ভাগ্যকেই দুষলেন অমলেশ
নূর হোসেন চত্বর থেকেই উত্তাপটা টের পাওয়া যাচ্ছিল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢোকার পথে সেখান থেকেই শুরু টিকিট-বিক্রেতাদের মিছিল। দরকষাকষি করে তখনো সমর্থকেরা কিনে চলেছেন ফেডারেশন কাপের ফাইনালের টিকিট। কোটি টাকার সুপার কাপের ফাইনালের পর কাল আবারও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দর্শকারণ্য। গত সুপার কাপের ফাইনালের মতো উপচে পড়া ভিড় অবশ্য হয়নি, তার পরও হাজার তিরিশেক হয়েছে বলে ধারণা অনেকেরই।
ম্যাচ শেষেও মোহামেডান গ্যালারির আনন্দের ঢেউটা বাঁধভাঙাই থেকে গেল। সমর্থকদের হাতে ছোট ছোট সাদা-কালো পতাকা দুলল শেষ বাঁশি বাজার পরও। উন্মাতাল এক দঙ্গল সাদা-কালো জার্সিধারী সমর্থকের ক্লান্তিহীন নাচ-গান ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকঢোল, ড্রাম আর ভেঁপুর শব্দে পুরোটা সময় মাতিয়ে রেখেছিল তারা।
আকাশি-নীল গ্যালারিতেও ছিল সমান আনন্দের রেশ। সেটা তারা ধরেও রেখেছিল ম্যাচের অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত। টাইব্রেকারে মামুনের বল আবাহনীর জালে জড়াতেই আবাহনী সমর্থকদের সব আনন্দ উধাও। সেখানে তখন শুধুই নিস্তব্ধতা। মোহামেডান গ্যালারিতে ফোটা পটকার শব্দ সেখানে শ্মশানের নীরবতাই নামিয়ে এনেছিল।
একদিকে অন্ধকার আকাশে আলোর নাচের সঙ্গে মাঠময় নেচে চললেন এমিলি, এমেকা, বুকোলা, হাসান আল মামুনরা। ডাগ-আউটে বসা বিপ্লব, রজনী, প্রাণতোষদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। আষাঢ়ে মেঘের মতো মুখ কালো করে জার্সিতে মুখ লুকোতে ব্যস্ত তাঁরা।
তবে স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনার ম্যাচে টাইব্রেকারে হারটাকে সহজভাবেই নিলেন আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিত্ দাস রুপু, ‘ফুটবল গোলের খেলা। জিততে হলে গোল করতে হবে। আমরা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারিনি। তবে প্রথম ৭ মিনিট বাদ দিলে পুরো ম্যাচে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। আর টাইব্রেক তো অ্যানিবডিজ গেম। এখানে যে কেউ জিততে পারে।’ কোচ অমলেশ সেন ভাগ্যকেই দুষলেন, ‘পুরো ম্যাচই আমরা ভালো খেলেছি। এনামুলের হেডটাতে গোল হতে পারত। কী বলব... দুর্ভাগ্য আমাদের।’
কিন্তু মোহামেডান কোচ মারুফুল হক ভাগ্য-টাগ্য বাদ দিয়ে এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব দিলেন খেলোয়াড়দের, ‘আমাদের খুব ভালো লাগছে। এই ম্যাচে আমরাই ভালো খেলেছি। এমন বড় ম্যাচে জয়ের কৃতিত্ব দেব পুরো দলকেই।’ টাইব্রেকার পর্যন্তু ম্যাচ গড়ালেও খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি কোনো চাপ ছিল না বলেই মনে করেন মারুফুল, ‘টাইব্রেকারে ভালো করা পুরোটাই সাইকোলজিকাল ব্যাপার। আমি টাইব্রেকারের আগে ওদের নির্ভার থাকতে বলেছিলাম। চাপ নিতে নিষেধ করেছি।’ অধিনায়ক আরমান আজিজ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তাঁরাই জিতবেন, ‘প্রথমার্ধে আমরাই ভালো খেলছিলাম। তবে গোলের সুযোগ না পেয়ে মানসিকভাবে একটু এলোমেলো হয়ে পড়ি। অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কেন জানি মনে হচ্ছিল এই ম্যাচে জিতব। শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছেড়েছি।’
জাতীয় দলের কোচ এডসন সিলভা ডিডোও এমন উত্তেজনার বারুদ ছড়ানো ম্যাচে খুশি, ‘আমি পুরো ম্যাচ দেখে খুশিই হয়েছি। তবে বড় দল বলেই হয়তো নির্ধারিত সময়ে দু দলই অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে খেলেছে।’
ম্যাচ শেষেও মোহামেডান গ্যালারির আনন্দের ঢেউটা বাঁধভাঙাই থেকে গেল। সমর্থকদের হাতে ছোট ছোট সাদা-কালো পতাকা দুলল শেষ বাঁশি বাজার পরও। উন্মাতাল এক দঙ্গল সাদা-কালো জার্সিধারী সমর্থকের ক্লান্তিহীন নাচ-গান ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকঢোল, ড্রাম আর ভেঁপুর শব্দে পুরোটা সময় মাতিয়ে রেখেছিল তারা।
আকাশি-নীল গ্যালারিতেও ছিল সমান আনন্দের রেশ। সেটা তারা ধরেও রেখেছিল ম্যাচের অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত। টাইব্রেকারে মামুনের বল আবাহনীর জালে জড়াতেই আবাহনী সমর্থকদের সব আনন্দ উধাও। সেখানে তখন শুধুই নিস্তব্ধতা। মোহামেডান গ্যালারিতে ফোটা পটকার শব্দ সেখানে শ্মশানের নীরবতাই নামিয়ে এনেছিল।
একদিকে অন্ধকার আকাশে আলোর নাচের সঙ্গে মাঠময় নেচে চললেন এমিলি, এমেকা, বুকোলা, হাসান আল মামুনরা। ডাগ-আউটে বসা বিপ্লব, রজনী, প্রাণতোষদের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। আষাঢ়ে মেঘের মতো মুখ কালো করে জার্সিতে মুখ লুকোতে ব্যস্ত তাঁরা।
তবে স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনার ম্যাচে টাইব্রেকারে হারটাকে সহজভাবেই নিলেন আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিত্ দাস রুপু, ‘ফুটবল গোলের খেলা। জিততে হলে গোল করতে হবে। আমরা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারিনি। তবে প্রথম ৭ মিনিট বাদ দিলে পুরো ম্যাচে আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল। আর টাইব্রেক তো অ্যানিবডিজ গেম। এখানে যে কেউ জিততে পারে।’ কোচ অমলেশ সেন ভাগ্যকেই দুষলেন, ‘পুরো ম্যাচই আমরা ভালো খেলেছি। এনামুলের হেডটাতে গোল হতে পারত। কী বলব... দুর্ভাগ্য আমাদের।’
কিন্তু মোহামেডান কোচ মারুফুল হক ভাগ্য-টাগ্য বাদ দিয়ে এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব দিলেন খেলোয়াড়দের, ‘আমাদের খুব ভালো লাগছে। এই ম্যাচে আমরাই ভালো খেলেছি। এমন বড় ম্যাচে জয়ের কৃতিত্ব দেব পুরো দলকেই।’ টাইব্রেকার পর্যন্তু ম্যাচ গড়ালেও খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি কোনো চাপ ছিল না বলেই মনে করেন মারুফুল, ‘টাইব্রেকারে ভালো করা পুরোটাই সাইকোলজিকাল ব্যাপার। আমি টাইব্রেকারের আগে ওদের নির্ভার থাকতে বলেছিলাম। চাপ নিতে নিষেধ করেছি।’ অধিনায়ক আরমান আজিজ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তাঁরাই জিতবেন, ‘প্রথমার্ধে আমরাই ভালো খেলছিলাম। তবে গোলের সুযোগ না পেয়ে মানসিকভাবে একটু এলোমেলো হয়ে পড়ি। অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। কেন জানি মনে হচ্ছিল এই ম্যাচে জিতব। শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছেড়েছি।’
জাতীয় দলের কোচ এডসন সিলভা ডিডোও এমন উত্তেজনার বারুদ ছড়ানো ম্যাচে খুশি, ‘আমি পুরো ম্যাচ দেখে খুশিই হয়েছি। তবে বড় দল বলেই হয়তো নির্ধারিত সময়ে দু দলই অতিরিক্ত সতর্কতার সঙ্গে খেলেছে।’
No comments