গল্পালোচনা- 'যেভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়!' by আলী হাবিব
'কী করিলে কী হয়' এমন অনেক উদাহরণ আমাদের আছে। কপাল পুড়ে খাক হয়! চোখের জলে সাগর হয়। আবার চোখ জ্বলে আগুনের মতো। মানুষের নানা অঙ্গ এমন নানাভাবে নানা উপমায় এসে পড়ে। যেমন, কারো মাটিতে পা পড়ে না। মাটিতে পা না পড়লে মানুষ হাঁটে কেমন করে? চলাচল করে কেমন করে? কিন্তু তার পরও তো মাটিতে পা পড়ে না। কখন? যখন অহংকার হয়। এসব কি সম্ভব? মাটিতে পা না-পড়া কিংবা আগুনের মতো চোখ জ্বলা ইত্যাদি কি সম্ভব? আরো কত অসম্ভব সম্ভব হয়।
মানুষের নাকি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়। কি অসম্ভব কথা! কেমন করে সেটা সম্ভব? কোথাও কারো পা মাটিতে পড়ছে না, চোখ জ্বলছে, চোখের জলে সাগর হয়ে যাচ্ছে_এসব খবর পাওয়া না গেলেও এবার হাতি এসে পড়েছে খবরে। হাতি যেভাবে হাতি হলো বা হয়ে উঠল, খবরে সেটাই বলা হয়েছে। খবরে বলা হচ্ছে, হাতি আজকের এই বিশাল আকৃতি পেয়েছে ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারণে। এর একটা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর আগে স্তন্যপায়ী অনেক প্রজাতি সব সময় এত বিশাল দেহের অধিকারী ছিল না। এগুলো যে আজকের এই আকৃতি পেয়েছে, এর প্রধান কারণ ডাইনোসরের বিলুপ্তি। হাতি নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন এই উপলব্ধি আমাদের অনেক কাজে লাগবে। কারণ হাতি নিয়ে অনেক গল্প আমাদের জানা আছে। শিবরাম চক্রবর্তী হাতি নিয়ে অনেক গল্প লিখেছেন। তাঁর হাতি নিয়ে হাতাহাতি গল্পের হাতিটি তো শুঁড় দিয়ে কাকার কান টেনে ছিঁড়ে নিয়েছিল। কাকা কিনেছিলেন সাদা হাতি। সেটার রং বদলে গিয়েছিল। হাতির শুঁড় নিয়ে রূপকথাটিও তো আমাদের সবার জানা। হাতির শুঁড়ও নাকি একদিন এত লম্বা ছিল না। হাতির শুঁড় কেমন করে বড় হলো, এক গল্পে এর উল্লেখ আছে। এক হাতির বাচ্চার ছিল সব কিছু জানার আগ্রহ। ছোট হলে যা হয় আর কি! যা কিছু দেখে, যা কিছু শোনে, যা কিছুর গন্ধ সে পায়_সব কিছু সে জানতে চায়। যা কিছু মাথায় আসে, সব কিছু সে জানতে চেষ্টা করে। এর-ওর কাছে যায় আর জিজ্ঞেস করে। কেউ উত্তর দেয়, কেউ দেয় না। 'মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার'_অনেকটা সে রকমই। কেউ তার কথার জবাব দেয়, কেউ দেয় না। সে উটপাখিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে তার লেজ এত ছোট কেন? শুনে রেগে যায় উটপাখি। সে জিরাফকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, তার গায়ে এত ফোঁটা ফোঁটা দাগ কেন? রেগে যায় জিরাফ। সে জলহস্তীর কাছে গিয়ে জানতে চায়, তার চোখ দুটি লাল কেন? প্রশ্ন শুনে রেগে যায় জলহস্তী। সে বেবুনের কাছে গিয়ে জানতে চায়, তরমুজের স্বাদ অমন কেন? প্রশ্ন শুনে তেড়ে যায় বেবুন। কেউ তার প্রশ্নের জবাব দেয় না। কেউ তেড়ে য়ায়, কেউ রাগ করে। কেউ চুপ করে থাকে। কেউ বলে, অত বেশি কৌতূহল ভালো নয়। কিন্তু ছোট বাচ্চা হাতির কৌতূহলের শেষ নেই। রোজ তার মাথায় একেকটা নতুন প্রশ্ন ঢোকে। সেই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য সে এর-ওর কাছে যায়। প্রশ্ন করে। উত্তর পায় না। তার পরও প্রশ্নের অন্ত নেই তার। তো একদিন তার মাথায় অদ্ভুত এক প্রশ্ন এল। হঠাৎ তার জানতে ইচ্ছা হলো, কুমিররা রাতে কী খায়। প্রশ্নটা নিয়ে সে এর কাছে যায়, ওর কাছে যায়। কেউ উত্তর দেয় না। কেউ কেউ বলে, কুমির বড় সাংঘাতিক প্রাণী। খবরদার, ওর নাম মুখেও এনো না। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর তো জানা চাই তার। ঝোপের ধারে বসে ছিল এক লেজঝোলা পাখি। সে পাখিটার কাছে গিয়ে প্রশ্নটা করল। পাখি বলল, এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে কুমিরের কাছেই যেতে হবে। কোথায় পাওয়া যাবে কুমির। পাখি বলে দিল, এই বন থেকে তিন দিনের দূরত্বে আছে এক নদী। সেই নদীতে কুমির আছে। হাতির বাচ্চা তিন দিনের খাবার সঙ্গে নিয়ে রওনা হলো। তিন দিন পর সে পেঁৗছে গেল সেই নদীর ধারে। সেখানে পাহাড়ের নিচে বসে ছিল এক অজগর সাপ। সে অজগরের কাছে গিয়ে জানতে চাইল, সে কুমির কি না। অজগর জবাব দিল, সে কুমির নয়, অজগর। জানতে চাইল, কুমির দিয়ে কী হবে? হাতির বাচ্চা বলল, কুমির কী দিয়ে রাতে ডিনার করে, এটা জানার খুব ইচ্ছা তার। অজগর বলল, সে জানে না কুমির কী দিয়ে রাতে ডিনার করে। জানতেও চায় না। সে কোনো দিন কুমির দেখার চেষ্টা করেনি। কারণ তার মা-বাবা অনেক আগেই তাকে কুমির সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন। অজগর তাকে পরামর্শ দিল, ভালো ছেলে হাতির বাচ্চা যেন ভালোয় ভালোয় বাড়িতে ফিরে যায়। কারণ কুমির খুব বেকায়দা জাতের প্রাণী। খুব হিংস্র। হাতির বাচ্চা বুঝতে চায় না। এত দূর পথ এসে সে প্রশ্নের উত্তর না জেনে ফিরে যেতে চায় না। সে অজগরকে ছেড়ে নদীর দিকে গেল। নদীর ধারে গিয়ে দেখতে পেল কাঠের গুঁড়ির মতো কিছু একটা নদীর ধারে পড়ে আছে। সে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, 'ভাই, আপনি কি কখনো কুমির দেখেছেন?'
মানুষের নাকি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়। কি অসম্ভব কথা! কেমন করে সেটা সম্ভব? কোথাও কারো পা মাটিতে পড়ছে না, চোখ জ্বলছে, চোখের জলে সাগর হয়ে যাচ্ছে_এসব খবর পাওয়া না গেলেও এবার হাতি এসে পড়েছে খবরে। হাতি যেভাবে হাতি হলো বা হয়ে উঠল, খবরে সেটাই বলা হয়েছে। খবরে বলা হচ্ছে, হাতি আজকের এই বিশাল আকৃতি পেয়েছে ডাইনোসরের বিলুপ্তির কারণে। এর একটা বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাও পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর আগে স্তন্যপায়ী অনেক প্রজাতি সব সময় এত বিশাল দেহের অধিকারী ছিল না। এগুলো যে আজকের এই আকৃতি পেয়েছে, এর প্রধান কারণ ডাইনোসরের বিলুপ্তি। হাতি নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন এই উপলব্ধি আমাদের অনেক কাজে লাগবে। কারণ হাতি নিয়ে অনেক গল্প আমাদের জানা আছে। শিবরাম চক্রবর্তী হাতি নিয়ে অনেক গল্প লিখেছেন। তাঁর হাতি নিয়ে হাতাহাতি গল্পের হাতিটি তো শুঁড় দিয়ে কাকার কান টেনে ছিঁড়ে নিয়েছিল। কাকা কিনেছিলেন সাদা হাতি। সেটার রং বদলে গিয়েছিল। হাতির শুঁড় নিয়ে রূপকথাটিও তো আমাদের সবার জানা। হাতির শুঁড়ও নাকি একদিন এত লম্বা ছিল না। হাতির শুঁড় কেমন করে বড় হলো, এক গল্পে এর উল্লেখ আছে। এক হাতির বাচ্চার ছিল সব কিছু জানার আগ্রহ। ছোট হলে যা হয় আর কি! যা কিছু দেখে, যা কিছু শোনে, যা কিছুর গন্ধ সে পায়_সব কিছু সে জানতে চায়। যা কিছু মাথায় আসে, সব কিছু সে জানতে চেষ্টা করে। এর-ওর কাছে যায় আর জিজ্ঞেস করে। কেউ উত্তর দেয়, কেউ দেয় না। 'মাথায় কত প্রশ্ন আসে, দিচ্ছে না কেউ জবাব তার'_অনেকটা সে রকমই। কেউ তার কথার জবাব দেয়, কেউ দেয় না। সে উটপাখিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে তার লেজ এত ছোট কেন? শুনে রেগে যায় উটপাখি। সে জিরাফকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, তার গায়ে এত ফোঁটা ফোঁটা দাগ কেন? রেগে যায় জিরাফ। সে জলহস্তীর কাছে গিয়ে জানতে চায়, তার চোখ দুটি লাল কেন? প্রশ্ন শুনে রেগে যায় জলহস্তী। সে বেবুনের কাছে গিয়ে জানতে চায়, তরমুজের স্বাদ অমন কেন? প্রশ্ন শুনে তেড়ে যায় বেবুন। কেউ তার প্রশ্নের জবাব দেয় না। কেউ তেড়ে য়ায়, কেউ রাগ করে। কেউ চুপ করে থাকে। কেউ বলে, অত বেশি কৌতূহল ভালো নয়। কিন্তু ছোট বাচ্চা হাতির কৌতূহলের শেষ নেই। রোজ তার মাথায় একেকটা নতুন প্রশ্ন ঢোকে। সেই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য সে এর-ওর কাছে যায়। প্রশ্ন করে। উত্তর পায় না। তার পরও প্রশ্নের অন্ত নেই তার। তো একদিন তার মাথায় অদ্ভুত এক প্রশ্ন এল। হঠাৎ তার জানতে ইচ্ছা হলো, কুমিররা রাতে কী খায়। প্রশ্নটা নিয়ে সে এর কাছে যায়, ওর কাছে যায়। কেউ উত্তর দেয় না। কেউ কেউ বলে, কুমির বড় সাংঘাতিক প্রাণী। খবরদার, ওর নাম মুখেও এনো না। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর তো জানা চাই তার। ঝোপের ধারে বসে ছিল এক লেজঝোলা পাখি। সে পাখিটার কাছে গিয়ে প্রশ্নটা করল। পাখি বলল, এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে কুমিরের কাছেই যেতে হবে। কোথায় পাওয়া যাবে কুমির। পাখি বলে দিল, এই বন থেকে তিন দিনের দূরত্বে আছে এক নদী। সেই নদীতে কুমির আছে। হাতির বাচ্চা তিন দিনের খাবার সঙ্গে নিয়ে রওনা হলো। তিন দিন পর সে পেঁৗছে গেল সেই নদীর ধারে। সেখানে পাহাড়ের নিচে বসে ছিল এক অজগর সাপ। সে অজগরের কাছে গিয়ে জানতে চাইল, সে কুমির কি না। অজগর জবাব দিল, সে কুমির নয়, অজগর। জানতে চাইল, কুমির দিয়ে কী হবে? হাতির বাচ্চা বলল, কুমির কী দিয়ে রাতে ডিনার করে, এটা জানার খুব ইচ্ছা তার। অজগর বলল, সে জানে না কুমির কী দিয়ে রাতে ডিনার করে। জানতেও চায় না। সে কোনো দিন কুমির দেখার চেষ্টা করেনি। কারণ তার মা-বাবা অনেক আগেই তাকে কুমির সম্পর্কে সাবধান করে দিয়েছেন। অজগর তাকে পরামর্শ দিল, ভালো ছেলে হাতির বাচ্চা যেন ভালোয় ভালোয় বাড়িতে ফিরে যায়। কারণ কুমির খুব বেকায়দা জাতের প্রাণী। খুব হিংস্র। হাতির বাচ্চা বুঝতে চায় না। এত দূর পথ এসে সে প্রশ্নের উত্তর না জেনে ফিরে যেতে চায় না। সে অজগরকে ছেড়ে নদীর দিকে গেল। নদীর ধারে গিয়ে দেখতে পেল কাঠের গুঁড়ির মতো কিছু একটা নদীর ধারে পড়ে আছে। সে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, 'ভাই, আপনি কি কখনো কুমির দেখেছেন?'
'কেন?' জানতে চাইল প্রাণীটি।
হাতির বাচ্চা বলল, 'কুমির কী খায়, আমি সেটা জানতে এসেছি। অনেক দূর থেকে আসছি। প্রশ্নের জবাবটা পেতে চাই।'
'আমিই কুমির।' বলল প্রাণীটি। 'বলো, কী জানতে চাও।'
হাতির বাচ্চা তার কৌতূহলের বিষয়টি জানাল। অমনি কুমির তার নাক কামড়ে ধরে টানতে লাগল নদীর দিকে। বলল, 'আজকের ডিনারটা তোমাকে দিয়েই করব।' হাতির বাচ্চা প্রথমে তো এমন আক্রমণে থতমত খেয়ে গেল। তার পরই শুরু হলো টানাটানি। কিন্তু কুমিরের সঙ্গে পেরে ওঠা তো খুব কঠিন কাজ। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এল সেই অজগর। সে পেছন থেকে হাতির বাচ্চার পা টেনে ধরল। একদিকে কুমির টানছে হাতির বাচ্চার নাক ধরে, অন্যদিকে পেছন থেকে পা ধরে টানছে অজগর! মাঝখানে হাতির বাচ্চা নিজেও পেছনে সরে আসার চেষ্টা করছে। এভাবে টানাটানিতে হাতির বাচ্চার নাক লম্বা হতে শুরু করে। একসময় না পেরে কুমির হাতির বাচ্চাটিকে ছেড়ে দেয়। তাকে নিয়ে সরে আসে অজগর। হাতির বাচ্চাটি তো লম্বা নাক নিয়ে রীতিমতো বিব্রত। এটা কেমন হলো! অজগর বলল, খুব ভালো হয়েছে। খুব সুন্দর দেখাচ্ছে তোমাকে। হাতির বাচ্চা বলল, এই লম্বা নাক বা শুঁড় নিয়ে সে কী করবে? কী করবে_সেটা আর বলতে হলো না। এমনিতেই তার জানা হয়ে গেল শুঁড় তার কী কাজে লাগবে। একটা মাছি এসে বসেছিল পিঠের ওপর। সে শুঁড় দিয়ে সেটাকে তাড়িয়ে দিল। নদীর ধারে গিয়ে শুঁড় দিয়ে পানি টেনে নিল। শুঁড়ের উপকারিতা পেয়ে গেল সে। সেই থেকেই নাকি হাতির শুঁড় গজিয়েছে।
হাতির হাতি হয়ে ওঠার পেছনে যে গল্প বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেটাও অনেকটা এই গল্পের মতোই। পৃথিবীতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উৎপত্তি ও ক্রমধারা বুঝতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের অনুদানে দুই বছর আগে একটি গবেষণা শুরু করেন একদল বিজ্ঞানী। এই দুই বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া ফসিল পর্যবেক্ষণ করে একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলেন তাঁরা। সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁরা বলছেন, ডাইনোসরের যুগে স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলোর ওজন ছিল এক থেকে ১০ কিলোগ্রামের মধ্যে। শিংহীন গণ্ডার বা আফ্রিকার হাতির পূর্বপুরুষরাও আজকের দিনের একটি খরগোশের চেয়ে খুব একটা বড় ছিল না। ডাইনোসর প্রজাতির বিলুপ্তির পর বিপুল পরিমাণ খাবার পেয়ে স্তন্যপায়ী প্রাণীগুলো আকৃতিতে বাড়তে শুরু করে।
তাঁরা জানিয়েছেন, যখন বিভিন্ন প্রজাতির অতিকায় ডাইনোসর এ পৃথিবীতে রাজত্ব করছিল, তখন আসলে স্তন্যপায়ী প্রজাতিগুলোর আকারে বেড়ে ওঠার সুযোগই ছিল না। খাবার সংগ্রহের লড়াইয়ে তারা সরীসৃপ প্রজাতির বড় প্রাণীগুলোর সঙ্গে পেরে উঠত না। অনেক ক্ষেত্রে তারাই অন্য প্রাণীর খাবারে পরিণত হতো। ডাইনোসর বিলুপ্ত হয় আজ থেকে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে। এরপর বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য ফিরে আসতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মোটামুটি আড়াই কোটি বছরের মধ্যে পরিস্থিতি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অনুকূলে চলে আসে। পর্যাপ্ত খাবার পাওয়ায় কোনো কোনো স্তন্যপায়ী প্রজাতির গড় ওজন দাঁড়ায় ১৭ টন পর্যন্ত। এ-সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে।
হাতি যদি এভাবে হাতি হয়ে উঠতে পারে, তাহলে আমাদের প্রচলিত অনেক বাগধারা বা প্রবচনের পেছনে কোনো গল্প থাকলেও তো থাকতে পারে। যেমন_আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার গল্প আমরা মাঝেমধ্যেই বলি। মাঝেমধ্যেই শুনি। আঙুল কেমন করে ফুলে কলাগাছ হয়? নাকি আঙুল ফুলে কলাগাছ হতে পারে। আঙুলের সঙ্গে কলাগাছের তুলনা হলেই আমাদের তো মনে আসে রাক্ষস-খোক্কসের গল্প। রাক্ষসদের নাকি কলাগাছের মতো আঙুল, মুলার মতো দাঁত। রাক্ষসদের আঙুল কখন কলাগাছের মতো হয়? রাক্ষসরা যখন সব কিছু দখল করে নেয়, সব কিছু খেয়ে ফেলে, তখনই তো তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছের মতো হয়। আমাদের সমাজেও কিছু মানুষ যখন সব কিছু খেয়ে ফেলে, গ্রাস করে সব, তখনই তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়।
===============================
জলবায়ু সম্মেলনঃ আমি কেন কানকুনে যাচ্ছি? by মেরি রবিনস ভ্রমণ- 'মেঘনায় যায় মেঘনা রানী' by সালেক খোকন ভ্রমণ- 'গন্তব্য নাফাখুম' by জাকারিয়া সবুজ আলোচনা- 'এখনো একটি গ্রেট গেইম অস্বস্তিকরভাবে প্রাসঙ্গিক' by এম আবদুল আজিজ গল্পসল্প- জীবন ঢেকে যাচ্ছে বালুতে প্রকৃতি- কোপেনহেগেন থেকে কানকুনঃ সময় এসেছে মুহূর্তটিকে কাজে লাগানোর by জেমস এফ মরিয়ার্টি আলোচনা- দরিদ্র মানুষের পাঁজরের ওপর দুর্দান্ত পাজেরো বিএনপির মিছিলে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের পিটুনি খবর কালের কন্ঠের- হরতালের ধরপাকড় চলছেই খবর- খুনের মামলা প্রত্যাহার, শীর্ষ সন্ত্রাসীর অব্যাহতি by নজরুল ইসলাম প্রকৃতি- চট্টগ্রামে ঐতিহ্যের পাহাড় কেটে বহুতল ভবনঃ সুরক্ষার পরিকল্পনা ধ্বংসের অনুমোদন প্রকৃতি খবর- জলবায়ু সম্মেলন আজ শুরু রাজনৈতিক আলোচনা- 'পুলিশই কি হরতাল সফল করে দেয়' by আবেদ খান আইন কানুন- 'বাহাত্তরের সংবিধান ফিরছে না' by আহমেদ দীপু আইরিন খান বললেন,'নারীর মানবাধিকার রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে' সুত্র প্রথম আলো আইন কানুন- চাই বিরোধের বিকল্প নিষ্পত্তি by রোমেল রহমান আইন কানুন- ভরণপোষণ একটি আইনি অধিকার by মাসূমা তাসনীম আইন কানুন- অর্থঋণ আদালত আইনে অনেক গলদ by এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম আইন কানুন- গাড়ি আটক হলে মালিকের করণীয় by মো. রাশেদ খান যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আমাদের রাজনীতিতে বখাটেপনা' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ আলী হাবিব
সাংবাদিক
আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
জলবায়ু সম্মেলনঃ আমি কেন কানকুনে যাচ্ছি? by মেরি রবিনস ভ্রমণ- 'মেঘনায় যায় মেঘনা রানী' by সালেক খোকন ভ্রমণ- 'গন্তব্য নাফাখুম' by জাকারিয়া সবুজ আলোচনা- 'এখনো একটি গ্রেট গেইম অস্বস্তিকরভাবে প্রাসঙ্গিক' by এম আবদুল আজিজ গল্পসল্প- জীবন ঢেকে যাচ্ছে বালুতে প্রকৃতি- কোপেনহেগেন থেকে কানকুনঃ সময় এসেছে মুহূর্তটিকে কাজে লাগানোর by জেমস এফ মরিয়ার্টি আলোচনা- দরিদ্র মানুষের পাঁজরের ওপর দুর্দান্ত পাজেরো বিএনপির মিছিলে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের পিটুনি খবর কালের কন্ঠের- হরতালের ধরপাকড় চলছেই খবর- খুনের মামলা প্রত্যাহার, শীর্ষ সন্ত্রাসীর অব্যাহতি by নজরুল ইসলাম প্রকৃতি- চট্টগ্রামে ঐতিহ্যের পাহাড় কেটে বহুতল ভবনঃ সুরক্ষার পরিকল্পনা ধ্বংসের অনুমোদন প্রকৃতি খবর- জলবায়ু সম্মেলন আজ শুরু রাজনৈতিক আলোচনা- 'পুলিশই কি হরতাল সফল করে দেয়' by আবেদ খান আইন কানুন- 'বাহাত্তরের সংবিধান ফিরছে না' by আহমেদ দীপু আইরিন খান বললেন,'নারীর মানবাধিকার রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে' সুত্র প্রথম আলো আইন কানুন- চাই বিরোধের বিকল্প নিষ্পত্তি by রোমেল রহমান আইন কানুন- ভরণপোষণ একটি আইনি অধিকার by মাসূমা তাসনীম আইন কানুন- অর্থঋণ আদালত আইনে অনেক গলদ by এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম আইন কানুন- গাড়ি আটক হলে মালিকের করণীয় by মো. রাশেদ খান যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'আমাদের রাজনীতিতে বখাটেপনা' by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ আলী হাবিব
সাংবাদিক
আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
No comments