শেষ আটে মেসির বার্সা
এক নজরে
বার্সেলোনা ৪: ০ স্টুটগার্ট
(দুই লেগ মিলে ৫-১ ব্যবধানে বার্সেলোনা জয়ী)
বোর্দো ২: ১ অলিম্পিয়াকোস
(দুই লেগ মিলে ৩-১ ব্যবধানে বোর্দো জয়ী)
ভিএফবি স্টুটগার্টকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর সংবাদ সম্মেলনে এলেন যে বার্সেলোনা কোচ, তাঁর মুখে উছলে পড়ল গর্বের হাসি, ‘একমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পেরেছে এবং এই অর্জনের জন্য আমি আমার দলকে অভিনন্দন জানাই।’
‘আবারও সেরা আট দলের একটি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাওয়ায় আমরা রোমাঞ্চিত’—আরও বলে যান বার্সেলোনা কোচ। হ্যাঁ, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বার্সেলোনা রোমাঞ্চিত, রোমাঞ্চিত বিশ্ব ক্লাব ফুটবল এবং পরশু রাতে এই রোমাঞ্চ উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার আলোকোজ্জ্বল রাতে লিওঁর পর শেষ আটে উঠেছে ফ্রান্সের আরেক দল বোর্দো। গ্রিসের অলিম্পিয়াকোসকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে। ২০০৪ সালের পর ফ্রান্সের দুটি দল উঠল কোয়ার্টারফাইনালে।
মাত্র দুদিন আগেই ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে। পরের ম্যাচটিতেই আরেকটি হ্যাটট্রিক প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তাঁকে তা পেতে দেননি স্টুটগার্ট গোলকিপার ইয়েন্স লেম্যান দুর্দান্ত দুটি সেভ করে। তবুও মেসির ‘হ্যাটট্রিক’ হলো, অন্যভাবে। বার্সেলোনা প্লে-মেকার নিজে দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন একটি।
প্রথম নিজেদের মাঠে বার্সেলোনাকে ১-১ রুখে দিয়ে স্টুটগার্ট ন্যু ক্যাম্পে এসেছিল আত্মবিশ্বাসে খানিকটা জ্বালানি ভরেই। কিন্তু কোথায় কী! সেই আত্মবিশ্বাস ১৩ মিনিটেই উধাও মেসির গোলে। প্রতিপক্ষের সীমানায় বল পেয়ে মেসি সেই যে সবাইকে স্তম্ভিত করে ছুটলেন, তাঁর বাঁ পায়ের তীব্র শট সেটি শেষ করল লেম্যানকে জায়গায় দাঁড় করিয়ে জালে ঢুকে। ৯ মিনিট পর গোল করেন পেদ্রো, ওটাও মেসির বানিয়ে দেওয়া। ৬০ মিনিটে ওই পেদ্রোর ক্রসে আরও দুরূহ কোণ থেকে মেসি করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ চার ম্যাচে যেটি তাঁর অষ্টম আর মৌসুমের ২৯তম গোল। এই গোলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল স্টুটগার্ট। অসহায় জার্মান দলটির বিপক্ষে ইনিয়েস্তার বদলি বোজান কিরকিচ মাঠে নেমে প্রথম ছোঁয়াতেই করেন গোল। বার্সেলোনা জেতে ৪-০ গোলে, দুই লেগ মিলিয়ে জয়ের ব্যবধান ৫-১। ‘ব্যক্তিগত এবং দলগত নৈপুণ্যে বার্সেলোনা দারুণ শক্তিশালী’—এটা জানতেন স্টুটগার্ট কোচ ক্রিস্টিয়ান গ্রস, কিন্তু ভাবতে পারেননি ন্যু ক্যাম্পে এমন দুর্যোগ তাদের অপেক্ষায় ছিল। তাঁর ধারণা, ‘রিয়াল মাদ্রিদের বিদায়ই তাদের (বার্সেলোনা) জন্য ছিল বাড়তি অনুপ্রেরণা।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের মাঠ বার্নাব্যুতে আগামী ২২ মের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল কি তাহলে বার্সেলোনার জন্য হবে আরও বড় অনুপ্রেরণার? শিরোপা অনেক দূরের পথ। রিয়ালের পর বিদায় হয়েছে সেভিয়ারও। স্পেনের পতাকা বইছে এখন বার্সেলোনাই, এবং আশ্চর্যের ব্যাপার, পুরো স্পেন বার্সার পেছনে নেই। রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো যেমন চান, ‘বার্সেলোনা ফাইনালে না উঠতে পারলেই ভালো লাগবে।’
আজ হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র। হতে পারে শেষ আটে বার্সেলোনা পেয়ে গেল ফ্রান্সের বোর্দোকে, যারা পরশু অলিম্পিয়াকোসকে বিদায় করেছে তাদের ২-১ গোলে হারিয়ে। তিন খেলোয়াড়ের লাল কার্ড দেখা ম্যাচে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা প্রথম এগিয়ে যায় ইওয়ান জোরকাফের ফ্রি-কিকে। বদলি খেলোয়াড় কনস্টান্টিনোস মিত্রোগ্লুর সুযোগসন্ধানী গোলে সমতায় ফেরে গ্রিসের দলটি। মারাওনে চামাখের ৮৮ মিনিটের গোল শেষ আটে তুলে দেয় বোর্দোকে। বোর্দোকেই শেষ আটের দুর্বলতম দল মনে হতে পারে আপাতদৃষ্টিতে। কিন্তু কে জানে, তারাও বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়ে লিওঁর মতো কিছু ঘটিয়ে ফেলবে না! লিওঁকেও দুর্বল মনে হয়েছিল রিয়ালের কাছে। কিন্তু ফ্রান্সের ওই দলটিই কদিন আগে স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে ৯ বারের চ্যাম্পিয়নদের, ফাইনালের আগে বার্নাব্যুকে ঢেকে দিয়েছে ‘শোকের চাদরে’।
তবে এটি সত্যি, বার্সেলোনা যেমন ফর্মের তুঙ্গে, তাদের এড়াতে চাইবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান, আর্সেনাল, লিঁও, বোর্দো, সিএসকেএ মস্কো—সবাই।
বার্সেলোনা ৪: ০ স্টুটগার্ট
(দুই লেগ মিলে ৫-১ ব্যবধানে বার্সেলোনা জয়ী)
বোর্দো ২: ১ অলিম্পিয়াকোস
(দুই লেগ মিলে ৩-১ ব্যবধানে বোর্দো জয়ী)
ভিএফবি স্টুটগার্টকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর সংবাদ সম্মেলনে এলেন যে বার্সেলোনা কোচ, তাঁর মুখে উছলে পড়ল গর্বের হাসি, ‘একমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পেরেছে এবং এই অর্জনের জন্য আমি আমার দলকে অভিনন্দন জানাই।’
‘আবারও সেরা আট দলের একটি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাওয়ায় আমরা রোমাঞ্চিত’—আরও বলে যান বার্সেলোনা কোচ। হ্যাঁ, চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে বার্সেলোনা রোমাঞ্চিত, রোমাঞ্চিত বিশ্ব ক্লাব ফুটবল এবং পরশু রাতে এই রোমাঞ্চ উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার আলোকোজ্জ্বল রাতে লিওঁর পর শেষ আটে উঠেছে ফ্রান্সের আরেক দল বোর্দো। গ্রিসের অলিম্পিয়াকোসকে তারা হারিয়েছে ২-১ গোলে। ২০০৪ সালের পর ফ্রান্সের দুটি দল উঠল কোয়ার্টারফাইনালে।
মাত্র দুদিন আগেই ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে। পরের ম্যাচটিতেই আরেকটি হ্যাটট্রিক প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তাঁকে তা পেতে দেননি স্টুটগার্ট গোলকিপার ইয়েন্স লেম্যান দুর্দান্ত দুটি সেভ করে। তবুও মেসির ‘হ্যাটট্রিক’ হলো, অন্যভাবে। বার্সেলোনা প্লে-মেকার নিজে দুটি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন একটি।
প্রথম নিজেদের মাঠে বার্সেলোনাকে ১-১ রুখে দিয়ে স্টুটগার্ট ন্যু ক্যাম্পে এসেছিল আত্মবিশ্বাসে খানিকটা জ্বালানি ভরেই। কিন্তু কোথায় কী! সেই আত্মবিশ্বাস ১৩ মিনিটেই উধাও মেসির গোলে। প্রতিপক্ষের সীমানায় বল পেয়ে মেসি সেই যে সবাইকে স্তম্ভিত করে ছুটলেন, তাঁর বাঁ পায়ের তীব্র শট সেটি শেষ করল লেম্যানকে জায়গায় দাঁড় করিয়ে জালে ঢুকে। ৯ মিনিট পর গোল করেন পেদ্রো, ওটাও মেসির বানিয়ে দেওয়া। ৬০ মিনিটে ওই পেদ্রোর ক্রসে আরও দুরূহ কোণ থেকে মেসি করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, সব প্রতিযোগিতা মিলে শেষ চার ম্যাচে যেটি তাঁর অষ্টম আর মৌসুমের ২৯তম গোল। এই গোলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল স্টুটগার্ট। অসহায় জার্মান দলটির বিপক্ষে ইনিয়েস্তার বদলি বোজান কিরকিচ মাঠে নেমে প্রথম ছোঁয়াতেই করেন গোল। বার্সেলোনা জেতে ৪-০ গোলে, দুই লেগ মিলিয়ে জয়ের ব্যবধান ৫-১। ‘ব্যক্তিগত এবং দলগত নৈপুণ্যে বার্সেলোনা দারুণ শক্তিশালী’—এটা জানতেন স্টুটগার্ট কোচ ক্রিস্টিয়ান গ্রস, কিন্তু ভাবতে পারেননি ন্যু ক্যাম্পে এমন দুর্যোগ তাদের অপেক্ষায় ছিল। তাঁর ধারণা, ‘রিয়াল মাদ্রিদের বিদায়ই তাদের (বার্সেলোনা) জন্য ছিল বাড়তি অনুপ্রেরণা।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের মাঠ বার্নাব্যুতে আগামী ২২ মের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল কি তাহলে বার্সেলোনার জন্য হবে আরও বড় অনুপ্রেরণার? শিরোপা অনেক দূরের পথ। রিয়ালের পর বিদায় হয়েছে সেভিয়ারও। স্পেনের পতাকা বইছে এখন বার্সেলোনাই, এবং আশ্চর্যের ব্যাপার, পুরো স্পেন বার্সার পেছনে নেই। রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্সেলো যেমন চান, ‘বার্সেলোনা ফাইনালে না উঠতে পারলেই ভালো লাগবে।’
আজ হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র। হতে পারে শেষ আটে বার্সেলোনা পেয়ে গেল ফ্রান্সের বোর্দোকে, যারা পরশু অলিম্পিয়াকোসকে বিদায় করেছে তাদের ২-১ গোলে হারিয়ে। তিন খেলোয়াড়ের লাল কার্ড দেখা ম্যাচে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়নরা প্রথম এগিয়ে যায় ইওয়ান জোরকাফের ফ্রি-কিকে। বদলি খেলোয়াড় কনস্টান্টিনোস মিত্রোগ্লুর সুযোগসন্ধানী গোলে সমতায় ফেরে গ্রিসের দলটি। মারাওনে চামাখের ৮৮ মিনিটের গোল শেষ আটে তুলে দেয় বোর্দোকে। বোর্দোকেই শেষ আটের দুর্বলতম দল মনে হতে পারে আপাতদৃষ্টিতে। কিন্তু কে জানে, তারাও বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়ে লিওঁর মতো কিছু ঘটিয়ে ফেলবে না! লিওঁকেও দুর্বল মনে হয়েছিল রিয়ালের কাছে। কিন্তু ফ্রান্সের ওই দলটিই কদিন আগে স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে ৯ বারের চ্যাম্পিয়নদের, ফাইনালের আগে বার্নাব্যুকে ঢেকে দিয়েছে ‘শোকের চাদরে’।
তবে এটি সত্যি, বার্সেলোনা যেমন ফর্মের তুঙ্গে, তাদের এড়াতে চাইবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান, আর্সেনাল, লিঁও, বোর্দো, সিএসকেএ মস্কো—সবাই।
No comments