ফেরদৌসের ভিসা বাতিল, ভারত ছাড়ার নির্দেশ by পরিতোষ পাল
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌসকে নিয়ে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ভিসা বাতিল করে তাকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে ভারত। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেরদৌসকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ফেরদৌস আহমেদের ভিসা সংক্রান্ত আচরণ লঙ্গনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ভিসা বাতিল করেছে। তাকে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ফেরদৌসকে সোমবার রাতেই ঢাকায় ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তৌফিক হাসান নিজে ফেরদৌসকে ফোন করে দেশে ফিরে যেতে বলেছেন বলে উপ-হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে। ফেরদৌস হাইকমিশনকে বলেছেন, তিনি সেখানে একটি ছবির শুটিং করতে গিয়েছিলেন।
পরে সেখানকার প্রার্থীর অনুরোধে রোড শোতে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসানকেও দেশে থাকতে বলা হয়েছে। অভিনেতা ফেরদৌসের অন্য দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানো হয়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা জানি যে, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারে না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাদেশি নাগরিককে (ফেরদৌসকে) নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করে আইন ভঙ্গ করেছে। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতা ভিসা নীতি ভঙ্গ করার অভিযোগে ফেরদৌসকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন।
গত রোববার ও সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত রোড শোতে রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ ও করণদিঘীতে ফেরদৌস টালিগঞ্জের আরো কয়েকজন সহ-অভিনেতার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এই খবর প্রকাশে আসতেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কলকাতায় ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিসে ফেরদৌসের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়েছে, তার ভিসা সংক্রান্ত সব তথ্য। ভারতে সফরে এসে স্থানীয় ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিসে তা জানানো বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, ফেরদৌস বিজনেস ভিসা নিয়েই কলকাতায় এসেছিলেন। তিনি নিয়মিতই কলকাতায় আসা যাওয়া করেন। তবে, নির্বাচনী প্রচারের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি কোনো অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন নি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি টালিগঞ্জের অনেক ছবিতে ফেরদৌস নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের মতো এপার বাংলাতেও তিনি সমান জনপ্রিয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রায়গঞ্জ কেন্দ্রের ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়েই ফেরদৌসের জনপ্রিয়তাকে প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে। গত রোববারই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ভারতের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিভাবে বিদেশি নাগরিককে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রোড শো করাচ্ছে? আমি এরকম আগে শুনিনি। আগামীকাল হয়তো আমাদের মমতা ব্যানার্জি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য ডাকতে পারেন। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। এদিকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক করুণাময়ী রাণী রাসমনির অভিনেতা বাংলাদেশের নূরকে নিয়েও অনুরূপ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নূরও কয়েকদিন আগে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্র্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তৌফিক হাসান নিজে ফেরদৌসকে ফোন করে দেশে ফিরে যেতে বলেছেন বলে উপ-হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে। ফেরদৌস হাইকমিশনকে বলেছেন, তিনি সেখানে একটি ছবির শুটিং করতে গিয়েছিলেন।
পরে সেখানকার প্রার্থীর অনুরোধে রোড শোতে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের অভিনেত্রী জয়া আহসানকেও দেশে থাকতে বলা হয়েছে। অভিনেতা ফেরদৌসের অন্য দেশের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানো হয়। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা জানি যে, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিদেশি নাগরিক অংশ নিতে পারে না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাদেশি নাগরিককে (ফেরদৌসকে) নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করে আইন ভঙ্গ করেছে। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতা ভিসা নীতি ভঙ্গ করার অভিযোগে ফেরদৌসকে গ্রেপ্তারের দাবিও জানিয়েছেন।
গত রোববার ও সোমবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত রোড শোতে রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ ও করণদিঘীতে ফেরদৌস টালিগঞ্জের আরো কয়েকজন সহ-অভিনেতার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন। এই খবর প্রকাশে আসতেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কলকাতায় ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিসে ফেরদৌসের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। জানতে চাওয়া হয়েছে, তার ভিসা সংক্রান্ত সব তথ্য। ভারতে সফরে এসে স্থানীয় ফরেন রেজিস্ট্রেশন অফিসে তা জানানো বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, ফেরদৌস বিজনেস ভিসা নিয়েই কলকাতায় এসেছিলেন। তিনি নিয়মিতই কলকাতায় আসা যাওয়া করেন। তবে, নির্বাচনী প্রচারের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি কোনো অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন নি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি টালিগঞ্জের অনেক ছবিতে ফেরদৌস নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। বাংলাদেশের মতো এপার বাংলাতেও তিনি সমান জনপ্রিয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রায়গঞ্জ কেন্দ্রের ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়েই ফেরদৌসের জনপ্রিয়তাকে প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছে। গত রোববারই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ভারতের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিভাবে বিদেশি নাগরিককে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রোড শো করাচ্ছে? আমি এরকম আগে শুনিনি। আগামীকাল হয়তো আমাদের মমতা ব্যানার্জি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য ডাকতে পারেন। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। এদিকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক করুণাময়ী রাণী রাসমনির অভিনেতা বাংলাদেশের নূরকে নিয়েও অনুরূপ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নূরও কয়েকদিন আগে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্র্থী সৌগত রায়ের সমর্থনে প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন।
No comments