পাকিস্তানকে সমীহ পন্টিংয়ের
এভাবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়াকেই রক্তচক্ষু দেখানো—গত দেড় দশকের অস্ট্রেলীয় ‘একদলীয়’ শাসন বিবেচনায় ক্রিকেট-বিশ্বে নতুন ঘটনাই। গত সিরিজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘জিততে চাই’ ঘোষণা দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়াতে পা রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াইয়ের সাক্ষী হওয়া পাকিস্তান দলও পাচ্ছে বাড়তি প্রেরণা। যে প্রেরণা থেকে অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফও জানাচ্ছেন, অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের কাজটা এবারই সেরে ফেলতে চান।
ওদিকে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা দেখুন। চিরকালই মাঠের লড়াই শুরুর আগে কথার লড়াই দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করার চিরাচরিত প্রথা থেকে সরে এসে রিকি পন্টিং একদম উল্টো অবস্থানে। এই পাকিস্তানকে যে সমীহ পাচ্ছেন, সে কথা ঠারেঠোরে জানিয়েই দিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।
পাকিস্তানকে সমীহ করার মূলে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্যে, ‘আমরা জানি, ওরা খুবই বিপজ্জনক দল। ওদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণটা আবারও সুসংগঠিত হয়েছে। তরুণ বাঁহাতি বোলারটি (মোহাম্মদ আমির) তো বেশ মনে ধরার মতো। মোহাম্মদ আসিফ আবার দলে ফিরেছে। উমর গুলও ভালো বোলার। কানেরিয়াও বিশ্বমাপের স্পিনার। আজমলও। এই সিরিজে মেলবোর্ন আর সিডনিতে ম্যাচ আছে। তাই একটা ভয়ংকর বোলিং আক্রমণের যে মুখোমুখি হতে হবে আমাদের—তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
বোলিং আক্রমণের কথা আগে বললেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদেরও অগ্রাহ্য করছেন না পন্টিং, ‘পুরো দলটার ওপর চোখ বোলালে আপনি দেখবেন, ওদের বেশ কিছু ব্যতিক্রমী খেলোয়াড় আছে। তাই একটা দল হিসেবে ওরা খেলতে পারলে আমাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।’
দুদলের পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে, এতটা আতঙ্কগ্রস্ত পন্টিং না হলেও পারেন। অস্ট্রেলিয়ায় ২৯ টেস্ট খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছে পাকিস্তান। ঘরে-বাইরে মিলিয়ে হেরেছে সর্বশেষ নয় টেস্টের প্রতিটাই। সর্বশেষ ১৭ টেস্টের মধ্যে জিতেছে মাত্র একটি। সেই জয়টাও আবার ১৪ বছর আগের ঘটনা। গত ১৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো সিরিজই জেতেনি তারা। অবশ্য সেই অস্ট্রেলিয়া আর এই অস্ট্রেলিয়া দল এক নয়। কারণ গত প্রায় পাঁচ বছরে টেস্টে এই দুদল মুখোমুখিই হয়নি। যে সময়টায় অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে তাদের সেরা খেলোয়াড়দের।
নিউজিল্যান্ড সফরে ১-১-এ ড্র করে অস্ট্রেলিয়ায় আসা পাকিস্তান তাই এটাকে তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ মনে করছে। পাঁচ বছর আগে এই অস্ট্রেলিয়াতেই প্রথম টেস্ট নেতৃত্বের স্বাদ পাওয়া ইউসুফ স্বপ্ন দেখছেন, অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা প্রথম পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবেও ইতিহাসে ঠাঁই পাবে তাঁর নাম।
যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে প্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান, তারা আরও একটি উপকার করে গেছে তাদের। কেমার রোচের আঘাতে আহত পন্টিং বক্সিং ডে টেস্টে খেলবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ঘোষিত ১৩ জনের দলে পন্টিংকে রাখা হলেও সংশয়ের কারণেই তাঁর বিকল্প হিসেবে দলে রাখা হয়েছে ফিলিপ হিউজকেও। তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
অস্ট্রেলিয়া দল: শেন ওয়াটসন, সাইমন ক্যাটিচ, ফিলিপ হিউজ, রিকি পন্টিং (অধিনায়ক), মাইক হাসি, মাইকেল ক্লার্ক, মার্কাস নর্থ, ব্র্যাড হাডিন, মিচেল জনসন, নাথান হরিজ, পিটার সিডল, ক্লিন্ট ম্যাকে ও ডগ বলিঞ্জার।
ওদিকে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা দেখুন। চিরকালই মাঠের লড়াই শুরুর আগে কথার লড়াই দিয়ে প্রতিপক্ষকে কাবু করার চিরাচরিত প্রথা থেকে সরে এসে রিকি পন্টিং একদম উল্টো অবস্থানে। এই পাকিস্তানকে যে সমীহ পাচ্ছেন, সে কথা ঠারেঠোরে জানিয়েই দিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক।
পাকিস্তানকে সমীহ করার মূলে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্যে, ‘আমরা জানি, ওরা খুবই বিপজ্জনক দল। ওদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণটা আবারও সুসংগঠিত হয়েছে। তরুণ বাঁহাতি বোলারটি (মোহাম্মদ আমির) তো বেশ মনে ধরার মতো। মোহাম্মদ আসিফ আবার দলে ফিরেছে। উমর গুলও ভালো বোলার। কানেরিয়াও বিশ্বমাপের স্পিনার। আজমলও। এই সিরিজে মেলবোর্ন আর সিডনিতে ম্যাচ আছে। তাই একটা ভয়ংকর বোলিং আক্রমণের যে মুখোমুখি হতে হবে আমাদের—তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
বোলিং আক্রমণের কথা আগে বললেও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদেরও অগ্রাহ্য করছেন না পন্টিং, ‘পুরো দলটার ওপর চোখ বোলালে আপনি দেখবেন, ওদের বেশ কিছু ব্যতিক্রমী খেলোয়াড় আছে। তাই একটা দল হিসেবে ওরা খেলতে পারলে আমাদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।’
দুদলের পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে, এতটা আতঙ্কগ্রস্ত পন্টিং না হলেও পারেন। অস্ট্রেলিয়ায় ২৯ টেস্ট খেলে মাত্র ৪টিতে জিতেছে পাকিস্তান। ঘরে-বাইরে মিলিয়ে হেরেছে সর্বশেষ নয় টেস্টের প্রতিটাই। সর্বশেষ ১৭ টেস্টের মধ্যে জিতেছে মাত্র একটি। সেই জয়টাও আবার ১৪ বছর আগের ঘটনা। গত ১৫ বছরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো সিরিজই জেতেনি তারা। অবশ্য সেই অস্ট্রেলিয়া আর এই অস্ট্রেলিয়া দল এক নয়। কারণ গত প্রায় পাঁচ বছরে টেস্টে এই দুদল মুখোমুখিই হয়নি। যে সময়টায় অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে তাদের সেরা খেলোয়াড়দের।
নিউজিল্যান্ড সফরে ১-১-এ ড্র করে অস্ট্রেলিয়ায় আসা পাকিস্তান তাই এটাকে তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ মনে করছে। পাঁচ বছর আগে এই অস্ট্রেলিয়াতেই প্রথম টেস্ট নেতৃত্বের স্বাদ পাওয়া ইউসুফ স্বপ্ন দেখছেন, অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জেতা প্রথম পাকিস্তানি অধিনায়ক হিসেবেও ইতিহাসে ঠাঁই পাবে তাঁর নাম।
যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে প্রেরণা খুঁজছে পাকিস্তান, তারা আরও একটি উপকার করে গেছে তাদের। কেমার রোচের আঘাতে আহত পন্টিং বক্সিং ডে টেস্টে খেলবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ঘোষিত ১৩ জনের দলে পন্টিংকে রাখা হলেও সংশয়ের কারণেই তাঁর বিকল্প হিসেবে দলে রাখা হয়েছে ফিলিপ হিউজকেও। তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট।
অস্ট্রেলিয়া দল: শেন ওয়াটসন, সাইমন ক্যাটিচ, ফিলিপ হিউজ, রিকি পন্টিং (অধিনায়ক), মাইক হাসি, মাইকেল ক্লার্ক, মার্কাস নর্থ, ব্র্যাড হাডিন, মিচেল জনসন, নাথান হরিজ, পিটার সিডল, ক্লিন্ট ম্যাকে ও ডগ বলিঞ্জার।
No comments