চেচনিয়ায় সমকামীদের ওপর দমনপীড়নের অভিযোগ
চেচনিয়ায়
সমকামীদের বিরুদ্ধে নতুন করে দমনপীড়ন শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়ার
অধিকারকর্মীরা। তারা বলছেন, ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন সমকামীকে
আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে নির্যাতনে দু’জন মারা গেছেন। তবে এমন অভিযোগ
অস্বীকার করেছে সরকার। তারা বলেছে, এ অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এ খবর দিয়েছে
অনলাইন বিবিসি।
২০১৭ সালে চেচনিয়ায় আটক করা হয় কয়েক ডজন সমকামীকে। এরপর থেকেই মুসলিম অধ্যুষিত ওই রাশিয়ার এই প্রদেশটিতে সমকামীদের বিষয়ে নজরদারি করে আসছে দ্য রাশিয়ান এলজিবিটি নেটওয়ার্ক।
তাদের ওই অভিযোগের জবাবে চেচনিয়া ও এর নেতা রমজান কাদিরভ অব্যাহতভাবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বলছেন, অবৈধভাবে কাউকে আটক করা হয় নি। লঙ্ঘন করা হয় নি মানবাধিকার। গত বছর তিনি বিবিসিকে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, এমন অভিযোগ করা হচ্ছে বিদেশী এজেন্টদের মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে তারা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় অথবা অর্থ চায় এমন অধিকারকর্মীরা এমন অভিযোগ সৃষ্টি করছে। তিনি ও তার সরকারের অন্য নেতারা বার বার বলে আসছেন চেচনিয়ায় মোটেও কোনো সমকামী নেই।
তবে সরকারি এমন প্রত্যাখ্যানের মধ্যেও কয়েক ডজন মানুষ সামনে এগিয়ে এসেছেন এবং অভিযোগ করেছেন তাদেরকে তাদের যৌন জীবন যাপন পদ্ধতির কারণে আটক করে নির্যাতন করেছে কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগের পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে।
দ্য রাশিয়ান এলজিবিটি নেটওয়ার্ক সোমবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে সমকামীদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সমকামীদের সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক একটি নেটওয়ার্কের একজন প্রশাসককে গ্রেপ্তারের পর এমন ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা মনে করছে, গ্রোজনি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আরগুন নামে একটি বন্দিশিবিরে সম্প্রতি আটক করা কয়েক ডজন সমকামীকে রাখা হয়েছে।
মস্কো টাইমসকে দ্য রাশিয়ান এলজিবিটি নেটওয়ার্কের প্রধান ইগর কোচেতকোভ বলেছেন, এখন আটক সমকামীদের ভ্রমণের সব ডকুমেন্টও কেড়ে নিচ্ছে পুলিশ। এটা করা হচ্ছে যাতে তারা দেশের বাইরে যেতে না পারে। এমন নির্যাতন শুরু হওয়ার পর ওই এলাকা ছাড়তে তার সংগঠন ১৫০ জনকে সহযোগিতা করেছে।
এই সংগঠনটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, সম্প্রতি নির্যাতনে আটক দু’জন ব্যক্তির যে মৃত্যু হয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। আছে এর প্রত্যক্ষদর্শীও।
২০১৭ সালে চেচনিয়ায় আটক করা হয় কয়েক ডজন সমকামীকে। এরপর থেকেই মুসলিম অধ্যুষিত ওই রাশিয়ার এই প্রদেশটিতে সমকামীদের বিষয়ে নজরদারি করে আসছে দ্য রাশিয়ান এলজিবিটি নেটওয়ার্ক।
তাদের ওই অভিযোগের জবাবে চেচনিয়া ও এর নেতা রমজান কাদিরভ অব্যাহতভাবে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। বলছেন, অবৈধভাবে কাউকে আটক করা হয় নি। লঙ্ঘন করা হয় নি মানবাধিকার। গত বছর তিনি বিবিসিকে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, এমন অভিযোগ করা হচ্ছে বিদেশী এজেন্টদের মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে তারা পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় অথবা অর্থ চায় এমন অধিকারকর্মীরা এমন অভিযোগ সৃষ্টি করছে। তিনি ও তার সরকারের অন্য নেতারা বার বার বলে আসছেন চেচনিয়ায় মোটেও কোনো সমকামী নেই।
তবে সরকারি এমন প্রত্যাখ্যানের মধ্যেও কয়েক ডজন মানুষ সামনে এগিয়ে এসেছেন এবং অভিযোগ করেছেন তাদেরকে তাদের যৌন জীবন যাপন পদ্ধতির কারণে আটক করে নির্যাতন করেছে কর্তৃপক্ষ। এমন অভিযোগের পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে।
দ্য রাশিয়ান এলজিবিটি নেটওয়ার্ক সোমবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে সমকামীদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সমকামীদের সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক একটি নেটওয়ার্কের একজন প্রশাসককে গ্রেপ্তারের পর এমন ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা মনে করছে, গ্রোজনি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে আরগুন নামে একটি বন্দিশিবিরে সম্প্রতি আটক করা কয়েক ডজন সমকামীকে রাখা হয়েছে।
মস্কো টাইমসকে দ্য রাশিয়ান এলজিবিটি নেটওয়ার্কের প্রধান ইগর কোচেতকোভ বলেছেন, এখন আটক সমকামীদের ভ্রমণের সব ডকুমেন্টও কেড়ে নিচ্ছে পুলিশ। এটা করা হচ্ছে যাতে তারা দেশের বাইরে যেতে না পারে। এমন নির্যাতন শুরু হওয়ার পর ওই এলাকা ছাড়তে তার সংগঠন ১৫০ জনকে সহযোগিতা করেছে।
এই সংগঠনটির একজন মুখপাত্র বলেছেন, সম্প্রতি নির্যাতনে আটক দু’জন ব্যক্তির যে মৃত্যু হয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। আছে এর প্রত্যক্ষদর্শীও।
No comments