ভয়াবহ এক পরাজয় বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর
ব্রেক্সিট
ইস্যুতে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মুখে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ইউরোপিয়
ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পাদিত তার ব্রেক্সিট চুক্তি মঙ্গলবার রাতে বৃটিশ
পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ হাউস অব কমন্সে মারাত্মক পরাজয়ের শিকার হয়েছে। একে
ক্ষমতাসীন একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য হাউস অব কমন্সে সবচেয়ে বড় আঘাত হিসেবে
আখ্যায়িত করা হয়েছে। এর ফলে তেরেসা মে তিন দিনের সময় পাবেন। এর মধ্যেই
তাকে ‘প্লান-বি’ নিয়ে এগুতে হবে। তবে বিরোধী লেবার নেতা জেরেমি করবিন তার
সরকারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্যোগ শুরু করেছেন। তিনি তেরেসা
মে’র বিরুদ্ধে উত্থাপন করেছেন অনাস্থা প্রস্তাব। শুধু যে বিরোধী দল থেকে
তেরেসা মের ব্রেক্সিট চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে তা নয়।
তার নিজের দল কনজার্ভেটিভ পার্টির মোট ১১৮ জন এমপি তেরেসা মে’র বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এতে ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত বিব্রত, হতাশ। লন্ডনের অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, এতে ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে শকওয়েভ বা হতাশার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। আর সমালোচকরা তেরেসা মে’র সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তিকে দেখছেন মৃত হিসেবে। অনলাইন বিবিসি লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তিটি ২৩০ ভোটের বিশাল ভোটের ব্যবধানে নাকচ করে দিয়েছেন বৃটিশ এমপিরা। এই প্রথম দেশটির কোন ক্ষমতাসীন সরকার পার্লামেন্টে এত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হলো।
প্রস্তাবটি বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩২জন সংসদ সদস্য, যেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০২ জন। ২৯শে মার্চের মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল ওই চুক্তিতে। লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন এখন সরকারের ওপর একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যা দেশটিতে একটি সাধারণ নির্বাচনে গড়াতে পারে।
তেরেসা মে জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবের বিষয়ে বুধবার তিনি বিতর্কে অংশ নিতে পারেন। ওদিকে জেরেমি করবিন বলছেন, এই সরকারের পরিষ্কার অদক্ষতার ব্যাপারে কমন্স সদস্যদের মতামত জানানোর সুযোগ করে দেবে এই আস্থা ভোট। তবে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে, আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে তারা মিসেস মে’কে সমর্থন করবেন। সংসদ সদস্যরা যদি অনাস্থা ভোট সমর্থন করেন, তাহলে সরকার বা অন্য কেউ যে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন, তাদের পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে আরেকটি আস্থা ভোটে বিজয়ী হতে হবে। সেটি না হলে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোটাভুটিতে নিজের কনজার্ভেটিভ পার্টির ১১৮ জন এমপি বিরোধী দলের সঙ্গে মিসেস মে’র চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সাধারণ ক্ষেত্রে এ ধরণের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের ওপর বিশাল পরাজয়ের পর আশা করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। তবে ভোটাভুটির পরেই তেরেসা মে আভাস দিয়েছেন যে, তিনি সরকার পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন। তিনি সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, হাউস তাদের মতামত দিয়েছে এবং সরকার সেটি শুনবে।
সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিটের বিষয়ে করণীয় ঠিক করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ওদিকে ভোটের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক বৃটিশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যাতে তারা যত দ্রুত সম্ভব ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়টি পরিষ্কার করে।
তার নিজের দল কনজার্ভেটিভ পার্টির মোট ১১৮ জন এমপি তেরেসা মে’র বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এতে ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত বিব্রত, হতাশ। লন্ডনের অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, এতে ইংলিশ চ্যানেলজুড়ে শকওয়েভ বা হতাশার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। আর সমালোচকরা তেরেসা মে’র সম্পাদিত ব্রেক্সিট চুক্তিকে দেখছেন মৃত হিসেবে। অনলাইন বিবিসি লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তিটি ২৩০ ভোটের বিশাল ভোটের ব্যবধানে নাকচ করে দিয়েছেন বৃটিশ এমপিরা। এই প্রথম দেশটির কোন ক্ষমতাসীন সরকার পার্লামেন্টে এত বড় পরাজয়ের মুখোমুখি হলো।
প্রস্তাবটি বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৪৩২জন সংসদ সদস্য, যেখানে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০২ জন। ২৯শে মার্চের মধ্যে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের বেরিয়ে যাওয়ার শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল ওই চুক্তিতে। লেবার পার্টি নেতা জেরেমি করবিন এখন সরকারের ওপর একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যা দেশটিতে একটি সাধারণ নির্বাচনে গড়াতে পারে।
তেরেসা মে জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবের বিষয়ে বুধবার তিনি বিতর্কে অংশ নিতে পারেন। ওদিকে জেরেমি করবিন বলছেন, এই সরকারের পরিষ্কার অদক্ষতার ব্যাপারে কমন্স সদস্যদের মতামত জানানোর সুযোগ করে দেবে এই আস্থা ভোট। তবে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে, আস্থা ভোটের ক্ষেত্রে তারা মিসেস মে’কে সমর্থন করবেন। সংসদ সদস্যরা যদি অনাস্থা ভোট সমর্থন করেন, তাহলে সরকার বা অন্য কেউ যে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন, তাদের পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে আরেকটি আস্থা ভোটে বিজয়ী হতে হবে। সেটি না হলে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ভোটাভুটিতে নিজের কনজার্ভেটিভ পার্টির ১১৮ জন এমপি বিরোধী দলের সঙ্গে মিসেস মে’র চুক্তির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সাধারণ ক্ষেত্রে এ ধরণের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের ওপর বিশাল পরাজয়ের পর আশা করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন। তবে ভোটাভুটির পরেই তেরেসা মে আভাস দিয়েছেন যে, তিনি সরকার পরিচালনা অব্যাহত রাখবেন। তিনি সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, হাউস তাদের মতামত দিয়েছে এবং সরকার সেটি শুনবে।
সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিটের বিষয়ে করণীয় ঠিক করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ওদিকে ভোটের ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক বৃটিশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যাতে তারা যত দ্রুত সম্ভব ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়টি পরিষ্কার করে।
No comments