প্রত্যাঘাত পরিহারে লিবিয়ার সব পক্ষের প্রতি আহ্বান
লিবিয়ায় সরকার ও বিদ্রোহীদের লড়াইয়ে প্রত্যাঘাত পরিহার করতে সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ), আরব লিগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথেরিন অ্যাস্টন গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
ক্যাথেরিন অ্যাস্টন বলেন, চলতি সপ্তাহে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলির দখল নেওয়ার পর লিবিয়া এখন একটি ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালীন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ সময় সবাইকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
অ্যাস্টন আরও বলেন, ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং অনুগত সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে গাদ্দাফির উচিত আরও কোনো রক্তপাত পরিহার করা এবং বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করা।’
তথাকথিত কায়রো গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক শেষে অ্যাস্টন বলেন, ‘সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাতে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আজ আমরা সবাই একমত হয়েছি। সবার উচিত প্রতিঘাত, প্রতিহিংসায় না যাওয়া।’ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
ত্রিপোলিতে গত কয়েক দিনের লড়াইয়ের মধ্যে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী এবং বিদ্রোহী পক্ষ পরস্পরকে মারধর, হত্যা ও সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে।
ইইউর পররাষ্ট্র-প্রধান অ্যাস্টন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবাইকে লিবিয়ার নেতৃত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। প্রতিটি কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য হতে হবে জাতীয় ঐক্য জোরদার করা।’
অ্যাস্টন জানান, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) চেয়ারম্যান মুস্তাফা আবদুল জলিলকে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে রাজনৈতিক শক্তি জোরদার করাই হবে অন্তর্বর্তী পরিষদের প্রধান কাজ। কায়রো গ্রুপের বৈঠকে ‘নতুন লিবিয়া’ ও এনটিসিকে সহযোগিতার বিষয়েই আলোচনা হয় বলে তিনি জানান।
অ্যাস্টন বলেন, এখন প্রধান কাজ হবে সাধারণ জনগণের জন্য ওষুধ, পানি ও জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যকীয় সেবাগুলো নিশ্চিত করা। যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য দেশে জব্দ থাকা লিবিয়ার সম্পদ এখন ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
অ্যাস্টন বলেন, মুক্ত ও সংহত লিবিয়া গঠনের কাজ শুরু করার জন্য এখন সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, ‘লিবিয়াকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আমরা জাতিসংঘের নেতৃত্বে কাজ করে যেতে রাজি হয়েছি।’
মালয়েশিয়ার স্বীকৃতি: লিবিয়ার বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদকে (এনটিসি) স্বীকৃতি দিয়েছে মালয়েশিয়া। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, লিবিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠন কাজে এনটিসি সফলভাবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
ক্যাথেরিন অ্যাস্টন বলেন, চলতি সপ্তাহে বিদ্রোহীরা ত্রিপোলির দখল নেওয়ার পর লিবিয়া এখন একটি ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালীন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ সময় সবাইকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
অ্যাস্টন আরও বলেন, ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে এবং অনুগত সেনাবাহিনীকে অস্ত্র ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে গাদ্দাফির উচিত আরও কোনো রক্তপাত পরিহার করা এবং বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা করা।’
তথাকথিত কায়রো গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক শেষে অ্যাস্টন বলেন, ‘সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানাতে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আজ আমরা সবাই একমত হয়েছি। সবার উচিত প্রতিঘাত, প্রতিহিংসায় না যাওয়া।’ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
ত্রিপোলিতে গত কয়েক দিনের লড়াইয়ের মধ্যে গাদ্দাফির অনুগত বাহিনী এবং বিদ্রোহী পক্ষ পরস্পরকে মারধর, হত্যা ও সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে।
ইইউর পররাষ্ট্র-প্রধান অ্যাস্টন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবাইকে লিবিয়ার নেতৃত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। প্রতিটি কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য হতে হবে জাতীয় ঐক্য জোরদার করা।’
অ্যাস্টন জানান, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদের (এনটিসি) চেয়ারম্যান মুস্তাফা আবদুল জলিলকে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে রাজনৈতিক শক্তি জোরদার করাই হবে অন্তর্বর্তী পরিষদের প্রধান কাজ। কায়রো গ্রুপের বৈঠকে ‘নতুন লিবিয়া’ ও এনটিসিকে সহযোগিতার বিষয়েই আলোচনা হয় বলে তিনি জানান।
অ্যাস্টন বলেন, এখন প্রধান কাজ হবে সাধারণ জনগণের জন্য ওষুধ, পানি ও জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যকীয় সেবাগুলো নিশ্চিত করা। যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য দেশে জব্দ থাকা লিবিয়ার সম্পদ এখন ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
অ্যাস্টন বলেন, মুক্ত ও সংহত লিবিয়া গঠনের কাজ শুরু করার জন্য এখন সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি আরও বলেন, ‘লিবিয়াকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আমরা জাতিসংঘের নেতৃত্বে কাজ করে যেতে রাজি হয়েছি।’
মালয়েশিয়ার স্বীকৃতি: লিবিয়ার বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদকে (এনটিসি) স্বীকৃতি দিয়েছে মালয়েশিয়া। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, লিবিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠা ও পুনর্গঠন কাজে এনটিসি সফলভাবে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।
No comments