লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেননি ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। আর সে দেশের বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতার বিষয়টি নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে রাশিয়া বলেছে, বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেওয়া ঠিক হবে না। এদিকে পশ্চিমা বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা বন্ধ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাদ্দাফি। তাঁর বাহিনীর বোমা হামলার মুখে গতকাল বুধবার রাস লানুফ শহর থেকে হটে গেছে বিদ্রোহীরা।
লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার এক দিন পর গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ওবামা এবিসি, এনবিসি ও সিবিএস টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে ওবামা লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। ওবামা বলেন, গাদ্দাফি ও তাঁর লোকজনের এখন বুঝতে বাকি নেই যে তাঁদের দিন শেষ হয়ে আসছে। গাদ্দাফির সহযোগীরা বিভিন্নভাবে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজছে। তবে গাদ্দাফির ক্ষমতা ত্যাগের বিষয় নিয়ে এখনই কোনো সমঝোতার সময় হয়ে ওঠেনি। গাদ্দাফিকেই প্রথম পরিষ্কার করতে হবে, দেশের জনগণ তাঁকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ক্ষমতা ত্যাগের সিদ্ধান্তের পরই তাঁর প্রস্থানকৌশল নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
ওবামা বলেন, লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করতে চাইলে এখনই করা যায়। এর আগে বিকল্প উপায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গতকাল বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের অধিকার কোনো দেশের নেই।
লাভরভ বলেন, ‘ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ফ্রান্স প্রস্তুত। কিন্তু এর পরই ন্যাটোর মহাসচিব আন্দ্রে ফগ রাসমুসেন জানিয়েছেন, লিবিয়ার সাধারণ জনগণকে রক্ষার জন্যই সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে, তাঁদের অস্ত্র সরবরাহের জন্য নয়। রাশিয়া ন্যাটো মহাসচিবের সঙ্গে একমত।’
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাইন জুপ্পে গত মঙ্গলবার লন্ডনে লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের সময় জানিয়েছিলেন, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত তাঁর দেশ।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ওই বৈঠকের পর জানান, অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
এদিকে দেশের পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে লিবিয়ার বিদ্রোহীরা। তারা রাসলানাফে পাশ্ববর্তী বিন জাওয়াদ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়ে যাচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে। তবে রাস লানুফ ও বিন জাওয়াদ শহরের লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পশ্চিমে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মিসরাতা শহরেও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনী। রাস লানুফ থেকে হটে যাওয়ার পর বিদ্রোহী যোদ্ধা ফজর মুফতাহ বলেন, ‘গাদ্দাফি বাহিনী আমাদের লক্ষ্য করে বেপরোয়া রকেট হামলা চালাচ্ছে। তারা রাস লানুফ শহরে ঢুকে পড়েছে।’
লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার এক দিন পর গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ওবামা এবিসি, এনবিসি ও সিবিএস টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে ওবামা লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। ওবামা বলেন, গাদ্দাফি ও তাঁর লোকজনের এখন বুঝতে বাকি নেই যে তাঁদের দিন শেষ হয়ে আসছে। গাদ্দাফির সহযোগীরা বিভিন্নভাবে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর উপায় খুঁজছে। তবে গাদ্দাফির ক্ষমতা ত্যাগের বিষয় নিয়ে এখনই কোনো সমঝোতার সময় হয়ে ওঠেনি। গাদ্দাফিকেই প্রথম পরিষ্কার করতে হবে, দেশের জনগণ তাঁকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ক্ষমতা ত্যাগের সিদ্ধান্তের পরই তাঁর প্রস্থানকৌশল নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
ওবামা বলেন, লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করতে চাইলে এখনই করা যায়। এর আগে বিকল্প উপায় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গতকাল বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের অধিকার কোনো দেশের নেই।
লাভরভ বলেন, ‘ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি জানিয়েছেন, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ফ্রান্স প্রস্তুত। কিন্তু এর পরই ন্যাটোর মহাসচিব আন্দ্রে ফগ রাসমুসেন জানিয়েছেন, লিবিয়ার সাধারণ জনগণকে রক্ষার জন্যই সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে, তাঁদের অস্ত্র সরবরাহের জন্য নয়। রাশিয়া ন্যাটো মহাসচিবের সঙ্গে একমত।’
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাইন জুপ্পে গত মঙ্গলবার লন্ডনে লিবিয়া পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের সময় জানিয়েছিলেন, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত তাঁর দেশ।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ওই বৈঠকের পর জানান, অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
এদিকে দেশের পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে লিবিয়ার বিদ্রোহীরা। তারা রাসলানাফে পাশ্ববর্তী বিন জাওয়াদ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়ে যাচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে। তবে রাস লানুফ ও বিন জাওয়াদ শহরের লড়াই চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পশ্চিমে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মিসরাতা শহরেও আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনী। রাস লানুফ থেকে হটে যাওয়ার পর বিদ্রোহী যোদ্ধা ফজর মুফতাহ বলেন, ‘গাদ্দাফি বাহিনী আমাদের লক্ষ্য করে বেপরোয়া রকেট হামলা চালাচ্ছে। তারা রাস লানুফ শহরে ঢুকে পড়েছে।’
No comments