প্রথমে বের হবে কিশোর স্যাম, সবশেষে কোচ
গুহার
ভেতরে অবস্থান করছে দেশি ও আন্তর্জাতিক দক্ষ ডুবুরি দল। গুহার বাইরে
প্রস্তুত রয়েছে ট্রলি। উদ্ধারকৃতদের ওই ট্রলিতে করেই নেওয়া হবে নিকটস্থ
হাসপাতালে। উদ্ধার তৎপরতায় সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পৃথক কয়েকটি দলে ভাগ করে আটকে
পড়াদের বের করে আনার চেষ্টা হবে। ১৪ বছরের কিশোর স্যামকে বের করে আনা হবে
সবার আগে, সবশেষে বের হবেন কোচ একাপল চান্থাওং।
গত ২৩ জুন ফুটবল অনুশীলন শেষে ২৫ বছর বয়সী কোচসহ ওই ১২ কিশোর ফুটবলার গুহাটির ভেতরে ঘুরতে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তারা আর বাইরে বের হতে পারেনি। এরপর থেকে টানা ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ জুলাই গুহার ভেতরে জীবিত অবস্থায় তাদেরকে শনাক্ত করে ডুবুরিরা। রবিবার (৮ জুলাই) থাইল্যান্ড সরকার তাদের উদ্ধারে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
বিবিসির একজন প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ১৫ দিন ধরে গুহায় আটকে থাকা কিশোরদেরকে নিয়ে ফেরার পথে গুহার একটি জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হবে। পরে সেখান থেকে শেষ দফা যাত্রায় তাদেরকে বাইরে বের করে আনা হবে। বাইরে বের করে আনার পর সোজা হাসপাতালে পাঠানো হবে কিশোরদের। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, অভিযানের শুরুতে পানির নিচ দিয়ে সংকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হবে কিশোরদের, যেটিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে কিশোরদের বের করে আনার সময় থেকে তাদের দীর্ঘ সময় অক্সিজেন মাস্ক পরে পানির নিচে ডুব দিতে হবে।
গুহার প্রবেশপথ থেকে ‘তৃতীয় চেম্বার’ বা অভিযান শুরুর এলাকার দিকে যেতে হলে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে উদ্ধারকারীদের। এ পুরো পথটুকু পুরোপুরি শুকনো নয়, তবে বেশিরভাগটাই হেঁটে পার হওয়া যাবে। আর ‘তৃতীয় চেম্বার’ থেকে শিশুদের কাছে পৌঁছাতে হলে তাদেরকে যেতে হবে আরও ১.৭ কিলোমিটার। এক সূত্র ব্যাংকক পোস্টকে জানিয়েছে, আটকে পড়া ফুটবলারদের চারটি দলে ভাগ করা হবে। প্রথম দলে থাকবে চারজন। আর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দলটিতে থাকবে তিনজন করে। বের হয়ে আসার সময় প্রত্যেক শিশুকেই খুব কাছ দেখে পাহারা দেবে দুইজন করে ডুবুরি। উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, শুরুতে বের হতে যাওয়া চার শিশুর মধ্যে সবার আগে বের হবে ১৪ বছর বয়সী আদুল ‘দুল’ স্যাম। আটকে পড়া ফুটবল দলটির কোচ বের হবেন সবার শেষে।
থাই নেভি সিলস-এর ফেসবুক পেজে উদ্ধার প্রচেষ্টার একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারীরা কিভাবে একত্রিত হয়ে গত ১৫ দিন ধরে আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সে চিত্রই ফুটে উঠেছে ছবিতে। থাই ভাষায় ছবির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। গুগল ট্রান্সলেটে তা ভাষান্তর করলে দাঁড়ায়, ‘আমরা....থাই ও আন্তর্জাতিক দল মিলে যৌথভাবে ওয়াইল্ড বোয়ার ফুটবল দলকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছি।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধারের পর তাদেরকে চিয়াংগ্রাই প্রাচানুকরোহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। গুহা থেকে হাসপাতালটির দূরত্ব প্রায় ৬০ মাইল। গুহার প্রধান প্রবেশপথের বাইরে কয়েকটি ট্রলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ২ জুলাই দুজন ব্রিটিশ ডুবুরি গুহার বেশ কয়েক কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে আটকে পড়া কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর থেকে তাদেরকে খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সরবরাহ করা হচ্ছে অক্সিজেন।
গত ২৩ জুন ফুটবল অনুশীলন শেষে ২৫ বছর বয়সী কোচসহ ওই ১২ কিশোর ফুটবলার গুহাটির ভেতরে ঘুরতে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তারা আর বাইরে বের হতে পারেনি। এরপর থেকে টানা ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ জুলাই গুহার ভেতরে জীবিত অবস্থায় তাদেরকে শনাক্ত করে ডুবুরিরা। রবিবার (৮ জুলাই) থাইল্যান্ড সরকার তাদের উদ্ধারে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
বিবিসির একজন প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ১৫ দিন ধরে গুহায় আটকে থাকা কিশোরদেরকে নিয়ে ফেরার পথে গুহার একটি জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হবে। পরে সেখান থেকে শেষ দফা যাত্রায় তাদেরকে বাইরে বের করে আনা হবে। বাইরে বের করে আনার পর সোজা হাসপাতালে পাঠানো হবে কিশোরদের। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, অভিযানের শুরুতে পানির নিচ দিয়ে সংকীর্ণ পথ পাড়ি দিতে হবে কিশোরদের, যেটিকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে কিশোরদের বের করে আনার সময় থেকে তাদের দীর্ঘ সময় অক্সিজেন মাস্ক পরে পানির নিচে ডুব দিতে হবে।
গুহার প্রবেশপথ থেকে ‘তৃতীয় চেম্বার’ বা অভিযান শুরুর এলাকার দিকে যেতে হলে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে উদ্ধারকারীদের। এ পুরো পথটুকু পুরোপুরি শুকনো নয়, তবে বেশিরভাগটাই হেঁটে পার হওয়া যাবে। আর ‘তৃতীয় চেম্বার’ থেকে শিশুদের কাছে পৌঁছাতে হলে তাদেরকে যেতে হবে আরও ১.৭ কিলোমিটার। এক সূত্র ব্যাংকক পোস্টকে জানিয়েছে, আটকে পড়া ফুটবলারদের চারটি দলে ভাগ করা হবে। প্রথম দলে থাকবে চারজন। আর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দলটিতে থাকবে তিনজন করে। বের হয়ে আসার সময় প্রত্যেক শিশুকেই খুব কাছ দেখে পাহারা দেবে দুইজন করে ডুবুরি। উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, শুরুতে বের হতে যাওয়া চার শিশুর মধ্যে সবার আগে বের হবে ১৪ বছর বয়সী আদুল ‘দুল’ স্যাম। আটকে পড়া ফুটবল দলটির কোচ বের হবেন সবার শেষে।
থাই নেভি সিলস-এর ফেসবুক পেজে উদ্ধার প্রচেষ্টার একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারীরা কিভাবে একত্রিত হয়ে গত ১৫ দিন ধরে আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সে চিত্রই ফুটে উঠেছে ছবিতে। থাই ভাষায় ছবির বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। গুগল ট্রান্সলেটে তা ভাষান্তর করলে দাঁড়ায়, ‘আমরা....থাই ও আন্তর্জাতিক দল মিলে যৌথভাবে ওয়াইল্ড বোয়ার ফুটবল দলকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছি।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আটকে পড়া শিশুদের উদ্ধারের পর তাদেরকে চিয়াংগ্রাই প্রাচানুকরোহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। গুহা থেকে হাসপাতালটির দূরত্ব প্রায় ৬০ মাইল। গুহার প্রধান প্রবেশপথের বাইরে কয়েকটি ট্রলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ২ জুলাই দুজন ব্রিটিশ ডুবুরি গুহার বেশ কয়েক কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে আটকে পড়া কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর থেকে তাদেরকে খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সরবরাহ করা হচ্ছে অক্সিজেন।
গুহার ৪ কিলোমিটার ভেতরে যে কারণে গিয়েছিল ছেলেরা
থাইল্যান্ডের
গুহায় আটকে পড়া ফুটবল খেলোয়াড় ছেলেদের নিয়ে সবার কৌতূহল: তারা কেন গুহার
অতটা ভেতরে গিয়েছিল? কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ জানিয়েছে, অতটা
ভেতরে তারা যেতে চায়নি। বৃষ্টির পানিতে গুহার বের হওয়ার পথ ডুবে যাওয়ায়
তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভেতরে দিকে যেতে বাধ্য হয়েছিল। যত গুহার ভেতরে
পানি বেড়েছে তত তাদের সরে যেতে হয়েছে। ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ থাম লুয়াং নাং নন গুহার ৪ কিলোমিটার ভেতরে এখন তাদের অবস্থান। গুহা থেকে বের হওয়ার অনেক স্থানে পানি জমে আছে। তাদের সাঁতরে বের হতে হবে সেখান থেকে। প্রথমে তাদের স্কুবা ডাইভিং শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন পরিকল্পনা করা হয়েছে, ডুবুরিরা তাদের সঙ্গে করে নিয়ে বের হবেন। থাই নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত ইলাস্ট্রেশনে দেখানো হয়েছে, ডুবুরিদের অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে শিশুদের পানির নিচে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ফুটবল কোচ অনুশীলনের পর কখনও তাদের সাঁতারের জন্য নিয়ে যেতেন, আবার কখনও ভ্রমণে। এমনই একদিন ছিল গত ২৩ জুন, যেদিন তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ বলেছেন, কোচের উচিত হয়নি ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই শিশুদের নিয়ে থাম লুয়াং নাং নন গুহায় ঢোকা। কারণ, বর্ষাকালে যে গুহা পানিপূর্ণ হয়ে যায় সে বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে গুহার মুখে সাইনবোর্ড টানানো আছে। তবে শিশুদের পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে কোচকে অপরাধবোধে ভুগতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা মনে করেন না এতে কোচের দোষ আছে। |
No comments