ফিরলেন আশরাফুল
নির্বাচকেরা দল নির্বাচন করে বোর্ডে জমা দিয়ে দিয়েছিলেন তিন-চার দিন আগেই। সেটিই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো কাল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্মরণীয় ওই সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন শাহরিয়ার নাফীস ও জহুরুল ইসলাম। মাশরাফি-নাজমুলের চোটের কারণে ডাক পাওয়া সৈয়দ রাসেল ও ডলার মাহমুদও বাদ পড়েছেন। নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া মাশরাফি ও নাজমুল দুজনই ফিরেছেন দলে। ফিরেছেন চোটের কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজ মিস করা তামিম ইকবালও।
তবে বুধবার শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সেই অর্থে ফেরা শুধুই মোহাম্মদ আশরাফুলের। বাজে ফর্মের কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দর্শক হয়ে ছিলেন। জাতীয় লিগের ওয়ানডেতে ৭ ম্যাচে ৬৬.২০ গড়ে ৩৩১ রান করে টুর্নামেন্ট-সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার পর সাবেক অধিনায়কের ফেরাটা অনুমিতই ছিল। প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমও আশরাফুলকে ফেরানোর এই ব্যাখ্যাই দিলেন, ‘বাজে ফর্মের কারণে ইংল্যান্ড সফরের পর দল থেকে বাদ পড়েছিল আশরাফুল। কিন্তু জাতীয় লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করে সে ফর্মে ফেরার প্রমাণ দিয়েছে।’ দুই দিন আগে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আশরাফুল দলে ফেরার খবর শুনেছেন চীনে বসেই। কাল দেশের উদ্দেশে আকাশে ওড়ার ঠিক আগে টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ‘ভালো পারফর্ম করে দলে ফিরেছি, ভালো তো লাগছেই। কিন্তু দলে ফিরলেই তো শুধু হবে না, পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাটাও ধরে রাখতে হবে। ভালো খেলে দলে জায়গা ধরে রাখাই হবে এখন আমার মূল লক্ষ্য।’
আশরাফুলের জন্য সময়টা উৎসবের হলেও দুর্ভাগ্য শাহরিয়ার নাফীসের। নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিন ম্যাচে ২৯.৭৫ গড়ে ১১৯ রান করেও প্রিয় প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে খেলতে পারছেন না এই বাঁহাতি। শাহরিয়ারের সান্ত্বনা তাই প্রধান নির্বাচকের সহানুভূতিটুকুই, ‘প্রথমত আমি বলব ও আনলাকি। কম্বিনেশনের কারণেই দলে ওর জায়গা হয়নি। ইনজুরি থেকে ফেরার পর ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল অটোমেটিক চয়েজ। আর প্রায় এক বছর ধরে তিন নম্বরে ভালো খেলছে জুনায়েদ।’ জুনায়েদ না শাহরিয়ার—প্রশ্নে নির্বাচকেরা বোধ হয় একটু বেশিই অতীতে ফিরে গেলেন। নইলে গত নিউজিল্যান্ড সফরে জুনায়েদের চেয়ে অনেক ভালো পারফরম্যান্স শাহরিয়ারের। শাহরিয়ারের রান যেখানে ১১৯, জুনায়েদ করেছেন মাত্র ৭১! নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন শাহরিয়ার।
বাদ পড়ার প্রতিক্রিয়ায় সে আক্ষেপ পুরোপুরি লুকাতে পারেননি শাহরিয়ার, ‘কী আর করা! আমি মনে করি, সাম্প্রতিক সময়ে দলে থাকার মতো পারফরম্যান্সই ছিল আমার। তার পরও কেন বাদ পড়লাম, সেই উত্তর নির্বাচকেরাই ভালো দিতে পারবেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি তো সব সময়ই চাইব দলে থাকতে।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজের দল থেকে যে চারজন বাদ পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে শাহরিয়ার নাফীস ছাড়া বাকি তিনজন কোনো ম্যাচই খেলার সুযোগ পাননি। রাসেল-ডলার বিকল্প হিসেবে হঠাৎ ডাক পেয়েছিলেন বলে তাঁদের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবে জহুরুল ইসলামের বাদ পড়া একটু ব্যাখ্যা দাবি করে। যুক্তরাজ্য সফরে ভালো খেলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলার সুযোগ না পেয়েও বাদ পড়ার কারণটা কী? প্রধান নির্বাচকের যুক্তি, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ও পারফর্ম করেনি। বলতে পারেন ফর্মে না থাকার কারণেই দলের বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে।’
তবে বুধবার শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সেই অর্থে ফেরা শুধুই মোহাম্মদ আশরাফুলের। বাজে ফর্মের কারণে নিউজিল্যান্ড সিরিজে দর্শক হয়ে ছিলেন। জাতীয় লিগের ওয়ানডেতে ৭ ম্যাচে ৬৬.২০ গড়ে ৩৩১ রান করে টুর্নামেন্ট-সেরার স্বীকৃতি পাওয়ার পর সাবেক অধিনায়কের ফেরাটা অনুমিতই ছিল। প্রধান নির্বাচক রফিকুল আলমও আশরাফুলকে ফেরানোর এই ব্যাখ্যাই দিলেন, ‘বাজে ফর্মের কারণে ইংল্যান্ড সফরের পর দল থেকে বাদ পড়েছিল আশরাফুল। কিন্তু জাতীয় লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করে সে ফর্মে ফেরার প্রমাণ দিয়েছে।’ দুই দিন আগে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আশরাফুল দলে ফেরার খবর শুনেছেন চীনে বসেই। কাল দেশের উদ্দেশে আকাশে ওড়ার ঠিক আগে টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বললেন, ‘ভালো পারফর্ম করে দলে ফিরেছি, ভালো তো লাগছেই। কিন্তু দলে ফিরলেই তো শুধু হবে না, পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাটাও ধরে রাখতে হবে। ভালো খেলে দলে জায়গা ধরে রাখাই হবে এখন আমার মূল লক্ষ্য।’
আশরাফুলের জন্য সময়টা উৎসবের হলেও দুর্ভাগ্য শাহরিয়ার নাফীসের। নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিন ম্যাচে ২৯.৭৫ গড়ে ১১৯ রান করেও প্রিয় প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে খেলতে পারছেন না এই বাঁহাতি। শাহরিয়ারের সান্ত্বনা তাই প্রধান নির্বাচকের সহানুভূতিটুকুই, ‘প্রথমত আমি বলব ও আনলাকি। কম্বিনেশনের কারণেই দলে ওর জায়গা হয়নি। ইনজুরি থেকে ফেরার পর ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল অটোমেটিক চয়েজ। আর প্রায় এক বছর ধরে তিন নম্বরে ভালো খেলছে জুনায়েদ।’ জুনায়েদ না শাহরিয়ার—প্রশ্নে নির্বাচকেরা বোধ হয় একটু বেশিই অতীতে ফিরে গেলেন। নইলে গত নিউজিল্যান্ড সফরে জুনায়েদের চেয়ে অনেক ভালো পারফরম্যান্স শাহরিয়ারের। শাহরিয়ারের রান যেখানে ১১৯, জুনায়েদ করেছেন মাত্র ৭১! নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন শাহরিয়ার।
বাদ পড়ার প্রতিক্রিয়ায় সে আক্ষেপ পুরোপুরি লুকাতে পারেননি শাহরিয়ার, ‘কী আর করা! আমি মনে করি, সাম্প্রতিক সময়ে দলে থাকার মতো পারফরম্যান্সই ছিল আমার। তার পরও কেন বাদ পড়লাম, সেই উত্তর নির্বাচকেরাই ভালো দিতে পারবেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি তো সব সময়ই চাইব দলে থাকতে।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজের দল থেকে যে চারজন বাদ পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে শাহরিয়ার নাফীস ছাড়া বাকি তিনজন কোনো ম্যাচই খেলার সুযোগ পাননি। রাসেল-ডলার বিকল্প হিসেবে হঠাৎ ডাক পেয়েছিলেন বলে তাঁদের বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন নেই। তবে জহুরুল ইসলামের বাদ পড়া একটু ব্যাখ্যা দাবি করে। যুক্তরাজ্য সফরে ভালো খেলেছিলেন, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলার সুযোগ না পেয়েও বাদ পড়ার কারণটা কী? প্রধান নির্বাচকের যুক্তি, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ও পারফর্ম করেনি। বলতে পারেন ফর্মে না থাকার কারণেই দলের বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে।’
No comments