তাঁদের সেখানে সমাহিত করা হয়েছিলো কি না সে রহস্যের মীমাংসা করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এখন এই ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, চসেস্কুর পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হয়।১৯৬৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত রোমানিয়া শাসন করেন এই চসেস্কু। ১৯৮৯ সালের এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। এর মধ্যে দিয়ে দেশটিতে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হয়। ওই বছরই এক বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে ওই দম্পতির তিন সন্তান বরাবরই সন্দেহ করে আসছিলেন, তাঁদের মা-বাবাকে আসলেই রাজধানী বুখারেস্টের ঘেনচিয়া সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করা হয়েছিল কি না। সন্তানদের মধ্যে এখন শুধু ছেলে ভ্যালেন্তিন বেঁচে আছেন।দেহাবশেষ কবর থেকে তোলা হয়েছে নিশ্চিত করে চসেস্কুর প্রয়াত মেয়ে জোইয়ার স্বামী মার্সিয়া অপরেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে চাই, এই দেহাবশেষ আমার প্রয়াত শ্বশুর-শাশুড়ির। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা না করা পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না।’মৃতদেহ তোলার পর অপরেন সাংবাদিকদের বলেন, ফাঁসিতে ঝোলানোর সময় শ্বশুর যে কোটটি পরে ছিলেন সেটি চিনতে পেরেছেন তিনি। স্থানীয় এক টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়ে দেহাবশেষের বাকি অংশ আবার কবরে রেখে দেওয়া হবে। এই কবরে চসেস্কু দম্পতি ছিলেন না এমন তথ্য উদ্ঘাটিত হলে কী হবে তা আমি জানি না। সম্ভবত আমরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা করব।’এর আগেও চসেস্কুর সন্তানেরা তাঁদের মা-বাবার দেহাবশেষ পরীক্ষার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু দুবার তাঁদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয়। কিন্তু ২০০৮ সালের জুনে রোমানিয়ার একটি আপিল আদালত বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়।
No comments