আবাহনী বনাম এভারটন?
লালবাগের তরুণ মহিউদ্দিন আহমেদ কাল বিকেলে এসেছেন আবাহনীর অনুশীলন দেখতে। আবাহনী ক্লাব মাঠে ঢুকে বললেন, ‘পিলিয়ার তো একটাই। ব্রাদার্সের এগারো নম্বর। দারুণ খেলে। ওর খেলাই দেখুম।’
আবাহনীর সমর্থন করলেও ওই তরুণের চোখে লেগে আছে এভারটনের খেলা। গ্রুপ পর্বে মোহামেডানের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার দেখিয়েছেন তাঁর পায়ের কারুকাজ। দুই গোল করেছেন। ফেনী সকার ম্যাচেও এভারটনের ঝলক দেখেছেন সবাই। আজ আবাহনীর বিপক্ষে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল খেলছে ব্রাদার্স, ২৬ বছরের বয়সী সাওপাওলোর তরুণের ওপরই থাকছে মূল আলোটা।
নিম্নমানের বিদেশির ভিড়ে এভারটন যেন ‘গোবরে পদ্মফুল’। নিজের দলের খেলোয়াড় বলেই নয়, ব্রাদার্স কোচ ওয়াসিম ইকবাল কাল বিকেলে অনুশীলনের ফাঁকে প্রশংসামুখর ছিলেন, ‘গত কয়েক বছরে এভারটনের মতো পায়ের কাজ আছে এমন ফুটবলার আসেনি। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের খেলোয়াড় হারিয়েই যাচ্ছিল। এই ছেলেটি ব্যতিক্রম। ওর ড্রিবলিং অসাধারণ। ঠিকমতো বল ছাড়া আবার জায়গায় যাওয়া—সবকিছুই দারুণ।’
এভারটন কি আজকের ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন? ওয়াসিমের মনে কোনো দ্বিধা নেই, ‘অবশ্যই। ওর মানের ফুটবলার যেকোনো ম্যাচই ঘুরিয়ে দিতে পারে। আবাহনীর বিপক্ষে সে আমাদের বড় তাস।’
এভারটনের প্রশংসা করছে আবাহনী শিবিরও। ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস যেমন বললেন, ‘এই খেলোয়াড়টি চোখে পড়েছে আমারও।’ তবে ফুটবল একজনের খেলা নয়’—এই সত্যটাকেই বড় করে দেখছেন আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি, ‘সে ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু দলে একজন ভালো খেলোয়াড়ের তকমা পেলেই দলটা ভয়ংকর হয়ে যায় না। আমরা তাই ওদের কোনো বিশেষ খেলোয়াড় নিয়ে আলাদা করে ভাবছি না। দল হিসেবেই আমরা ওদের মুখোমুখি হব।’
এভারটন কতটা কী করতে পারবেন, আজ বিকেল ৫টায় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু ম্যাচে দেখা যাবে। এভারটন কিন্তু তৈরি। কাল বিকেলে ব্রাদার্স মাঠে অনুশীলনে নামার আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কী ভাবছেন এই ম্যাচ নিয়ে? আপনাকে তো সবাই ভালো ফুটবলার বলছে।’ ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে চটপটে এভারটনের উত্তরে থাকল হাসি, ‘আমি ভালো নই, ভালো হচ্ছে আমাদের দল ব্রাদার্স। আমি গোল না পেলেও সমস্যা নেই। দল গোল পেলেই হলো।’
দলবদলের বাজারে কুড়িয়ে-কাচিয়ে অখ্যাত খেলোয়াড় নিয়ে গতবারের মতো এবারও দল গড়েছে ব্রাদার্স। ২৮ জন বিদেশির ট্রায়াল নিয়ে পছন্দ করেছে ৪ জনকে। এভারটনসহ ব্রাজিলিয়ান দুজন। দুজন আফ্রিকান। একজন তাঁদের পুরোনো খেলোয়াড়—এনক বেনটিল। এই বিদেশিদের ভিড়ে এভারটনই ব্রাদার্সকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছেন। গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ব্রাদার্স উঠেছে সেমিফাইনালে। পরশু গুরুত্বহীন শেষ ম্যাচটায় এভারটনসহ সেরা একাদশের ৭ জনকে বাইরে রেখে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরেছে ০-৩ গোলে।
ওই পরাজয়কে আমলে নিচ্ছেন না ব্রাদার্স কর্মকর্তারা। ২০০৫ সালের পর আবার ফেডারেশন কাপের শিরোপা-স্বপ্নে বিভোর গোটা দল। সাম্প্রতিক সময়ে এতটা আশাবাদী হতে দেখা যায়নি ব্রাদার্সকে। ম্যানেজার আমের খান যেমন বললেন, ‘এভারটনকে পেয়ে আমাদের শক্তি অনেক বেড়েছে। ব্রাদার্স অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখে।’
ফেডারেশন কাপ নিয়মিতই দেখেন জাতীয় দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ রবার্ট রুবচিচ। আজকের প্রথম সেমিফাইনালে তাঁর ফেবারিট অবশ্য আবাহনী, ‘আমার মনে হয়, পাওয়ারের দিক থেকে এগিয়ে আবাহনীই।’ এভারটনের প্রসঙ্গে তাঁর কথা, ‘একা একজন খেলোয়াড় কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না।’
আবাহনীর জন্য সুখবর, বরদুলই কাপে নজরকাড়া ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার ইউসুফ আমিনুরের ছাড়পত্র এসেছে। আজ তিনি খেলছেন। আমিনুরের সংযুক্তি আবাহনীকে বেশ উজ্জীবিত করে তুলেছে। এ কারণেই ‘প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের নিয়েই ভাবছি আমরা’—বলতে পারেন সত্যজিৎ দাস। ১০ বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তোলার আশা দেখাচ্ছেন কোচ আলী আকবর, ‘একসঙ্গে আক্রমণ এবং একসঙ্গে রক্ষণকাজটা ঠিকভাবে করতে পারলে ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী।’
১৯৯৪ সালে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি আবাহনী-ব্রাদার্সের লড়াইটা শেষ হয়েছিল রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায়। গোলশূন্য ম্যাচে শেষ হাসি ছিল সাডেনডেথে জয়ী আবাহনীর। আজকের জয়-পরাজয় টাইব্রেকারে যাবে কি না কে জানে। তবে ম্যাচটা হয়ে উঠতে পারে আবাহনী বনাম এভারটন!
আবাহনীর সমর্থন করলেও ওই তরুণের চোখে লেগে আছে এভারটনের খেলা। গ্রুপ পর্বে মোহামেডানের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার দেখিয়েছেন তাঁর পায়ের কারুকাজ। দুই গোল করেছেন। ফেনী সকার ম্যাচেও এভারটনের ঝলক দেখেছেন সবাই। আজ আবাহনীর বিপক্ষে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনাল খেলছে ব্রাদার্স, ২৬ বছরের বয়সী সাওপাওলোর তরুণের ওপরই থাকছে মূল আলোটা।
নিম্নমানের বিদেশির ভিড়ে এভারটন যেন ‘গোবরে পদ্মফুল’। নিজের দলের খেলোয়াড় বলেই নয়, ব্রাদার্স কোচ ওয়াসিম ইকবাল কাল বিকেলে অনুশীলনের ফাঁকে প্রশংসামুখর ছিলেন, ‘গত কয়েক বছরে এভারটনের মতো পায়ের কাজ আছে এমন ফুটবলার আসেনি। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের খেলোয়াড় হারিয়েই যাচ্ছিল। এই ছেলেটি ব্যতিক্রম। ওর ড্রিবলিং অসাধারণ। ঠিকমতো বল ছাড়া আবার জায়গায় যাওয়া—সবকিছুই দারুণ।’
এভারটন কি আজকের ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন? ওয়াসিমের মনে কোনো দ্বিধা নেই, ‘অবশ্যই। ওর মানের ফুটবলার যেকোনো ম্যাচই ঘুরিয়ে দিতে পারে। আবাহনীর বিপক্ষে সে আমাদের বড় তাস।’
এভারটনের প্রশংসা করছে আবাহনী শিবিরও। ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস যেমন বললেন, ‘এই খেলোয়াড়টি চোখে পড়েছে আমারও।’ তবে ফুটবল একজনের খেলা নয়’—এই সত্যটাকেই বড় করে দেখছেন আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি, ‘সে ভালো খেলোয়াড়। কিন্তু দলে একজন ভালো খেলোয়াড়ের তকমা পেলেই দলটা ভয়ংকর হয়ে যায় না। আমরা তাই ওদের কোনো বিশেষ খেলোয়াড় নিয়ে আলাদা করে ভাবছি না। দল হিসেবেই আমরা ওদের মুখোমুখি হব।’
এভারটন কতটা কী করতে পারবেন, আজ বিকেল ৫টায় কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু ম্যাচে দেখা যাবে। এভারটন কিন্তু তৈরি। কাল বিকেলে ব্রাদার্স মাঠে অনুশীলনে নামার আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কী ভাবছেন এই ম্যাচ নিয়ে? আপনাকে তো সবাই ভালো ফুটবলার বলছে।’ ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে চটপটে এভারটনের উত্তরে থাকল হাসি, ‘আমি ভালো নই, ভালো হচ্ছে আমাদের দল ব্রাদার্স। আমি গোল না পেলেও সমস্যা নেই। দল গোল পেলেই হলো।’
দলবদলের বাজারে কুড়িয়ে-কাচিয়ে অখ্যাত খেলোয়াড় নিয়ে গতবারের মতো এবারও দল গড়েছে ব্রাদার্স। ২৮ জন বিদেশির ট্রায়াল নিয়ে পছন্দ করেছে ৪ জনকে। এভারটনসহ ব্রাজিলিয়ান দুজন। দুজন আফ্রিকান। একজন তাঁদের পুরোনো খেলোয়াড়—এনক বেনটিল। এই বিদেশিদের ভিড়ে এভারটনই ব্রাদার্সকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছেন। গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই ব্রাদার্স উঠেছে সেমিফাইনালে। পরশু গুরুত্বহীন শেষ ম্যাচটায় এভারটনসহ সেরা একাদশের ৭ জনকে বাইরে রেখে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হেরেছে ০-৩ গোলে।
ওই পরাজয়কে আমলে নিচ্ছেন না ব্রাদার্স কর্মকর্তারা। ২০০৫ সালের পর আবার ফেডারেশন কাপের শিরোপা-স্বপ্নে বিভোর গোটা দল। সাম্প্রতিক সময়ে এতটা আশাবাদী হতে দেখা যায়নি ব্রাদার্সকে। ম্যানেজার আমের খান যেমন বললেন, ‘এভারটনকে পেয়ে আমাদের শক্তি অনেক বেড়েছে। ব্রাদার্স অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রাখে।’
ফেডারেশন কাপ নিয়মিতই দেখেন জাতীয় দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ রবার্ট রুবচিচ। আজকের প্রথম সেমিফাইনালে তাঁর ফেবারিট অবশ্য আবাহনী, ‘আমার মনে হয়, পাওয়ারের দিক থেকে এগিয়ে আবাহনীই।’ এভারটনের প্রসঙ্গে তাঁর কথা, ‘একা একজন খেলোয়াড় কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না।’
আবাহনীর জন্য সুখবর, বরদুলই কাপে নজরকাড়া ঘানাইয়ান মিডফিল্ডার ইউসুফ আমিনুরের ছাড়পত্র এসেছে। আজ তিনি খেলছেন। আমিনুরের সংযুক্তি আবাহনীকে বেশ উজ্জীবিত করে তুলেছে। এ কারণেই ‘প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের নিয়েই ভাবছি আমরা’—বলতে পারেন সত্যজিৎ দাস। ১০ বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তোলার আশা দেখাচ্ছেন কোচ আলী আকবর, ‘একসঙ্গে আক্রমণ এবং একসঙ্গে রক্ষণকাজটা ঠিকভাবে করতে পারলে ফাইনালে ওঠার ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী।’
১৯৯৪ সালে ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি আবাহনী-ব্রাদার্সের লড়াইটা শেষ হয়েছিল রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনায়। গোলশূন্য ম্যাচে শেষ হাসি ছিল সাডেনডেথে জয়ী আবাহনীর। আজকের জয়-পরাজয় টাইব্রেকারে যাবে কি না কে জানে। তবে ম্যাচটা হয়ে উঠতে পারে আবাহনী বনাম এভারটন!
No comments