দেবযানীর শাস্তি দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ
দেবযানী খোবরাগাড়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কর্মীরা। তারা ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্ক, সানফ্রান্সিসকো এবং ওয়াশিংটনে ভারতীয় কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানান। ‘ন্যাশনাল ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স এলায়েন্স’ আয়োজিত এ বিক্ষোভ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হংকং এবং ভারতেও মানববন্ধন করেছেন গৃহকর্মীরা।
নিউইয়র্কের বিক্ষোভে স্লোগান ছিল ‘ডিপ্লম্যাট ইম্যুনিটি-উই স্যা একাউন্টেবিলিটি, ‘ওয়ার্কার্স আর আন্ডার এটাক-স্ট্যান্ড আপ ফাইট ব্যাক, ‘দ্য পিপল ইউনাইটেড-উইল নেভার বি ডিফিটেড, ‘ডিগনিটি ইয়েস-স্লেভারি নো, ‘ফ্রি ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স-অ্যান্ড দ্য স্লেভারি, ‘হুয়াট ডু উই ওয়ান্ট-জাস্টিস জাস্টিস, ‘ওয়ার্কার্স রাইটস আর হিউম্যান রাইটস, ‘জাস্টিস ফর ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স, ‘ডাজ ইম্যুনিটি প্রটেক্ট হিউম্যান রাইটস ভায়োলেটর, ‘নো টু লেবার ট্রাফিকিং-নো টু মডার্ন স্লেভারি’, ইত্যাদি। নিউইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্ক সংলগ্ন ভারতীয় কন্স্যুলেটের সামনের এ বিক্ষোভে ৬০ জনের মতো মহিলা অংশ নিলেও সে সংবাদ কভার করতে জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক টিভি ও সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও ক্যামেরা ম্যান। বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, ফিলিপাইন, পাকিস্তান এবং মধ্য আমেরিকার কয়েকটি দেশের গৃহকর্মী এবং মানবাধিকার নিয়ে কর্মরতরা এতে অংশ নেন। এ সময় ভারতীয় কন্স্যুলেটের উপ-প্রধান দেবযানী খোবরাগাড়ের মিথ্যাচারের সমালোচনা করা হয়। অভিযোগ করা হয় যে, দেবযানীর বাসায় কাজের চুক্তির সময় গৃহকর্মী সঙ্গীতা রিচার্ডকে ঘণ্টায় পৌনে ১০ ডলার করে বেতন দেয়ার অঙ্গীকার করা হলেও বাস্তবে দেয়া হয় ৩.৩১ ডলার করে। এভাবে সঙ্গীতাকে ঠকানো হয়েছে দিনের পর দিন।
তার পাসপোর্ট আটক রাখা হয় এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বক্তারা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত সংস্থা এবং নিউইয়র্কের ইউএস অ্যাটর্নি প্রিত ভ্যারারার প্রশংসা করে বলেন, তারা ন্যায়-নিষ্ঠভাবে সঙ্গীতার অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়েই তারা দেবযানীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কারাগারে প্রবেশের সময় তার দেহ তল্লাশি করা হয়। বক্তারা বলেন, কূটনৈতিক সুবিধায় কি উল্লেখ রয়েছে যে, কারও সঙ্গে প্রতারণা এবং দুর্ব্যবহার করলেও তা বিচারের আওতায় আসবে না? বক্তারা অভিযোগ করেন যে, সঙ্গীতার আÍীয়স্বজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সঙ্গীতাকেও ভারতে ফিরিয়ে নেয়ার তৎপরতা চলছে। কিন্তু মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঙ্গীতাকে যেন নিউইয়র্কের বাইরে নেয়া না হয় সে দাবি জানান বক্তারা। এ অবস্থায় সঙ্গীতাকে ভারতে পাঠিয়ে দিলে তার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। মানববন্ধনের সঞ্চালক ইয়োমারা ভেলেজ জানান, গৃহকর্মী সঙ্গীতার সমর্থনে ক্যালিফোর্নিয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও ভারত ও হংকং-এ মানববন্ধন হয়েছে সঙ্গীতার সঙ্গে প্রতারণা ও দুর্ব্যবহারের বিচার দাবিতে। রয়টার্স, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments