হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিকদের এ কেমন প্রহসন! by হুমায়ুন মাসুদ
দুই
মাস বয়সী শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছেন লোহাগাড়া উপজেলার
বাসিন্দা জেনিয়া। ঠাণ্ডাজনিত কারণে অসুস্থ শিশু সন্তানটিকে ভর্তি করতে
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে হাজির হয়েছেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে
থাকার পরও ছেলেকে ভর্তি করাতে না পেরে কাঁদছেন এই নারী। চট্টগ্রামের
ম্যাক্স হাসপাতালে র্যা বের অভিযানে জরিমানার প্রতিবাদে চিকিৎসাসেবা বন্ধ
করে দিয়েছে চট্টগ্রামের বেসরকারি সব হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। এতে চরম
দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রোগীরা।
জেনিয়া বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশু সন্তানকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতাল-ক্লিনিকে যাই। কিন্তু সেখানে (লোহাগাড়ায়) সব হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে ছেলেকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে আসি। এখানেও একই অবস্থা। নগরীর সব হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। তাই বাধ্য হয়ে সরকারি হাসপাতালে এসে ভিড় জমিয়েছি। কিন্তু এখানে যে ভিড় কখন সিরিয়াল পাবো, কখন সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে পারবো আল্লাহই জানে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত ডাক্তার দেখাতে না পারলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। আমি আমার সন্তানকে বাঁচাতে চাই।’
ভুল চিকিৎসায় সাংবাদিক কন্যা রাইফার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এসে ম্যাক্স হাসপাতালের নানা অনিয়ম খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি। এসব অনিয়মের অভিযোগে রবিবার (৮ জুলাই) ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নগরীর বেসরকারি হপাসাতাল ক্লিনিকের মালিকরা চিকিৎসা সেবা বন্ধের ঘোষণা দেন। তাদের ঘোষণায় রবিবার বিকাল ৩টা থেকে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা সেবা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা।
অন্যদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন যেখানে চমেক হাসপাতালে ৪শ থেকে ৫শ রোগী ভর্তি হয়, সেখানে রবিবার দুপুর ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৭শ থেকে ৮শ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
রাতে চমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসকরা। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। রোগীর চাপে এদিন জরুরি বিভাগে বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসকের সংখ্যা। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক সেবা প্রদান করলেও এদিন দুইজন চিকিৎসককে জরুরি সেবা প্রদান করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ বেশি রোগী।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা. ফরিদ উদ্দিন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ জন রোগী ভর্তি হন। কিন্তু আজ বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো বন্ধ থাকায় এর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি রোগী হাসপাতালে আসছেন। অতিরিক্ত এই বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে আমরা ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছি।’
বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ায় চিকিৎসকরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার পরও তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।
সিট না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে আছেন নগরীর লালখান বাজার এলাকা বাসিন্দা সাজিয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে এসেছি এক ঘণ্টার বেশি হয়েছে কিন্তু এখনও কোনও চিকিৎসা পাইনি, কখন পাবো বলতে পারছি না।
একই অভিযোগ জানিয়েছেন হালিশহর আবাসিক এলাকা থেকে আসা চম্পা দাশ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে ভর্তি না করায় বাধ্য হয়ে সরকারি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এখানে রোগীর যে ভিড় তাতে মনে হচ্ছে চিকিৎসা সেবার পরিবর্তে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বো।
এদিকে প্যাথলজিগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে পারছেন না রোগীরা।
সকালে নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা দিয়ে যান খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম। বিকেলে রিপোর্ট আনতে গিয়ে বিপাকে পড়েন এই রোগী। ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ থাকায় তিনি রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেননি।
ফাতেমা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সকালে পরীক্ষার রক্তের নমুনা দিয়ে যায়, তারা রিপোর্টের জন্য সন্ধ্যায় আসতে বলেছিল। কিন্তু এখন এসে দেখি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রিপোর্টটা পেলে ডাক্তার দেখিয়ে আমি আজই খাগড়াছড়ি চলে যেতে পারতাম কিন্তু রিপোর্ট না পাওয়ায় আমাকে আজ শহরে থাকতে হবে। শহরে থাকার টাকা কোথায় পাবো।
একই অবস্থা এপিক হেলথ কেয়ারেও। নুর জাহান নামে এক নারী বলেন, দাঁতের ব্যাথার জন্য ডাক্তার আমার নাতিকে এক্স-রে করার কথা বলেন। কিন্তু প্যাথলজি গুলো বন্ধ থাকায় এক্স-রে করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে যারা আগে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন তাদেরকে চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হালিশহর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার শ্যালিকাকে সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ এসে জানান তাদের হাসপাতালে অপারেশন করার মতো কোনও ডাক্তার নেই, আমরা যেন রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যাই।
ম্যাক্স হাসপাতাল থেকেও অনেক রোগীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করার বিষয়ে জানতে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করে কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে এ সম্পর্কে জানতে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জেনিয়া বলেন, ‘ঠাণ্ডাজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশু সন্তানকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতাল-ক্লিনিকে যাই। কিন্তু সেখানে (লোহাগাড়ায়) সব হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ থাকায় অনেক কষ্টে ছেলেকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে আসি। এখানেও একই অবস্থা। নগরীর সব হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা। তাই বাধ্য হয়ে সরকারি হাসপাতালে এসে ভিড় জমিয়েছি। কিন্তু এখানে যে ভিড় কখন সিরিয়াল পাবো, কখন সন্তানকে ডাক্তার দেখাতে পারবো আল্লাহই জানে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত ডাক্তার দেখাতে না পারলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। আমি আমার সন্তানকে বাঁচাতে চাই।’
ভুল চিকিৎসায় সাংবাদিক কন্যা রাইফার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এসে ম্যাক্স হাসপাতালের নানা অনিয়ম খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি। এসব অনিয়মের অভিযোগে রবিবার (৮ জুলাই) ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে নগরীর বেসরকারি হপাসাতাল ক্লিনিকের মালিকরা চিকিৎসা সেবা বন্ধের ঘোষণা দেন। তাদের ঘোষণায় রবিবার বিকাল ৩টা থেকে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা সেবা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা।
অন্যদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন যেখানে চমেক হাসপাতালে ৪শ থেকে ৫শ রোগী ভর্তি হয়, সেখানে রবিবার দুপুর ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৭শ থেকে ৮শ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
রাতে চমেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসকরা। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। রোগীর চাপে এদিন জরুরি বিভাগে বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসকের সংখ্যা। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে একজন চিকিৎসক সেবা প্রদান করলেও এদিন দুইজন চিকিৎসককে জরুরি সেবা প্রদান করতে দেখা গেছে। অধিকাংশ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ বেশি রোগী।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা. ফরিদ উদ্দিন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০ থেকে ৩০ জন রোগী ভর্তি হন। কিন্তু আজ বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো বন্ধ থাকায় এর চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেশি রোগী হাসপাতালে আসছেন। অতিরিক্ত এই বিপুল সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে আমরা ব্যাপক হিমশিম খাচ্ছি।’
বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ায় চিকিৎসকরা যেমন বিপাকে পড়েছেন, তেমনি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। হাসপাতালে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষার পরও তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।
সিট না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে আছেন নগরীর লালখান বাজার এলাকা বাসিন্দা সাজিয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে এসেছি এক ঘণ্টার বেশি হয়েছে কিন্তু এখনও কোনও চিকিৎসা পাইনি, কখন পাবো বলতে পারছি না।
একই অভিযোগ জানিয়েছেন হালিশহর আবাসিক এলাকা থেকে আসা চম্পা দাশ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে ভর্তি না করায় বাধ্য হয়ে সরকারি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু এখানে রোগীর যে ভিড় তাতে মনে হচ্ছে চিকিৎসা সেবার পরিবর্তে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বো।
এদিকে প্যাথলজিগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে পারছেন না রোগীরা।
সকালে নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনা দিয়ে যান খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম। বিকেলে রিপোর্ট আনতে গিয়ে বিপাকে পড়েন এই রোগী। ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ থাকায় তিনি রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেননি।
ফাতেমা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সকালে পরীক্ষার রক্তের নমুনা দিয়ে যায়, তারা রিপোর্টের জন্য সন্ধ্যায় আসতে বলেছিল। কিন্তু এখন এসে দেখি গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রিপোর্টটা পেলে ডাক্তার দেখিয়ে আমি আজই খাগড়াছড়ি চলে যেতে পারতাম কিন্তু রিপোর্ট না পাওয়ায় আমাকে আজ শহরে থাকতে হবে। শহরে থাকার টাকা কোথায় পাবো।
একই অবস্থা এপিক হেলথ কেয়ারেও। নুর জাহান নামে এক নারী বলেন, দাঁতের ব্যাথার জন্য ডাক্তার আমার নাতিকে এক্স-রে করার কথা বলেন। কিন্তু প্যাথলজি গুলো বন্ধ থাকায় এক্স-রে করা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে যারা আগে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন তাদেরকে চিকিৎসা না দিয়ে উল্টো হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
হালিশহর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার শ্যালিকাকে সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ এসে জানান তাদের হাসপাতালে অপারেশন করার মতো কোনও ডাক্তার নেই, আমরা যেন রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যাই।
ম্যাক্স হাসপাতাল থেকেও অনেক রোগীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করার বিষয়ে জানতে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করে কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে এ সম্পর্কে জানতে বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হকের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
No comments