গল্প- শূন্য লকার by রেজাউর রহমান

তসলীমা বেগম ও তাঁর একমাত্র মেয়ে অন্তরার এটা একটা নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাতের খাবারের পর তাঁরা দুজনে কাপভর্তি আইসক্রিম খান। রসিয়ে রসিয়ে। আইসক্রিমের কাপটা বিশেষ যত্ন সহকারে সাজায় অন্তরা। মা প্রতি রাতে আয়েশি হয়ে প্রায় একই বয়ান ছাড়েন।

‘পাগলী মেয়ে, আমার বয়স হয়েছে না? যেহেতু মায়ের ছিল...দে, খেয়ে নিই, ডায়াবেটিসটা ধরে ফেললে তো...।’
বাটি হাতে মা-মেয়ে টিভির সামনে বসেন। হিন্দি সিরিয়াল দেখেন তাঁরা।
অন্তরার বাবা আবদুল্লা বাকের অবসরপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার। অবাস্তব—টেনে নেওয়া সিরিয়ালে, কোনো দিনই শেষ হবে না—এমনতর ঘটনাপ্রবাহে তাঁর আগ্রহ নেই। তিনি হিসাবি মানুষ। রাতের ১০টার খবর শোনাতেই তাঁর শেষ। এরপর নিয়মমাফিক কয়েকটা ওষুধ-বড়ি খেয়ে ঘুমোতে যান। হাইপ্রেসার ও কফ-কাশির ব্যারাম আছে। রাতে ঘুমোতে না পারলে কষ্ট বাড়ে। সকালে তিনি তাঁর বাড়িসংলগ্ন গুলশান লেকে নিয়মিত হাঁটেন।
টিভি সংবাদের শেষের দিকে সাধারণত খুন, ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতির খবরাখবর থাকে। অন্তরার বাবা খবরাখবরের এই পর্ব শুরুর আগেই উঠে পড়েন। আজ তা পেরে ওঠেননি। একটা দুর্ধর্ষ ডাকাতি ও স্কুলপড়ুয়া ছাত্র হত্যার ঘটনায় আটকে যান তিনি। প্রতিবেদনটা দেখতে দেখতে উঠে পড়েন। চিন্তিত হয়ে নিজের শোয়ার ঘরের দরজা ভেজিয়ে দিয়ে আবার বেরিয়ে আসেন। অন্তরার মাকে ডাকেন ইশারায়।
‘শোনো, আমাদের ঘরে সোনাদানা তো কম নেই। আমি ভাবছিলাম কী, দেশে যে হারে চুরি-ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ড চলেছে, তাতে এসব ঘরে রাখা ঠিক নয়; বরং এসব ব্যাংক-লকারে রেখে দাও। কালই যাও।’ অন্তরার মাকেও চিন্তিত দেখায়।
‘হ্যাঁ,...কম করে হলেও আট-দশ সেট গয়না তো হবেই। মেয়ের জন্যই তো জোগাড় করেছি। এ ছাড়া আমারও তো কম ছিল না। মা-নানির কাছ থেকে যে নবরত্ন সেটটা পেয়েছিলাম, তা তো আজ পয়সা দিয়েও পাওয়া যাবে না। কাজেই, যা ভালো বোঝো...।’
বাবা অন্তরাকে ডাকেন।
‘শোনো অন্তরা, কালই ব্যাংকে যাবে। মাকে নিয়ে। তোমাদের গয়নাপাতি ব্যাংক-লকারে রেখে দাও। দেশে আইনশৃঙ্খলার যা অবস্থা...। তোমাদের দুজনের নামে করবে। অ্যানি ওয়ান ক্যান অপারেট। বলা তো যায় না! সাবধান হতে দোষ কী?’
অন্তরা সম্মতি জানায়।
‘তা-ই ভালো, বাবা।’
‘আর মনে রেখো, আমাদের যা আছে, সব তোমার। তোমার বড় ভাই জাকের জানিয়ে দিয়েছে, তার আমাদের লাগবে না। সুজানাকে সে ছাড়তে পারবে না। আরও জানিয়েছে, সে দেশেও ফিরবে না কোনো দিন।’ তারা মালয়েশিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা। দুজনেই ভালো চাকরি করে।
অন্তরার বাবা গলা পরিষ্কার করে আবার বলেন, ‘জাকেরকে আমি ভুলে গেছি। কিন্তু তোমার মা পারেনি।’ অন্তরা দেখে, তার মা চোখে আঁচল চেপে বুকভরা কান্না আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।
অন্তরা সিরিয়ালের ফাঁকে ফাঁকে মায়ের কাছে একথা-সেকথা বলতে চায়। এর মধ্যে সে সুযোগ বুঝে দোলনের কথাটা তুলতে ভোলে না। তখন মা যেন না শুনলেই নয়, এমনতর কিঞ্চিৎ কৌতূহল দেখিয়ে ডুবে যান সিরিয়ালে। ব্যাপারটা আজকাল অন্তরাকে এক অস্বস্তিতে ফেলে রেখেছে।
দোলনকে সে একদিন বাসায় নিয়ে এসেছিল। পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল মায়ের সঙ্গে। পরিচয়ের শুরুতে মা যথেষ্ট আগ্রহ নিয়ে এগিয়েছিলেন। তাঁদের একান্ত জানাশোনার সুযোগ দিয়ে অন্তরা চা-নাশতার আয়োজনে কিচেনে ব্যস্ত থাকে। দোলন তাঁদের বাড়িতে ঘণ্টা দুই সময় কাটিয়ে চলে গেলে অন্তরা খুব কৌতূহল নিয়ে মায়ের গা ঘেঁষে অন্তরঙ্গ হয়ে বসেছিল।
অন্তরা সেদিন লক্ষ করেছিল, মা সংযত-শান্ত। শুরুতে মায়ের এই আচরণকে স্বাভাবিক মানানসই বলেই ধরে নিয়েছিল সে। আদুরে মেয়ের ছেলেবন্ধু সম্পর্কে অতি উৎসাহী হওয়া কিছুটা সেকেলে মায়েদের জন্য বোধ করি তেমন শোভনও নয়।
কিন্তু সময় গড়িয়ে যেতে থাকলে অন্তরার মায়ের এই আচরণের ব্যাপারে তার সন্দেহ দেখা দিতে থাকে। তার মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কি মা দোলনের কোনো দোষত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন?
দোলনের জন্ম বগুড়ায়। নানার বাড়িতে। বাবা মোবারক হোসেন তখন ঢাকার সরকারি এজিবি অফিসের অডিট ও অ্যাকাউন্টস সেকশনে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি পরিবারের সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। বছর কয়েক ভাড়াবাড়িতে ছিলেন। পরে তল্লাবাগে তিন কাঠা জমি কিনে টিনশেড বাড়ি করে সেখানে উঠে যান। পরে নিজের পয়সায় সেখানে চারতলা পাকা দালান উঠিয়েছেন। অফিসের চাকরির সাধারণ নিয়মে বাড়তি টাকা আসে পকেটে। এটাকে তাঁরা অবৈধ আয় বলতে নারাজ। কারণ, তাঁরা খেটে তবে না আয় করেন।
দোলনের বড় বোনের দুই সন্তান। জামাই ব্যবসা-বাণিজ্য করার চেষ্টা করে সুবিধা করতে পারেনি। সুতরাং, শ্বশুরের বাড়িই তার আশ্রয়। দোলনের মা থাকেন দেশের বাড়ি। তিনি সেখানে স্বামীর একের পর এক কেনা বাড়িঘর, জমি-জিরাত দেখাশোনা করেন। তবে তিনি আজকাল ছেলেমেয়ের সঙ্গে থাকতে চান। বয়স বাড়ছে, কিন্তু স্বামীর এককাট্টা যুক্তি ও ইচ্ছাশক্তির সঙ্গে পেরে ওঠেননি। মেয়ে মায়ের কষ্ট বুঝলেও ছেলে দোলন এ ব্যাপারে উদাসীন।
দোলনের সঙ্গে অন্তরার পরিচয় ইউনিভার্সিটিতে। এক বিভাগীয় অনুষ্ঠানে। দুজনই একই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র। দোলন অন্তরার এক ক্লাস ওপরে পড়ে। তাদের সম্পর্ক সাধারণ পরিচয় থেকে গাঢ় বন্ধুত্বের রূপ নেয়। আজকাল তা আরও এগিয়েছে। তারা একে অপরকে ভালোবাসে। সময় সময় দোলন অন্তরাকে বিয়ে ও ঘর বাঁধার কথাও বলে।
এ ধরনের কথায় যেকোনো বাড়ন্ত মেয়ের মতো অন্তরা যে আনন্দ পায় না, তা নয়। তবে সাধারণ হিসাবে মেয়েরা যেসব প্রসঙ্গ উত্থাপন করে থাকে, তার বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হয় না।
‘আমাদের লেখাপড়ার ব্যাপারটা ভাবতে হবে না?’
‘লেখাপড়ার কী অসুবিধা হলো? সেটা তো চলছে। চলবে...।’
‘তা শেষ করে নিলে ভালো হয় না?’
‘বিয়ে করে কি লোকজন পড়ে না? প্রয়োজন হলে আমরা বিদেশে গিয়ে পড়ব। আমার এক বন্ধুও তো তা-ই করছে। সিঙ্গাপুরে দিব্যি আছে তারা। তোয়াব পড়ছে ফাইনাল ইয়ারে। স্ত্রী হুমায়রা চাকরি করছে।’
‘বিদেশে লেখাপড়াটা ব্যয়বহুল নয়?’
‘শুরুতে হতে পারে। তবে সেই সাপোর্ট তো আমাদের আছে। তোমার-আমার মা-বাবার সেই সামর্থ্য আছে বলে আমার ধারণা।’
অন্তরা চিন্তিত হয়। তার মুখের দিকে তাকিয়ে দোলন তার ভালোবাসার উদিগরণ তোলে।
‘প্রেমে পড়া একটা মেয়ে আর একটা ছেলের মধ্যে তফাত কী জানো?’
‘কী?’
‘ছেলে একবার সেট হয়ে গেলে তার আর তর সয় না।’
‘মেয়েরাও তো তা-ই। তবে একটা প্ল্যান-প্রোগ্রামের ব্যাপার আছে না?’
‘হ্যাঁ আছে। তা করা যাবে।’
রাতে খাওয়ার পর অন্তরা যথারীতি আইসক্রিম কাটতে কাটতে ভেবে রাখে, মায়ের সঙ্গে আজ সে সরাসরি তাদের বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলবে।
অন্তরার সরাসরি প্রস্তাবে তার মা প্রথমটায় একটু বেকায়দায় পড়ে গেলেও সংযত থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্তরা নাছোড়বান্দা।
‘মা, আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে আমরা একটু এগোতে চাচ্ছি। তুমি কি বাবাকে একটু বলবে?’
‘তোমার বাবাকে এখনই বলা কি ঠিক হবে? তোমরা এখনো গ্র্যাজুয়েশন করোনি।’
‘মা, ঘর-সংসার করেও তো আজকাল ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে।’
‘দেখো, একেবারে বিয়ের প্রস্তাবে যেতে হলে একটু ভেবেচিন্তে বলতে হয় না?’
‘তা ভাবো।’
‘বিয়ে করে তোমরা উঠবে কোথায়?’
‘ওদের বাড়িতে। ছেলের বোন আছে। মা থাকেন গ্রামে।’
‘তাতে কী হয়েছে?’
‘ছেলের কোনো আয় নেই।’
‘আয় করবে।’
‘তার জন্য তো পাসটাস দিতে হবে। একটু অপেক্ষা করলে হয় না?’
‘না হয় তোমার বাসায়ই থাকলাম। আমাদের ইয়া বড় বাড়ি তো একেবারে ফাঁকা।’
‘তা হতে পারে। তবে ছেলে কি ঘরজামাই হবে? আমার মনে হয়, তোমরা আরেকটু সময় নাও। ঠান্ডা মাথায় পুরো ব্যাপারটা একটু ভেবে দেখো। জীবনটা তো তোমাদের...।’
মা আইসক্রিম খাওয়ায় মনোযোগ দেন। টিভিতে গতানুগতিক সিরিয়ালের চমক লাগা ঘটনাপ্রবাহ চলছে। একের পর এক।
পুরো পরিস্থিতিটা অন্তরার জন্য কেমনতর অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। টিভি দেখায় মন বসে না তার।
সপ্তাহ খানেক পরে অন্তরা স্বাভাবিক নিয়মে ইউনিভার্সিটি গিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। বিকেল চারটা-পাঁচটা পর্যন্ত কয়েকবার মায়ের সঙ্গে কথা হয় তার। সে জানায়, আজ বিভাগে একটা সেমিনার চলছে। ফিরতে দেরি হবে। কিন্তু রাত ১০টা বেজে গেলে মা চিন্তিত হন। অন্তরাকে তিনি ফোন করেন। অন্তরার মোবাইল বন্ধ। ব্যাপারটা তিনি তার বাবাকে জানান। তিনি উদ্বিগ্ন না হয়ে স্বাভাবিক থাকেন।
‘ইউভার্সিটিতে মাঝেমধ্যে এমন তো হয়ই। অনুষ্ঠান চলছে। একটু দেখো...এসে যাবে।’
রাত ১১টা হয়ে ১২টা বেজে গেলে অন্তরার বাবার টনক নড়ে। তিনি হন্তদন্ত হয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু সাবেক এডিশনাল আইজি সোলেমান সাহেবকে ব্যাপারটা জানান।
তিনি তাঁকে অভয় দেন।
‘আজকালকার ইয়াং ছেলেপেলে আড্ডায় বসে গেলে অনেক সময় তাদের খেয়াল থাকে না। যাক, আমি দেখছি। তুমি ভেবো না। এসে যাবে।’

রাত দুইটার দিকে অন্তরার বাবার ছোট ভাই সিনিয়র ব্যাংকার আবদুল্লা আশেকের ফোন আসে।
‘দাদা, তুমি ঘুমিয়েছ?’
‘না।’
‘আইজি সোলেমান সাহেব ফোন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, অন্তরাকে পাওয়া গেছে...চাটগাঁয়ে।’
‘সে ভালো তো?’
‘হ্যাঁ।’
‘মেয়েটা পাগল নাকি? একটা খবর না দিয়ে...চিটাগং, কী আশ্চর্য!’
‘ভাই, আমি আসছি...কথা হবে।’ টেলিফোন রেখে দেন আশেক।
আশেক আসেন। ভাই ও ভাবি বিছানায় বসেছিলেন। তিনি তাঁর ভাইকে ড্রয়িংরুমে নিয়ে যান। ভাবিও উঠতে যাচ্ছিলেন। আশেক তাঁকে বারণ করেন।
আশেক বেশ কিছুক্ষণ ভাইয়ের পাশে চুপচাপ বসে থাকেন। একসময় বলেন, ‘দাদা, খবর তো ভালো না!’
অন্তরার বাবা লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ান।
‘ভালো না মানে?’
‘তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। চিটাগংয়ের এক হোটেলে।’
তিনি বসে পড়েন। কপাল চাপড়ে বলেন, ‘কী বলছ তুমি!’
আশেক ভাইকে জাপটে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। ততক্ষণে ভাবিও এগিয়ে আসেন। ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পেরে তিনি মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
একসময় পুলিশ কর্মকর্তা সোলেমান সাহেবও আসেন।
তিনি আশেককে আরও তথ্য দেন। ‘অন্তরাকে মেরে হোটেল রুমে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে ঘাতক পালিয়ে গেছে। হয়তো বা বিদেশগামী কোনো প্লেন ধরবে সে। অন্তরার ভ্যানিটি ব্যাগে সিঙ্গাপুরের ভিসাসহ পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। এয়ারপোর্টে খবর দিয়েছি। সে ধরা পড়বে।’

দুই দিন পর অন্তরার ভাই-ভাবি জাকের-সুজানা আসে মালয়েশিয়া থেকে। সুজানা মাকে পায়ে ধরে সালাম করে। মা তাকে কোলে তুলে হাউমাউ করে কেঁদেকেটে ভেঙে পড়েন।
‘তোমরা এলে মা,...অন্তরা তো চলে গেল...।’
সেও মাকে জড়িয়ে ধরে চোখের জল ফেলে। জাকের প্রায় বোবা হয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে।

জাকের-সুজানা মাত্র সাত দিনের ছুটি নিয়ে এসেছে। তাদের যাওয়ার সময় হয়ে এল প্রায়। তাদের যাওয়ার আগের দিন রাতে অন্তরার মা-বাবার কারও চোখে ঘুম নেই।
বাবা বিড়বিড় করে বলতে থাকেন, ‘আমি ভুল করেছি...কী লক্ষ্মী মেয়ে সুজানা...যদি তারা থেকে যেত। আমরা কী নিয়ে বাঁচব, তসলীমা?’
মা বলেন, ‘কালই ব্যাংক-লকার থেকে সব গয়না তুলে আমি সুজানাকে দিয়ে দেব। গয়নার আর কী প্রয়োজন?’ অন্তরার বাবা রুমালে চোখ মোছেন।
মা সুজানাকে নিয়ে ব্যাংকে যান। ব্যাংকের ম্যানেজার সুলীনা আকন্দ তাঁদের পরিচিত। তসলীমা তাঁকে লকার থেকে গয়না তোলার কাগজপত্র দেন।
সুলীনা ফিরে আসেন।
‘আপনার লকারে যে এখন কিছু নেই। আপনার মেয়ে অন্তরা তো সব গয়না তুলে নিয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে।’
‘কী বলে!’ এটুকু বলতে পেরে মা ঢলে পড়ে যেতে থাকলে সুজানা তাঁকে জাপটে ধরে ফেলে।

No comments

Powered by Blogger.