পর্যবেক্ষক নয়, বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে পরিস্থিতি মূল্যায়নে ইইউ by মিজানুর রহমান
আসন্ন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে অটল ইউরোপীয়
ইউনিয়ন। তবে ব্রাসেলস বাংলাদেশের ভোট পূর্ব ও উত্তর পরিস্থিতির ওপর
তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। ভোটের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন? তা
সরজমিন পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়নে প্রায় দেড় মাসের অফিসিয়াল সফরে
কাল আসছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দুই সদস্যের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল। ইইউ’র ভোট
বিশেষজ্ঞ দলটি আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে জানিয়ে দায়িত্বশীল
একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সূচনাতে খানিক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সফরের পুরো
সময়ই বিশেষজ্ঞরা নীরবে তাদের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন চালিয়ে যাবেন।
তারা সরকার, নির্বাচন কমিশন, আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বৈঠকাদি ছাড়াও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ নিয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না। তবে ওই দুই বিশেষজ্ঞই ইইউ’র সদর দপ্তরে প্রতিনিধি হিসাবে ভোট পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। এখানে তারা ‘নিঃশব্দে’ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে দূতাবাসের পাশাপাশি তারাও ব্রাসেলসে রিপোর্ট পাঠাবেন। বিশেষজ্ঞ দলের সফরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ওপরে কিছুটা হলেও প্রভাব রাখবে। সরকারের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বিশেষজ্ঞরা জাতীয় নির্বাচনে কোনো নাক গলাবেন না এবং তারা জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকবেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
প্রয়োজন হলে তাদের রিপোর্ট বিষয়ে ব্রাসেলসের মুখপাত্র কথা বলবেন। বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফরের শুরুতে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মাদ জাভেদ পাটোয়ারী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভোট পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ সতর্ক পর্যবেক্ষণ থাকে বরাবরই। নির্বাচন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণে তারা অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বহুল আলোচিত নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি পাঠায়নি ইইউ। তারা আগাম ঘোষণা দিয়েই প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে তার আগের নির্বাচনে (২০০৮ সালে) প্রায় ৮০০ পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে নির্বাচনটি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছিল ইইউ।
তারা সরকার, নির্বাচন কমিশন, আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বৈঠকাদি ছাড়াও স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ নিয়ে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না। তবে ওই দুই বিশেষজ্ঞই ইইউ’র সদর দপ্তরে প্রতিনিধি হিসাবে ভোট পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। এখানে তারা ‘নিঃশব্দে’ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে দূতাবাসের পাশাপাশি তারাও ব্রাসেলসে রিপোর্ট পাঠাবেন। বিশেষজ্ঞ দলের সফরটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউ’র ভবিষ্যৎ সম্পর্কের ওপরে কিছুটা হলেও প্রভাব রাখবে। সরকারের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বিশেষজ্ঞরা জাতীয় নির্বাচনে কোনো নাক গলাবেন না এবং তারা জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকবেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে।
প্রয়োজন হলে তাদের রিপোর্ট বিষয়ে ব্রাসেলসের মুখপাত্র কথা বলবেন। বিশেষজ্ঞ দলের বাংলাদেশ সফরের শুরুতে তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়া, পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মাদ জাভেদ পাটোয়ারী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ভোট পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ সতর্ক পর্যবেক্ষণ থাকে বরাবরই। নির্বাচন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিশালীকরণে তারা অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে থাকে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বহুল আলোচিত নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি পাঠায়নি ইইউ। তারা আগাম ঘোষণা দিয়েই প্রশ্নবিদ্ধ ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি না পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে তার আগের নির্বাচনে (২০০৮ সালে) প্রায় ৮০০ পর্যবেক্ষক পাঠিয়ে নির্বাচনটি সরজমিনে পর্যবেক্ষণ করেছিল ইইউ।
No comments