ক্লার্কের হাতেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব
প্রত্যাশামতো মাইকেল ক্লার্কের হাতেই উঠল রিকি পন্টিংয়ের ছেড়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের ভার। ‘আমি অধিনায়কের পদ থেকে সরে যাচ্ছি’—গত পরশু ছোট্ট এক ঘোষণায় দীর্ঘ আট বছরের অধিনায়ক জীবনের সমাপ্তি টানেন পন্টিং। এর কয়েক ঘণ্টা পরই পন্টিংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে মাইকেল ক্লার্কের নাম ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট, ওয়ানডে—দুটো দলেরই নেতৃত্ব দেবেন আগামী পরশু ৩০-এ পা দিতে যাওয়া ক্লার্ক।
টেস্ট, ওয়ানডেতে—দুই দলেই সহ-অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বটা থাকছে ক্যামেরন হোয়াইটের হাতেই।
আগামী মাসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সংক্ষিপ্ত এক সফরে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ৯-১৩ এপ্রিল, ঢাকার সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে ক্লার্ক যুগ। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ক্লার্ক যুগের সূচনা হবে আগামী আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণার সময়ই পন্টিং জানিয়ে দেন, দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে ক্রিকেট তিনি খেলে যেতে চান আরও অনেক দিন। তাঁর ইচ্ছাকে মূল্য দিয়েছেন নির্বাচকেরা। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের নাম ঘোষণার পরপরই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সফরের দল। ১৪ সদস্যের দলে আছেন রিকি পন্টিং।
নিজেদের মাঠে অ্যাশেজ হারের পর বিশ্বকাপে দীর্ঘ এক যুগের রাজত্বের অবসান—বাংলাদেশ সিরিজটা যেন তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ! ১৪ সদস্যের দলেই তার প্রতিফলন। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলের প্রায় সবাই আছেন। শুধু বিশ্বকাপে অনুজ্জ্বল জেসন ক্রেজাকে বাদ দিয়ে জেভিয়ার ডোহার্টিকে নিয়ে স্পিন আক্রমণে শক্তি বাড়িয়েছে। ক্রেজার সঙ্গে বাদ পড়েছেন ডেভিড হাসিও।
অনেক আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ানরা মাইকেল ক্লার্কের মধ্যে খুঁজে ফিরছিল ভবিষ্যৎ অধিনায়কের ছায়া। পন্টিংয়ের অবর্তমানে মাঠের নেতৃত্ব পেয়ে তার প্রমাণও রেখেছেন ক্লার্ক। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ হারের পরই চোটের কারণে দেশে ফিরে আসেন পন্টিং। ক্লার্ক অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে আনেন ওয়ানডে সিরিজে। এবারও তাই। নিজেদের মাঠে অ্যাশেজ হারলেও ক্লার্কের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজে উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ তারা জেতে ৬-১-এ!
ক্লার্ক এ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করেছেন ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচে। যার ১৮টিতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। হেরেছে ছয়টিতে। তবে ক্লার্ক অধিনায়কত্বের বড় প্রমাণটা দিয়েছেন গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আগের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও তুলে ছিলেন ফাইনালে।
অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সময়ই পন্টিং উত্তরসূরি হিসেবে সমর্থন করেন ক্লার্ককে। আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হওয়ার পর কাল তো ক্লার্ক পন্টিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘গত কয়েক বছরে আমার অবর্তমানে যখন দায়িত্ব পালন করেছে, সে কোনো ভুল করেনি। তার টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও সেটাই বলে।’
এত দিন যিনি ছিলেন তাঁর সহ-অধিনায়ক, এখন থেকে মাঠে সেই ক্লার্কের নির্দেশ মেনে চলতে হবে পন্টিংকে! পন্টিং বলছেন, এটা তাঁর জন্য কোনো ব্যাপারই নয়, ‘আমি জীবনে অনেক নির্দেশনাই পালন করেছি। আমি এটা স্বাভাবিকভাবেই পারব।’
আর ক্লার্ক বলছেন, ‘সবচেয়ে আগে যেটি বলব, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হওয়াটা দারুণ সম্মানের। তবে রিকিকে সরে যেতে দেখাটা ছিল বিস্ময়ের। আমি বুঝতেই পারিনি সে ছেড়ে যেতে পারে। তার এই সিদ্ধান্ত আমাকে খুবই বিস্মিত করেছে।’ তবে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে পন্টিংয়ের সহযোগিতা পাবেন বলেই বিশ্বাস ক্লার্কের। অবশ্য এটাও বলে দিয়েছেন, ‘আমি নতুন রিকি পন্টিং হতে চাই না। কারণ, আমি রিকি নই। আমি আমি, আমি সবকিছু আমার মতো করেই চালাতে চাই।’ সিদ্ধান্ত নিতে পন্টিংয়ের প্রভাব থাকবে কি না প্রশ্নের জবাবে মজা করে বলেন, ‘আমি মনে করি না, রিকি রুমের মধ্যে হাতি হয়ে থাকবে।’
বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দল
মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়ক), শেন ওয়াটসন (সহ-অধিনায়ক), রিকি পন্টিং, ক্যালাম ফার্গুসন, ব্র্যাড হাডিন, জন হেস্টিংস, মাইক হাসি, মিচেল জনসন, ব্রেট লি, টিম পাইন, জেমস প্যাটিনসন, স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন হোয়াইট।
টেস্ট, ওয়ানডেতে—দুই দলেই সহ-অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বটা থাকছে ক্যামেরন হোয়াইটের হাতেই।
আগামী মাসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সংক্ষিপ্ত এক সফরে বাংলাদেশে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ৯-১৩ এপ্রিল, ঢাকার সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে ক্লার্ক যুগ। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ক্লার্ক যুগের সূচনা হবে আগামী আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণার সময়ই পন্টিং জানিয়ে দেন, দলের একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে ক্রিকেট তিনি খেলে যেতে চান আরও অনেক দিন। তাঁর ইচ্ছাকে মূল্য দিয়েছেন নির্বাচকেরা। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের নাম ঘোষণার পরপরই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সফরের দল। ১৪ সদস্যের দলে আছেন রিকি পন্টিং।
নিজেদের মাঠে অ্যাশেজ হারের পর বিশ্বকাপে দীর্ঘ এক যুগের রাজত্বের অবসান—বাংলাদেশ সিরিজটা যেন তাঁদের কাছে চ্যালেঞ্জ! ১৪ সদস্যের দলেই তার প্রতিফলন। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলের প্রায় সবাই আছেন। শুধু বিশ্বকাপে অনুজ্জ্বল জেসন ক্রেজাকে বাদ দিয়ে জেভিয়ার ডোহার্টিকে নিয়ে স্পিন আক্রমণে শক্তি বাড়িয়েছে। ক্রেজার সঙ্গে বাদ পড়েছেন ডেভিড হাসিও।
অনেক আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়ানরা মাইকেল ক্লার্কের মধ্যে খুঁজে ফিরছিল ভবিষ্যৎ অধিনায়কের ছায়া। পন্টিংয়ের অবর্তমানে মাঠের নেতৃত্ব পেয়ে তার প্রমাণও রেখেছেন ক্লার্ক। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অ্যাশেজ হারের পরই চোটের কারণে দেশে ফিরে আসেন পন্টিং। ক্লার্ক অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়ে আনেন ওয়ানডে সিরিজে। এবারও তাই। নিজেদের মাঠে অ্যাশেজ হারলেও ক্লার্কের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজে উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ তারা জেতে ৬-১-এ!
ক্লার্ক এ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করেছেন ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচে। যার ১৮টিতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। হেরেছে ছয়টিতে। তবে ক্লার্ক অধিনায়কত্বের বড় প্রমাণটা দিয়েছেন গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। আগের দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও তুলে ছিলেন ফাইনালে।
অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সময়ই পন্টিং উত্তরসূরি হিসেবে সমর্থন করেন ক্লার্ককে। আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হওয়ার পর কাল তো ক্লার্ক পন্টিংয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ‘গত কয়েক বছরে আমার অবর্তমানে যখন দায়িত্ব পালন করেছে, সে কোনো ভুল করেনি। তার টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও সেটাই বলে।’
এত দিন যিনি ছিলেন তাঁর সহ-অধিনায়ক, এখন থেকে মাঠে সেই ক্লার্কের নির্দেশ মেনে চলতে হবে পন্টিংকে! পন্টিং বলছেন, এটা তাঁর জন্য কোনো ব্যাপারই নয়, ‘আমি জীবনে অনেক নির্দেশনাই পালন করেছি। আমি এটা স্বাভাবিকভাবেই পারব।’
আর ক্লার্ক বলছেন, ‘সবচেয়ে আগে যেটি বলব, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক হওয়াটা দারুণ সম্মানের। তবে রিকিকে সরে যেতে দেখাটা ছিল বিস্ময়ের। আমি বুঝতেই পারিনি সে ছেড়ে যেতে পারে। তার এই সিদ্ধান্ত আমাকে খুবই বিস্মিত করেছে।’ তবে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে পন্টিংয়ের সহযোগিতা পাবেন বলেই বিশ্বাস ক্লার্কের। অবশ্য এটাও বলে দিয়েছেন, ‘আমি নতুন রিকি পন্টিং হতে চাই না। কারণ, আমি রিকি নই। আমি আমি, আমি সবকিছু আমার মতো করেই চালাতে চাই।’ সিদ্ধান্ত নিতে পন্টিংয়ের প্রভাব থাকবে কি না প্রশ্নের জবাবে মজা করে বলেন, ‘আমি মনে করি না, রিকি রুমের মধ্যে হাতি হয়ে থাকবে।’
বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া দল
মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়ক), শেন ওয়াটসন (সহ-অধিনায়ক), রিকি পন্টিং, ক্যালাম ফার্গুসন, ব্র্যাড হাডিন, জন হেস্টিংস, মাইক হাসি, মিচেল জনসন, ব্রেট লি, টিম পাইন, জেমস প্যাটিনসন, স্টিভ স্মিথ ও ক্যামেরন হোয়াইট।
No comments