সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্তে জাতিসংঘ প্যানেল চূড়ান্ত
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সময় উভয় পক্ষের সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের ঘটনা তদন্তে আন্তর্জাতিক কমিশন চূড়ান্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল। হামাস এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও ইসরায়েল নিন্দা জানিয়েছে। এদিকে দ্বিতীয় দফা ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি টিকে থাকার সুবাদে কায়রোতে আবার শুরু হয়েছে পরোক্ষ আলোচনা। খবর এএফপি ও রয়টার্সের। কানাডার আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক উইলিয়াম শাবাসকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক প্যানেলের প্রধান করা হয়েছে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্ত দলটি ১৩ জুন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে ‘সংঘটিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সব ধরনের লঙ্ঘনের ঘটনা’ তদন্ত করবে। তদন্ত প্যানেলকে ২০১৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
গাজা শাসনকারী হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি বলেন, তাঁরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন। অন্যদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগাল পালমোর বলেন, ‘ক্যাঙারু আদালত’-এ তদন্ত কী হবে তা আগেই নির্ধারণ করা আছে। কায়রো আলোচনা: প্রতিবেশী দেশ মিসরের কায়রোতে শুরু হয়েছে পরোক্ষ আলোচনা। মিসরের মধ্যস্থতায় চলা এ আলোচনার লক্ষ্য হচ্ছে গাজায় একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি। তবে কায়রোতে ইসরায়েলি একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, এখন পর্যন্ত আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। সংঘাতের ইতি ঘটাতে এখনো অনেক পথ হাঁটতে হবে। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বলেন, সোমবার প্রথম দিনের আলোচনা প্রায় ১০ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ আলোচনাকে তিনি বর্ণনা করেন ‘আন্তরিক’ হিসেবে। তবে মঙ্গলবারের (গতকাল) আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments