পিট বুটএজ্যাজ: মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: হঠাৎ তারকা এক সমকামী মেয়র
২০২০
সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখ হঠাৎ করেই তারকায় পরিণত
হয়েছেন স্বল্প পরিচিত এক তরুণ মেয়র, যিনি একজন সমকামী।
আর কয়েক মাসের মধ্যেই তার পরিচিত হয়ে উঠবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়েসী ও প্রকাশ্যে প্রথম সমকামী প্রার্থী হিসেবে।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যানচেস্টারে তাকে দেখতে আসা একদল জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহ সত্যিই দারুণ কেটেছে।"
"আমাদের বার্তা যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে আমি সত্যিই উজ্জীবিত"।
একটি অবিশ্বাস্য উত্থান
এক মাস আগেই রাজনৈতিক অঙ্গন এমনকি ডেমোক্র্যাট পার্টির ভেতরে খুব একটা আলোচনায় ছিলেননা ইনডিয়ানার সাউথ বেন্ড শহরের ৩৭ বছর বয়সী মেয়র পিট বুটএজ্যাজ।
কিন্তু একটি টেলিভিশন ভাষণের পর সাধারণ মানুষ এমনকি বিশ্লেষকদের, বিশেষত যারা তরুণ মুখ খুঁজছিলেন, দৃষ্টিও পড়েছে তার ওপরই।
নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের অ্যান্ড্রু সালিভানের মতে, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যথার্থ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন মেয়র পিট।
তিনি বলেন, "ট্রাম্পের বয়স, টেম্পারমেন্টের, সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে স্টাইল, জেনারেশন, ব্যাকগ্রাউন্ড-সব মিলিয়ে বুটএজ্যাজ একেবারেই যথার্থ।"
পিটের টেলিভিশন ভাষণের প্রশংসা এসেছে ওবামা প্রচারণা দলের কিংবদন্তী ডেভিড এক্সেলরডের কাছ থেকেও।
মেয়র পিট ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্রমাগত এগুচ্ছেন এমনকি আইওয়াতে এক জরিপে তিনি উঠে এসেছেন তৃতীয় স্থানে।
তার ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা উঠে এসেছে নিউইয়র্ক টাইমসের নন ফিকশন বেস্ট সেলার তালিকায়। মেয়র পিট সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে:
•নামের উচ্চারণ -বুট এজ এজ (BOOT-edge-EDGE)
•ফরাসী, স্প্যানিশ, আরবি, মাল্টিজ, ইটালিয়ানসহ সাতটি ভাষা জানেন।
•বাবা-মা দু'জনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, এবং বাবা এসেছিলেন মাল্টা থেকে।
•২০১২ সাল থেকে সাউথ বেন্ড শহরের মেয়র।
•নৌ বাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
•৩৩ বছর বয়সে সমকামী হিসেবে প্রকাশ করেন ও ২০১৮ সালে বিয়ে করেন।
একজন অপ্রচলিত ধরণের প্রার্থী
২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে তিনি প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার তহবিল তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
তহবিল তোলার দিক থেকে তার অবস্থান বার্নি স্যান্ডারস, কামালা হ্যারিস ও বেটো ও'রোকের পরই।
মেয়র পিটের সভাগুলোতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। যে কারণে ম্যানচেস্টারেই শেষ পর্যন্ত সভাস্থল পরিবর্তন করতে হয়েছে।
পিট বলছেন, "প্রতিবারই আমরা সাক্ষাত ও শুভেচ্ছার জন্য জমায়েত হই কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়ে যায় একটি সমাবেশ।"
সম্ভবত আগামী রোববার তিনি স্বতঃস্ফূর্ত এক সমাবেশে তার প্রার্থিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
একজন সিটি মেয়রের অফিস থেকে সাধারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়না।
ইতিহাসে মাত্র দু'জন এমন মেয়রের হোয়াইট হাউজে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। আবার কোনো দায়িত্ব পালনরত মেয়রের এমন উদাহরণও নেই।
এতদিন মনে করা হতো একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হতে হলে ব্যাপক অর্থ, প্রচার আর সমৃদ্ধ রাজনৈতিক ইতিহাস থাকতে হবে।
যদিও তার কিছুটা পরিবর্তনও হয়েছে।
মেয়র পিট নটরডেম ইউনিভার্সিটির শহর সাউথ বেন্ডের মেয়র হন ২০১১ সালে ও পরে পুননির্বাচিত হন ২০১৫ সালে।
তিনি বড় হয়েছেন এই শহরেই। বাবা-মা দুজনেই নটরডেমের প্রফেসর। সত্তরের দশকে মালটা থেকে আসা বাবা প্রয়াত হয়েছেন আগেই। ঐতিহাসিক প্রার্থিতা
২০১৫ সালের পুননির্বাচনের আগেই পত্রিকায় কলাম লিখে মেয়র পিট জানিয়েছিলেন যে তিনি একজন সমকামী।
যদিও এমন ঘোষণা দেয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিলোনা, বলছিলেন মেয়র পিট।
এখন তার আইডিয়া ও প্রস্তাবনাগুলোকে অনেকেই বিবেচনা করছেন নতুন প্রজন্মের হিসেবে, যা উজ্জীবিত করছে অনেককেই।
সূত্রঃ বিবিসি।
আর কয়েক মাসের মধ্যেই তার পরিচিত হয়ে উঠবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়েসী ও প্রকাশ্যে প্রথম সমকামী প্রার্থী হিসেবে।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের ম্যানচেস্টারে তাকে দেখতে আসা একদল জনতার উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি বলেন, "গত কয়েক সপ্তাহ সত্যিই দারুণ কেটেছে।"
"আমাদের বার্তা যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে আমি সত্যিই উজ্জীবিত"।
একটি অবিশ্বাস্য উত্থান
এক মাস আগেই রাজনৈতিক অঙ্গন এমনকি ডেমোক্র্যাট পার্টির ভেতরে খুব একটা আলোচনায় ছিলেননা ইনডিয়ানার সাউথ বেন্ড শহরের ৩৭ বছর বয়সী মেয়র পিট বুটএজ্যাজ।
কিন্তু একটি টেলিভিশন ভাষণের পর সাধারণ মানুষ এমনকি বিশ্লেষকদের, বিশেষত যারা তরুণ মুখ খুঁজছিলেন, দৃষ্টিও পড়েছে তার ওপরই।
নিউইয়র্ক ম্যাগাজিনের অ্যান্ড্রু সালিভানের মতে, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যথার্থ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন মেয়র পিট।
তিনি বলেন, "ট্রাম্পের বয়স, টেম্পারমেন্টের, সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে স্টাইল, জেনারেশন, ব্যাকগ্রাউন্ড-সব মিলিয়ে বুটএজ্যাজ একেবারেই যথার্থ।"
পিটের টেলিভিশন ভাষণের প্রশংসা এসেছে ওবামা প্রচারণা দলের কিংবদন্তী ডেভিড এক্সেলরডের কাছ থেকেও।
মেয়র পিট ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ক্রমাগত এগুচ্ছেন এমনকি আইওয়াতে এক জরিপে তিনি উঠে এসেছেন তৃতীয় স্থানে।
তার ব্যক্তিগত স্মৃতিকথা উঠে এসেছে নিউইয়র্ক টাইমসের নন ফিকশন বেস্ট সেলার তালিকায়। মেয়র পিট সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে:
•নামের উচ্চারণ -বুট এজ এজ (BOOT-edge-EDGE)
•ফরাসী, স্প্যানিশ, আরবি, মাল্টিজ, ইটালিয়ানসহ সাতটি ভাষা জানেন।
•বাবা-মা দু'জনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, এবং বাবা এসেছিলেন মাল্টা থেকে।
•২০১২ সাল থেকে সাউথ বেন্ড শহরের মেয়র।
•নৌ বাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও আফগান যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
•৩৩ বছর বয়সে সমকামী হিসেবে প্রকাশ করেন ও ২০১৮ সালে বিয়ে করেন।
একজন অপ্রচলিত ধরণের প্রার্থী
২০১৯ সালের প্রথম তিন মাসে তিনি প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার তহবিল তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
তহবিল তোলার দিক থেকে তার অবস্থান বার্নি স্যান্ডারস, কামালা হ্যারিস ও বেটো ও'রোকের পরই।
মেয়র পিটের সভাগুলোতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। যে কারণে ম্যানচেস্টারেই শেষ পর্যন্ত সভাস্থল পরিবর্তন করতে হয়েছে।
পিট বলছেন, "প্রতিবারই আমরা সাক্ষাত ও শুভেচ্ছার জন্য জমায়েত হই কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি হয়ে যায় একটি সমাবেশ।"
সম্ভবত আগামী রোববার তিনি স্বতঃস্ফূর্ত এক সমাবেশে তার প্রার্থিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন।
একজন সিটি মেয়রের অফিস থেকে সাধারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়না।
ইতিহাসে মাত্র দু'জন এমন মেয়রের হোয়াইট হাউজে যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে। আবার কোনো দায়িত্ব পালনরত মেয়রের এমন উদাহরণও নেই।
এতদিন মনে করা হতো একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হতে হলে ব্যাপক অর্থ, প্রচার আর সমৃদ্ধ রাজনৈতিক ইতিহাস থাকতে হবে।
যদিও তার কিছুটা পরিবর্তনও হয়েছে।
মেয়র পিট নটরডেম ইউনিভার্সিটির শহর সাউথ বেন্ডের মেয়র হন ২০১১ সালে ও পরে পুননির্বাচিত হন ২০১৫ সালে।
তিনি বড় হয়েছেন এই শহরেই। বাবা-মা দুজনেই নটরডেমের প্রফেসর। সত্তরের দশকে মালটা থেকে আসা বাবা প্রয়াত হয়েছেন আগেই। ঐতিহাসিক প্রার্থিতা
২০১৫ সালের পুননির্বাচনের আগেই পত্রিকায় কলাম লিখে মেয়র পিট জানিয়েছিলেন যে তিনি একজন সমকামী।
যদিও এমন ঘোষণা দেয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিলোনা, বলছিলেন মেয়র পিট।
এখন তার আইডিয়া ও প্রস্তাবনাগুলোকে অনেকেই বিবেচনা করছেন নতুন প্রজন্মের হিসেবে, যা উজ্জীবিত করছে অনেককেই।
সূত্রঃ বিবিসি।
No comments