টার্গেটে বিশ্বের সব থেকে বড় বাংলা ব্লগ
গত
সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে যে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে তার অংশ
হিসেবে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮০০০ ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু
এর মধ্যে রয়েছে বাংলা ভাষার সব থেকে বড় ব্লগিং সাইট সামহোয়্যারইন ব্লগও।
এছাড়া আছে গুগল বুকস, বিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ টিকটক ও বিগো।
একইসঙ্গে বেশ কয়েকজন নামকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীকে পুলিশ
স্টেশনে ডেকে নিয়ে তাদের তৈরি ‘অমার্জিত’ কনটেন্ট মুছে ফেলতে বলা হয়েছে। এ
বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গ্লোবাল ভয়েজ।
১৮ই ফেব্রুয়ারি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার ফেসবুক পাতায় লেখেন, আমি ১৫,৬০৬টি পর্নোসাইট ও ২২৩৫টি জুয়ার সাইট খুঁজে পেয়েছি। এরমধ্যে রয়েছে টিকটক ও বিগো। সবগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে অনেকেই এখন ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব সাইটে ঢুকতে পারছেন।
বাংলাদেশে অনলাইন কনটেন্ট নিষিদ্ধ করা নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমও পর্নোসাইট বন্ধের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেসময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রায় ৫ শতাধিক পর্নোসাইট বন্ধ করেছিল। তবে পরে কিছু সাইট এইচটিটিপিএস এ আপগ্রেড করলে তা পুনরায় চালু হয় এবং তা বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে সামহোয়্যারইন ব্লগের বিষয়ে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এসব ওয়েবসাইটের বিষয়ে রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন ওয়েবসাইট যাচাইয়ে কিছু ভুল হয়তো হতে পারে তবে তা ঠিক করে দেয়া হবে।
সামহোয়্যারইন ব্লগ (বাঁধ ভাঙার আওয়াজ) বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম ব্লগিং সাইট। এটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এটিই বাঙালি ব্লগারদের জন্য বিশ্বের সর্ববৃহত সাইট। প্রতিদিন এখানে গড়ে ৬০,০০০ ব্লগার সক্রিয় থাকেন। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ব্লগটির পাঠকরা জানান, তারা আর এতে প্রবেশ করতে পারছে না। এরপর ব্লগ থেকে জানানো হয় যে তাদের সিস্টেমটি ঠিকভাবেই কাজ করছে এবং কর্তৃপক্ষ থেকে তারা এ বিষয়ে কোনো নোটিস পায়নি। কিন্তু এরপর আনুষ্ঠানিক নিষিদ্ধ সাইটের তালিকায় সামহোয়্যারইন ব্লগের নাম পাওয়া যায়। গ্লোবাল ভয়েসকে ব্লগটির একজন প্রতিষ্ঠাতা জানান, এই ব্লগে পর্নোগ্রাফি কিংবা আপত্তিকর কোনো কনটেন্ট দেয়া হলে কর্তৃপক্ষ দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকজন সেক্যুলার ব্লগার ও অধিকারকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সাল আরেফিন দিপন, শফিউল ইসলাম, ওয়াশিকু রহমান বাবু, রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাস। এর আগেও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্লগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
১৭ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ সানাই মাহবুব নামের একজন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়। পুলিশ তাকে তার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক পাতা থেকে ‘উত্তেজক’ সকল ছবি মুছে ফেলতে বলে। এ বিষয়ে ব্লগার কুং থাং ফেসবুকে লিখেছেন, আমি বুঝতে পারছি না সানাই কি দোষ করেছে। স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক কি তার মতো করে থাকতে পারবে না? কেউ চাইলেই ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করে ফেসবুকে তা মানুষকে দেখাতে পারে। আমি যদি এটা পছন্দ না করি আমি কখনো তার পেজে যাব না। এর দুদিনের মাথায় জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরকেও তার একটি মিউজিক ভিডিও নিয়ে পুলিশ একই আহ্বান জানায়। সালমান মুক্তাদির তার বিতর্কিত ওই ভিডিওটি প্রকাশ বন্ধ করে দেয় এবং ফেসবুকে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
১৮ই ফেব্রুয়ারি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার ফেসবুক পাতায় লেখেন, আমি ১৫,৬০৬টি পর্নোসাইট ও ২২৩৫টি জুয়ার সাইট খুঁজে পেয়েছি। এরমধ্যে রয়েছে টিকটক ও বিগো। সবগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে অনেকেই এখন ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব সাইটে ঢুকতে পারছেন।
বাংলাদেশে অনলাইন কনটেন্ট নিষিদ্ধ করা নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমও পর্নোসাইট বন্ধের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেসময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রায় ৫ শতাধিক পর্নোসাইট বন্ধ করেছিল। তবে পরে কিছু সাইট এইচটিটিপিএস এ আপগ্রেড করলে তা পুনরায় চালু হয় এবং তা বন্ধ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে সামহোয়্যারইন ব্লগের বিষয়ে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এসব ওয়েবসাইটের বিষয়ে রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন ওয়েবসাইট যাচাইয়ে কিছু ভুল হয়তো হতে পারে তবে তা ঠিক করে দেয়া হবে।
সামহোয়্যারইন ব্লগ (বাঁধ ভাঙার আওয়াজ) বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম ব্লগিং সাইট। এটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এটিই বাঙালি ব্লগারদের জন্য বিশ্বের সর্ববৃহত সাইট। প্রতিদিন এখানে গড়ে ৬০,০০০ ব্লগার সক্রিয় থাকেন। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ব্লগটির পাঠকরা জানান, তারা আর এতে প্রবেশ করতে পারছে না। এরপর ব্লগ থেকে জানানো হয় যে তাদের সিস্টেমটি ঠিকভাবেই কাজ করছে এবং কর্তৃপক্ষ থেকে তারা এ বিষয়ে কোনো নোটিস পায়নি। কিন্তু এরপর আনুষ্ঠানিক নিষিদ্ধ সাইটের তালিকায় সামহোয়্যারইন ব্লগের নাম পাওয়া যায়। গ্লোবাল ভয়েসকে ব্লগটির একজন প্রতিষ্ঠাতা জানান, এই ব্লগে পর্নোগ্রাফি কিংবা আপত্তিকর কোনো কনটেন্ট দেয়া হলে কর্তৃপক্ষ দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
বাংলাদেশে কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকজন সেক্যুলার ব্লগার ও অধিকারকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ফয়সাল আরেফিন দিপন, শফিউল ইসলাম, ওয়াশিকু রহমান বাবু, রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায় ও অনন্ত বিজয় দাস। এর আগেও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ব্লগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
১৭ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ সানাই মাহবুব নামের একজন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয়। পুলিশ তাকে তার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক পাতা থেকে ‘উত্তেজক’ সকল ছবি মুছে ফেলতে বলে। এ বিষয়ে ব্লগার কুং থাং ফেসবুকে লিখেছেন, আমি বুঝতে পারছি না সানাই কি দোষ করেছে। স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক কি তার মতো করে থাকতে পারবে না? কেউ চাইলেই ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করে ফেসবুকে তা মানুষকে দেখাতে পারে। আমি যদি এটা পছন্দ না করি আমি কখনো তার পেজে যাব না। এর দুদিনের মাথায় জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মুক্তাদিরকেও তার একটি মিউজিক ভিডিও নিয়ে পুলিশ একই আহ্বান জানায়। সালমান মুক্তাদির তার বিতর্কিত ওই ভিডিওটি প্রকাশ বন্ধ করে দেয় এবং ফেসবুকে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
No comments