রাসেলকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে এক মাস সময় পেলো গ্রিন লাইন
অবশেষে
ক্ষতিপূরণের পাঁচ লাখ টাকা পেলেন গ্রিন লাইন বাসের চাপায় পা হারানো
প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকার। গতকাল বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে ৫ লাখ
টাকার চেক দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। এ সময় বাকি ৪৫ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয়ার
জন্য গ্রিন লাইন কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে রাসেল সরকারের
ক্ষতিগ্রস্ত ডান পায়ের চিকিৎসা সাভারের সিআরপিতে করানো ও বাঁ পায়ে কৃত্রিম
পা লাগানোর আদেশ দেন আদালত।
গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের উপস্থিতিতে ৫ লাখ টাকার চেক আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ রাসেলের হাতে তুলে দেন। একই সঙ্গে আদালত রাসেল সরকারকে ৫ লাখ এই চেক ক্যাশ হলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। আদালত গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে বলেন, রাসেলের চিকিৎসায় তো অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আমরা ৫০ লাখ টাকা দিতে বলেছি।
এত কম দিয়েছেন কেন? জবাবে গ্রিন লাইন মালিকের পক্ষের আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ বলেন, আমরা এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছি।
এর মধ্যে ভাগে ভাগে টাকা দেব। তখন আদালত বলেন, ভাগে ভাগে না, একসঙ্গে দিতে হবে। এরপর এক মাসের মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দেয়ার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে রাসেল সরকারের ক্ষতিগ্রস্ত ডান পায়ের চিকিৎসা সাভারের সিআরপিতে করানোর ও বাঁ পায়ে কৃত্রিম পা লাগানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের আদেশের পর রাসেল সরকার বলেন, আমার চিকিৎসায় অনেক খরচ হয়েছে। ৫০ লাখ টাকা দেয়ার কথা, ৫ লাখ পেয়েছি। আশা করি গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ আদালতের দেয়া সময়সীমার মধ্যে বাকি টাকা দিয়ে দিবেন। আজও আমি আদালতে প্রতিবেশী সাইফুলের আর্থিক সহায়তায় এসেছি। হোটেলে খেতে যেহেতু অনেক টাকার প্রয়োজন সেজন্য বাসা থেকে রুটি বানিয়ে এনেছি। সেই সঙ্গে তিনি গ্রিন লাইনের ওই বাস চালকের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেন। মামলার চার্জশিটের জন্য ১৫ দিন আগে যাত্রাবাড়ী থানার এসআইকে চিঠি দিয়েছি। তিন দিন আগে তিনি জানিয়েছেন চার্জশিট প্রস্তুত করেছেন। তবে এখনও আদালতে জমা দেননি।
রিটকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, কম হলেও গ্রিন লাইন রাসেল সরকারকে আজ ৫ লাখ, বাকী টাকা এক মাসের মধ্যে দিতে বাধ্য থাকবেন। তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ দেয়ার একটা রেওয়াজতো চালুু হলো। সেজন্য আমরা আদালতের এই রায়ে খুশি।
এর আগে গতকাল সকালে শুনানি শুরু হলে বিকাল ৩টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা গ্রিন লাইন পরিবহন মালিককে পরিশোধ করতে বলেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ৩টার মধ্যে রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকার কিছু অংশ না দিলে আমাদের মতো আমরা ব্যবস্থা নেব। বিচারপতিরা গ্রিন লাইনের মালিক মো. আলাউদ্দিন ও তার আইনজীবীর উদ্দেশ্যে এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী বিকাল ৩টার মধ্যে তাকে ৫ লাখ টাকার চেক বুঝিয়ে দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার শামসুল হক রেজা এবং গ্রিন লাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মো. ওয়াজি উল্লাহ। সকালে শুনানির শুরুতে রিটকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, আমাদের সঙ্গে এখনও গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি। এ সময় গ্রিন লাইনের আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের জন্য আবারও সময় চান। তখন আদালত গ্রিন লাইনের মালিক ও আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকার পা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন, আপনারা কোনো খোঁজ নিলেন না। একটা টাকাও দিলেন না। রাসেলের একটা পা কেটে ফেলা হয়েছে। আরেকটি পা-ও যাওয়ার পথে। আপনাদের ব্যবসা তো ঠিকই চলছে। মানবতারও তো একটা ব্যাপার আছে।
এ সময় গ্রিন লাইনের আইনজীবী মো.ওয়াজি উল্লাহ আদালতকে বলেন, রাসেল সরকারের চাকরির ব্যবস্থা করবেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। আদালত বলেন, আপনারা আগে বিকাল ৩টার মধ্যে আদালত যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিয়েছেন সেটার কিছু অংশ পরিশোধ করে আসেন। তাহলে আমরা বুঝবো আপনারা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন। অন্যথায় আমাদের মতো করে আমরা ব্যবস্থা নেব। এরপর আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য বিকাল ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন। গত ৪ঠা এপ্রিল পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রিন লাইন পরিবহনকে গতকাল ১০ই এপ্রিলের মধ্যে সময়সীমা বেধে দেয় একই বেঞ্চ। এর মধ্যে তা পরিশোধ না করলে ১১ই এপ্রিল থেকে টিকিট বিক্রি করতেও নিষেধ করা হয়।
গত বছরের ২৮শে এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেল সরকারের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গতকাল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের উপস্থিতিতে ৫ লাখ টাকার চেক আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ রাসেলের হাতে তুলে দেন। একই সঙ্গে আদালত রাসেল সরকারকে ৫ লাখ এই চেক ক্যাশ হলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। আদালত গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে বলেন, রাসেলের চিকিৎসায় তো অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আমরা ৫০ লাখ টাকা দিতে বলেছি।
এত কম দিয়েছেন কেন? জবাবে গ্রিন লাইন মালিকের পক্ষের আইনজীবী ওয়াজি উল্লাহ বলেন, আমরা এক মাস সময় চেয়ে আবেদন করেছি।
এর মধ্যে ভাগে ভাগে টাকা দেব। তখন আদালত বলেন, ভাগে ভাগে না, একসঙ্গে দিতে হবে। এরপর এক মাসের মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দেয়ার আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে রাসেল সরকারের ক্ষতিগ্রস্ত ডান পায়ের চিকিৎসা সাভারের সিআরপিতে করানোর ও বাঁ পায়ে কৃত্রিম পা লাগানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতের আদেশের পর রাসেল সরকার বলেন, আমার চিকিৎসায় অনেক খরচ হয়েছে। ৫০ লাখ টাকা দেয়ার কথা, ৫ লাখ পেয়েছি। আশা করি গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ আদালতের দেয়া সময়সীমার মধ্যে বাকি টাকা দিয়ে দিবেন। আজও আমি আদালতে প্রতিবেশী সাইফুলের আর্থিক সহায়তায় এসেছি। হোটেলে খেতে যেহেতু অনেক টাকার প্রয়োজন সেজন্য বাসা থেকে রুটি বানিয়ে এনেছি। সেই সঙ্গে তিনি গ্রিন লাইনের ওই বাস চালকের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করেন। মামলার চার্জশিটের জন্য ১৫ দিন আগে যাত্রাবাড়ী থানার এসআইকে চিঠি দিয়েছি। তিন দিন আগে তিনি জানিয়েছেন চার্জশিট প্রস্তুত করেছেন। তবে এখনও আদালতে জমা দেননি।
রিটকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, কম হলেও গ্রিন লাইন রাসেল সরকারকে আজ ৫ লাখ, বাকী টাকা এক মাসের মধ্যে দিতে বাধ্য থাকবেন। তিনি বলেন, ক্ষতিপূরণ দেয়ার একটা রেওয়াজতো চালুু হলো। সেজন্য আমরা আদালতের এই রায়ে খুশি।
এর আগে গতকাল সকালে শুনানি শুরু হলে বিকাল ৩টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের কিছু টাকা গ্রিন লাইন পরিবহন মালিককে পরিশোধ করতে বলেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ৩টার মধ্যে রাসেল সরকারকে ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকার কিছু অংশ না দিলে আমাদের মতো আমরা ব্যবস্থা নেব। বিচারপতিরা গ্রিন লাইনের মালিক মো. আলাউদ্দিন ও তার আইনজীবীর উদ্দেশ্যে এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী বিকাল ৩টার মধ্যে তাকে ৫ লাখ টাকার চেক বুঝিয়ে দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার শামসুল হক রেজা এবং গ্রিন লাইন পরিবহনের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট মো. ওয়াজি উল্লাহ। সকালে শুনানির শুরুতে রিটকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, আমাদের সঙ্গে এখনও গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি। এ সময় গ্রিন লাইনের আইনজীবী মো. ওয়াজি উল্লাহ ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের জন্য আবারও সময় চান। তখন আদালত গ্রিন লাইনের মালিক ও আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকার পা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন, আপনারা কোনো খোঁজ নিলেন না। একটা টাকাও দিলেন না। রাসেলের একটা পা কেটে ফেলা হয়েছে। আরেকটি পা-ও যাওয়ার পথে। আপনাদের ব্যবসা তো ঠিকই চলছে। মানবতারও তো একটা ব্যাপার আছে।
এ সময় গ্রিন লাইনের আইনজীবী মো.ওয়াজি উল্লাহ আদালতকে বলেন, রাসেল সরকারের চাকরির ব্যবস্থা করবেন গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। আদালত বলেন, আপনারা আগে বিকাল ৩টার মধ্যে আদালত যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিয়েছেন সেটার কিছু অংশ পরিশোধ করে আসেন। তাহলে আমরা বুঝবো আপনারা আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়েছেন। অন্যথায় আমাদের মতো করে আমরা ব্যবস্থা নেব। এরপর আদালত বিষয়টি শুনানির জন্য বিকাল ৩টায় সময় নির্ধারণ করেন। গত ৪ঠা এপ্রিল পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রিন লাইন পরিবহনকে গতকাল ১০ই এপ্রিলের মধ্যে সময়সীমা বেধে দেয় একই বেঞ্চ। এর মধ্যে তা পরিশোধ না করলে ১১ই এপ্রিল থেকে টিকিট বিক্রি করতেও নিষেধ করা হয়।
গত বছরের ২৮শে এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রাসেল সরকারের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
No comments