২০১১ সালে জেল পালানোর দায়ে মুরসির বিচার হবে
মিসরের সাবেক একনায়ক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অভ্যুত্থানের সময় ওয়াদি এল নাতরুণ কারাগার ভেঙে পালানোর দায়ে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিচার হবে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও অন্য একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে সন্ত্রাসী জোট তৈরি করায় তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার প্রসিকিউশন সূত্র এ কথা জানায়। খবর এএফপির। রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন আল-আহরাম সংবাদপত্র তাদের ওয়েবসাইটের খবরে জানায়, ফিলিস্তিনের জঙ্গি গ্র“প হামাসের সদস্যসহ শতাধিক বন্দির সঙ্গে মুরসির বিচার হবে। মুরসি ছাড়াও মুসলিম ব্রাদারহুডের আরও ১৩২ নেতাকর্মীকে একই দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মুরসির বিরুদ্ধে এর আগে হত্যা ও সহিংসতার অভিযোগ আনে সামরিক জান্তার সমর্থনপুষ্ট আইনজীবীরা।
সন্ত্রাসবাদের যে নতুন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত হয়েছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। সরকারি আইনজীবীরা বলছেন, এটি মিসরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। তবে এ মামলায় মুরসি ন্যায়বিচার পাবেন কিনা সে ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সাবেক এই প্রেসিডেন্টের সমর্থক ব্রাদরহুড কর্মীরা অভিযোগ করছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। গত জুলাই মাসের গোড়ার দিকে মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মুসলিম ব্রাদারহুড কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া বিক্ষোভরত জনতার ওপর সেনা বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহত হয় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুডের সর্বোচ্চ নেতা মুহাম্মাদ বাদীসহ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বুধবার আনীত এ অভিযোগে বলা হয়েছিল, কিছু বিদেশী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে এসব নেতা রাষ্ট্রের গোপন তথ্য তুলে দিয়েছেন।
No comments