আইন সমানভাবে প্রয়োগ না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে -মাহবুব তালুকদার
নির্বাচন
কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নিরপেক্ষভাবে আইনের প্রয়োগ না করলে সে
আইন আইন নয়, সেটা কালো আইন। আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ না করলে সে
নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। নির্বাচন কমিশন কখনো তা চায় না। গতকাল
নির্বাচন ভবনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের এক ব্রিফিংয়ে বিশেষ অতিথির
বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী
আচরণবিধি নিয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে এ ব্রিফ করে নির্বাচন
কমিশন। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে মাহবুব তালুকদার বলেন, একটা কথা বলা
হচ্ছে, নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে।
এই কথাটা অবশ্যই ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। কারণ আইনকে নিজস্ব পথে চলতে না দিলে, নির্বাচন কখনো আইনানুগ হতে পারে না। সুতরাং যখনই আমরা বলবো নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে, তখনই তার সঙ্গে এটাও বলতে হবে, আইনকে তার নিজস্ব পথে চলতে দিতে হবে।
এটা করার দায়িত্ব আপনাদের। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, আফ্রিকান একজন রাজা অভিনব কায়দায় বিচার করতেন। একটা গ্লাসে সরবত, একটাতে বিষ আরেকটাতে পানি রাখা হতো। দোষীরা আসতো। বিষ পান করলে মারা যেতো। পানি পান করলে অব্যাহতি পেতো। আর সরবত পান করলে পুরস্কৃত হতো। অনেকে তার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
উত্তরে রাজা বলেছিলেন, আমি তো রাজা, বিচারক নই। আমি তো বিচারের আইনকানুন কিছু জানি না। যিনি অপরাধী তার বিচার করেন ভাগ্য বিধাতা। আমি পুরোটাই ভাগ্য বিধাতার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ এই বিচারে তিনিই আসল বিচারক। সেই রাজার বিচার ব্যবস্থা এখন আর নেই। এখন বিচারকরাই বিচার করে থাকেন। বিচারকরাই ভাগ্য বিধাতার প্রতিভূ। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। আপনারা সততা, আন্তরিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনের ব্যবহার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।
মাহবুব তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অপরিসীম। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটদের সমান দায়িত্ব। যারা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন তারা যারাই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা শপথ গ্রহণ করলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরাও আমাদের নির্বাচনী শপথের অংশীদার। শপথ আমরা গ্রহণ করলেও নির্বাচন আমরা করি না। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনারা (ম্যাজিস্ট্রেট)। আপনাদের মধ্যে শপথ সঞ্চালিত হয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক, পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, সব রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।
সারা জাতি এই নির্বাচন নিয়ে উদ্দীপ্ত, উচ্ছ্বসিত। এই উদ্দীপনাকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এতে আপনাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেনাবাহিনীও আপনাদের অধীনে দায়িত্ব পালন করবে। শুধু দেশ নয়, বিশ্ববাসীও আমাদের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
এই কথাটা অবশ্যই ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। কারণ আইনকে নিজস্ব পথে চলতে না দিলে, নির্বাচন কখনো আইনানুগ হতে পারে না। সুতরাং যখনই আমরা বলবো নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে, তখনই তার সঙ্গে এটাও বলতে হবে, আইনকে তার নিজস্ব পথে চলতে দিতে হবে।
এটা করার দায়িত্ব আপনাদের। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার আরো বলেন, আফ্রিকান একজন রাজা অভিনব কায়দায় বিচার করতেন। একটা গ্লাসে সরবত, একটাতে বিষ আরেকটাতে পানি রাখা হতো। দোষীরা আসতো। বিষ পান করলে মারা যেতো। পানি পান করলে অব্যাহতি পেতো। আর সরবত পান করলে পুরস্কৃত হতো। অনেকে তার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
উত্তরে রাজা বলেছিলেন, আমি তো রাজা, বিচারক নই। আমি তো বিচারের আইনকানুন কিছু জানি না। যিনি অপরাধী তার বিচার করেন ভাগ্য বিধাতা। আমি পুরোটাই ভাগ্য বিধাতার হাতে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ এই বিচারে তিনিই আসল বিচারক। সেই রাজার বিচার ব্যবস্থা এখন আর নেই। এখন বিচারকরাই বিচার করে থাকেন। বিচারকরাই ভাগ্য বিধাতার প্রতিভূ। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনাদের (ম্যাজিস্ট্রেট) দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার নেই। আপনারা সততা, আন্তরিকতা দিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনের ব্যবহার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।
মাহবুব তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অপরিসীম। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেটদের সমান দায়িত্ব। যারা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন তারা যারাই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমরা শপথ গ্রহণ করলেও নির্বাচন সংশ্লিষ্টরাও আমাদের নির্বাচনী শপথের অংশীদার। শপথ আমরা গ্রহণ করলেও নির্বাচন আমরা করি না। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আপনারা (ম্যাজিস্ট্রেট)। আপনাদের মধ্যে শপথ সঞ্চালিত হয়ে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি অংশগ্রহণমূলক, পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হবে। আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে, সব রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।
সারা জাতি এই নির্বাচন নিয়ে উদ্দীপ্ত, উচ্ছ্বসিত। এই উদ্দীপনাকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে হবে। নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। এতে আপনাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেনাবাহিনীও আপনাদের অধীনে দায়িত্ব পালন করবে। শুধু দেশ নয়, বিশ্ববাসীও আমাদের জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।
No comments