ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে ভারত মহাসাগরে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়ায় শত শত বাংকার ব্লাস্টার বোমা জড়ো করা হচ্ছে। গত রোববার সানডে হেরাল্ড-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। পিটিআই, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সানডে হেরাল্ড-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ১০ কনটেইনার গোলাবারুদ নৌঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়ায় পৌঁছে দিতে গত জানুয়ারিতে সুপিরিয়র মেরিটাইম সার্ভিসের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে মার্কিন সরকার। এসব কনটেইনারে ১৯৫ স্মার্ট, গাইডেড ব্লু-১১০ বোমা এবং ১৯২ ব্লু-১১৭ ৯০০ কেজির বোমা রয়েছে। এ বোমাগুলো ভূগর্ভের যেকোনো শক্তিশালী স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম। উল্লেখ্য, ইরান তার প্রধান পরমাণু স্থাপনাগুলো ভূগর্ভে নির্মাণ করেছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর আন্তর্জাতিক দরপত্র-বিষয়ক ওয়েবসাইটে সুপিরিয়র মেরিটাইম সার্ভিস ও মার্কিন সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও কূটনীতি কেন্দ্রের পরিচালক ডান প্লেস বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ইরানকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানের ১০ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মতো অবস্থায় প্রস্তুত রয়েছে।’ ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রস্তুতি বিষয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় সহলেখক হিসেবে কাজ করেন ডান প্লেস। ডান প্লেস আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পরমাণু কর্মসূচিতে নিরুত্সাহিত করতে এ প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা বলা যাবে না। বরং এর মাধ্যমে ইরানকে যুদ্ধের জন্য উসকে দেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কবে বা কখন ইরানের ওপর আক্রমণ চালানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ইসরায়েল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে তাদের আগের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করেনি, আবার আলোচনার পথও খোলা রেখেছে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী না হতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য আমরা ইরানের ওপর কঠিন অবরোধ আরোপের চেষ্টা করছি। ইরান পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হলে মধ্যপ্রাচ্যেও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। তবে আমরা আলোচনা পথও খোলা রেখেছি।’
সানডে হেরাল্ড-এর এ প্রতিবেদনের বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ১০০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত দিয়েগো গার্সিয়ার মালিকানা ব্রিটেনের। ১৯৭১ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিবলে তা সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, এ ঘাঁটি থেকে যেকোনো হামলা চালাতে তাদের অনুমোদন লাগবে। তবে এর আগে ১৯৯১ ও ২০০৩ সালে ইরাকের ওপর হামলার সময় এ ঘাঁটি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র। দিয়েগো গার্সিয়ায় ৫০ জন ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা ও তিন হাজার ২০০ মার্কিন সেনা রয়েছে।
সানডে হেরাল্ড-এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ১০ কনটেইনার গোলাবারুদ নৌঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়ায় পৌঁছে দিতে গত জানুয়ারিতে সুপিরিয়র মেরিটাইম সার্ভিসের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে মার্কিন সরকার। এসব কনটেইনারে ১৯৫ স্মার্ট, গাইডেড ব্লু-১১০ বোমা এবং ১৯২ ব্লু-১১৭ ৯০০ কেজির বোমা রয়েছে। এ বোমাগুলো ভূগর্ভের যেকোনো শক্তিশালী স্থাপনা ধ্বংস করতে সক্ষম। উল্লেখ্য, ইরান তার প্রধান পরমাণু স্থাপনাগুলো ভূগর্ভে নির্মাণ করেছে।
মার্কিন নৌবাহিনীর আন্তর্জাতিক দরপত্র-বিষয়ক ওয়েবসাইটে সুপিরিয়র মেরিটাইম সার্ভিস ও মার্কিন সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষা ও কূটনীতি কেন্দ্রের পরিচালক ডান প্লেস বলেন, ‘তারা (যুক্তরাষ্ট্র) ইরানকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানের ১০ হাজার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মতো অবস্থায় প্রস্তুত রয়েছে।’ ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রস্তুতি বিষয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় সহলেখক হিসেবে কাজ করেন ডান প্লেস। ডান প্লেস আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে পরমাণু কর্মসূচিতে নিরুত্সাহিত করতে এ প্রস্তুতি নিচ্ছে, তা বলা যাবে না। বরং এর মাধ্যমে ইরানকে যুদ্ধের জন্য উসকে দেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কবে বা কখন ইরানের ওপর আক্রমণ চালানো হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র ইসরায়েল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রসঙ্গে তাদের আগের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর সম্ভাবনা নাকচ করেনি, আবার আলোচনার পথও খোলা রেখেছে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী না হতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ জন্য আমরা ইরানের ওপর কঠিন অবরোধ আরোপের চেষ্টা করছি। ইরান পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হলে মধ্যপ্রাচ্যেও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। তবে আমরা আলোচনা পথও খোলা রেখেছি।’
সানডে হেরাল্ড-এর এ প্রতিবেদনের বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ১০০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত দিয়েগো গার্সিয়ার মালিকানা ব্রিটেনের। ১৯৭১ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিবলে তা সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, এ ঘাঁটি থেকে যেকোনো হামলা চালাতে তাদের অনুমোদন লাগবে। তবে এর আগে ১৯৯১ ও ২০০৩ সালে ইরাকের ওপর হামলার সময় এ ঘাঁটি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র। দিয়েগো গার্সিয়ায় ৫০ জন ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা ও তিন হাজার ২০০ মার্কিন সেনা রয়েছে।
No comments